<p>জাতীয় কাজী নজরুলের সঙ্গে পল্লীকবি জসীমউদদীনেরর সখ্য ছিল বেশ, জসীম উদদীন যখন কলকাতায় পড়াশোনা করেন। একবার বঙ্গীয় রাষ্ট্রীয় সমিতিরি একটা অধিবেশন বসে ফরিদপুরে,দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জণ দাশের সভাপত্তিতে। সেই অধিবেশনে যোগ দিতে কলকতাতা থেকে কাজী নজরুল ইসলাম এসেছিলেন সঙ্গী-সাথী নিয়ে। আর জসীমউদদীন ছিলেন স্বেচ্ছাসেব।</p> <p>নজরুল ফরিদপুরে এসে উঠেছিলেন জসীমউদদীনের বাড়িতে, তাম্বুলখানা গ্রামে। বিদ্রোহী কবির দেখা পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। গ্রামের লোকেরা বিখ্যাত এই মানুষটাসে একবার যখন পেয়েছে,তখন গান না শুনে ছাড়বে কেন?</p> <p>পল্লীকবির বাড়িতেই হলো গানের আসর। রাতভরে। কিন্তু নজরুলের ছিল তীব্র চায়ের নেশা। গান গাইতে গাইত চায়ের তেষ্টা পেল সেই মাঝরাতে। ভারি মুশকিল! গাঁয়ের লোকে তখনো চা খেতে শেখেনি।ওসব বড়লোকি কারবার সাধারণ মানুষের পোষায় না।</p> <p>তবু জসীমউদ্দীন সারা গ্রামে খোঁজ করলেন। আশপাশের দুচারটা গ্রামেও লোক পাঠালেন, কিন্তু চাপাতা আর মেলে না। অবশেষে আলিম মাতববর নামে এক লোক চা পাতা এনে কবিকে দিলেন। ভদ্রলোক কলকতায় গিয়ে চা খাওয়া শিখেছিলেন, গাঁয়ের লোকেদের খাওয়ানোর ভাঁড়ারে কিছু চাপাতা পড়ে ছিল। সেগুলো দিয়েই তেষ্টা মেটালেন নজরুল। তারপর রাতভর গান হলো। </p> <p>সূত্র: স্মৃতিকথা সমগ্র/জসীম উদদীন</p>