<p><strong>কার্নাভানের মৃত্যুরহস্য</strong><br /> মশার কামড়ে মানুষের মৃত্য হতে পারে?</p> <p>নিশ্চয়ই, পৃথিবীতে প্রতিবছর সবচে বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়া প্রাণিটির নাম মশা। ডেঙ্গু, ম্যলেরিয়া, চিকুনগুনিয়া, এইডস, ফাইলেরিয়াসহ অসংখ্য প্রাণঘাতী জীবাণুর বাহক হলো মশা। পৃথিবীব্যাপী প্রায় সাত থেকে দশ লাখ মানুষ মারা যায় মশার কামড়ে। তবে কোনো মৃত্যুই মশার কামড়ের সঙ্গে সঙ্গে ঘটে না। কিন্তু লর্ড কার্নাভানের মৃত্যূটা হয়েছিল মশায় কামড়ের কয়েক কয়েকদিনের মধ্যে। তুতেনখামেনের মমি আবিষ্কারের পর বেশ খোসমেজাজে ছিলেন কার্নাভান। বেশ কয়েক সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে মমি আবিষ্কারের পর। কায়োরোর এক হোটেলে অবস্থান করছিলেন কার্নাভান তখন। একদিন দাঁড়ি সেভ করার জন্য তিনি আয়নার সামনে দাঁড়িয়েছেন, তখন একটা মশা তার গালে কামড় দেয়। ব্যাপারটাকে কার্নাভান পাত্তা দেননি। সেভ করতে শুরু করেন, গালের যেখানটায় মশাটা কামড়েছিল, সেখানটায় খুর লেগে কেটে যায়। দ্রত সেখানে ইনফেকশন হয় এবং কার্নারভান কয়েকদিনের মধ্যে মারা যান।</p> <p>এ ঘটনা ব্যাপক আড়োলন তোলে বিশ্ব মিডিয়ায়। কার্নাভানের মৃত্যুকে তখন অনেকেই তুতেনখামেনের অভিশাপ বলে প্রচার করতে শুরু করেন।</p> <p>কাকতালীয় ব্যপার হলো, তুতেনখামেনের সমাধির পাশেই একটা মশার প্রতিমূর্তি ছিল। সুতরাং দুইয়ে দুইয়ে চার করতে সময় লাগল না অভিশাপে বিশ্বাসীদের। <br /> সেই বিশ্বাস পরে আরও শক্তপোক্ত করতে ভূমিকা রাখে কিছু পত্রিকা। সেগুলোতে লেখায় কার্নারভানের মৃত্যুর পর নাকি তুতেনখামেনের মমি পরীক্ষা করা হয়। মমির বাম গালেও নাকি একটা মশার কামড়ের দাগ ছিল। পত্রিকাগুলো আরও রংচং মাখিয়ে লেখে। </p> <p>ব্রিটিশ লেখক ম্যারি কুরেলি। কার্নাভানের তখনো মৃত্যু হয়নি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তখন এই বিতর্কিত এই লেখক আগ বাড়িয়ে মিডিয়ায় বলেছিলেন এক আরবি বইয়ের কথা। বইয়ের নামটা বাংলা করলে দাঁড়ায় পিরামিডের মিসরীয় ইতিহাস। ক্যুরেলি বলেন, এই ধরনের অভিশাপের কথা লেখা আছে সেই বইয়ে- ফারাওদের সমাধিতে যারা অনধিকার প্রবেশ করবে তার জন্য অপেক্ষা করছে ভয়ঙ্কর শাস্তি। </p> <p>কুরেলির মতো বিখ্যাত লেখক যখন অভিশাপের দিকে আঙুল তোলেন, সাধারণ মানুষ তো সেটা বিশ্বাস করবেই।</p> <p>চলবে...</p> <p>আগের পর্ব:</p> <p><a href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/02/06/1361221">ফারাও তুতেনখামেনের অভিশাপ ১</a></p>