<p>পৃথিবী লোহা ও শিলায় পূর্ণ একটা ঘন বল। সৌরজগতের সবচেয়ে বড় কঠিন কাঠামো হিসেবে পৃথিবীর নাম রয়েছে। সূর্য সৃষ্টির পর তার অতিরিক্ত ধুলো আর গ্যাস থেকে ৪.৫ বিলিয়ন আগে পৃথিবীর সৃষ্টি। খুব কাছের ভাবছেন? সংখ্যাটি ছোট নয় মোটেও। সাড়ে চার শ কোটি বছর! যদিও পৃথিবী কার্যত ১০ মিলিয়ন বছরে নিজের গঠন সম্পন্ন করে ফেলে। ঠিক সম্পন্ন বলা যাবে না। কারণ গাঠনিক কার্যক্রম এখনও চলমান। এটি বোঝা যায় পৃথিবীর ভূতাত্ত্বিক সক্রিয় ধর্ম থেকে।</p> <p>পৃথিবীর ভূত্বক ৫ থেকে ৫০ কিলোমিটার পুরু টেকটোনিক প্লেটে ১৫টি অংশে বিভক্ত। যেগুলো সিলিকেট ম্যান্টেলের ওপর ধীর গতিতে ভাসমান। ম্যান্টল আবরণের নিচে লোহার নিকেল কোর আছে। পৃথিবীর পৃষ্ঠ পাতলা, পাথুরে পাতলা স্তরে ঢাকা। যেটি সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। আজ পর্যন্ত একমাত্র পৃথিবীতেই প্রাণের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। ধারণা করা হয়, প্রথম বিলিয়ন বছরের ভেতরেই পৃথিবীতে জীবনের শুরু হয়। এরপর লাখ লাখ প্রজাতির সম্মেলনে গড়ে ওঠেছে প্রাণের মজবুত ভিত্তি। প্রাণের অস্তিত্বের আছে বলেই পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল অন্যসব গ্রহের তুলনায় ভিন্ন। বিশেষ করে মানুষের কথা বলা যায়। মানুষ চিন্তা করতে পারে। ভাবতে পারে। তাই অজানাকে জানার জন্য কত কী না করে যাচ্ছে এই মানবজাতি। </p> <p><strong>গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা</strong><br /> পৃথিবীর ঘোষণা দিয়েছিলেন মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানী কার্ল সেগান। তিনি আঙুল দিয়ে দেখান, ‘এটা এখানে’। ওটা আমাদের আবাস। সূর্যের আলোতে ঝুলে থাকা একবিন্দু ধুলোর মতো। অক্সফোর্ড অভিধান মতে, আদি ইংরেজি ‘eorðe’ শব্দ থেকে Earth নামটি এসেছে। বাংলায় আমরা বলি পৃথিবী। যেটি সংস্কৃত পৃথিবী (पृथिवी) থেকে আগত রূপ। এর আরেকটি নাম পৃথ্বী। যেটি পৌরাণিক রাজত্বের নাম।</p> <p><strong>পরিমণ্ডল</strong><br /> প্রথম স্যাটেলাইটের ছবি দেখার পর পৃথিবীকে একটা ‘নীল গ্রহ’ বলা হয়েছিল। এত নীল কোত্থেকে এলো! পৃথিবীর তিনভাগ পানির রাজত্ব, একভাগ স্থল। সেই জলের অধিকাংশ নীল সমুদ্র দখল করে আছে বলেই ওপর থেকে নীল মনে হয়। আদতে পানি পৃথিবীর ভরের মাত্র ০.০২ শতাংশ। খুব সহজেই অনুমান করা যায়, মহাসমুদ্রের ভীতিকর অবস্থাটা—পৃথিবীর জন্য পাতলা নীল স্তরের বেশি কিছু নয়। এই পানিরও মাত্র ০.০০১ শতাংশ পানযোগ্য। প্রাণীর জীবন ধারণে পানি একান্ত প্রয়োজন। বিশেষ করে মানুষ বিশুদ্ধ পানি ছাড়া জীবনধারণ করতে পারে না।</p> <p><strong>সম্পর্কিত বিষয়</strong><br /> সুপার-আর্থ এবং মহাসাগরীয় গ্রহ<br /> অন্য পৃথিবীর আহবান</p> <p><strong>জীবনী</strong><br /> কার্ল সেগান<br /> ১৯৩৪-১৯৯৬<br /> মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানী, জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞানী, লেখক।</p> <p><strong>বর্ণনায়</strong><br /> ফ্রাঁসোয়া ফ্রেসিন।</p>
