<p>ভিক্টর হুগো বিখ্যাত ফরাসী লেখক। তাঁর লেখক জীবনের শ্রেষ্ঠতম কীর্তি বলে মনে করা হয় ‘লা মিজারেবল’ উপন্যাসকে। প্রকাশিত হয় ১৮৬২ সালে। প্রকাশের পরপরই পাঠক ও সমালোচক মহলে সাড়া পড়ে যায়। চলে চর্চা। কেউ উপন্যাস সম্পর্কে ইতিবাচক কথা বলেন তো, কেউ আবার সমালোচনা করে ধুয়ে দেন হুগোকে। সাধারণত এ ধরনের তর্ক, আলোচনা-সমালোচনায় বইয়ের কাটতি বাড়ে। কিন্তু হুগো বুঝতে পারছিলেন না, বইটি কেমন বিক্রি হচ্ছে। সম্ভবত একটু উদ্বিগ্নও ছিলেন। তখন তো মোবাইলের যুগ নয়, এমনকী টেলিফোনও তখন আবিষ্কৃত হয়নি। সেই সময় বই বিক্রিবাট্টার ব্যাপারে খোঁজ নেওয়ার দুটি মাত্র উপায় —হয় লেখককের সঙ্গে সরাসিরি দেখা করা, অথবা চিঠি লিখে জানাতে চাওয়া।</p> <p>হুগো দ্বিতীয় পথটিই অনুসরণ করলেন, প্রকাশককে লিখলেন একটা চিঠি। সেই চিঠিতে কোনো বাক্য ছিল না, শব্দ ছিল না, এমনকী একটা অক্ষরও ছিল না। </p> <p>তাহলে চিঠির মর্ম প্রকাশক বুঝবেন কী করে?</p> <p>হুগো শুধু একটা যতি চিহ্ন ব্যবহার করলেন। সাদা কাগজে লিখলেন ‘?’।</p> <p>রসিকতায় প্রকাশকও কম যান না। হুগোর চিঠির মর্ম তিনি বুঝতে ভুল করেননি, জবাবে লিখলেন ‘!।</p> <p>অর্থাৎ দারুণ চলছে বই! হুগোরও সেটা বুঝতে অসুবিধা হয়নি। </p> <p>হুগোর এই চিঠি ও প্রকাশকের এই উত্তর এখনো ইতিহাসের সংক্ষিপ্ত চিঠির রেকর্ড দখল করে আছে।<br />  </p>