<article> <p style="text-align: justify;">অপর্যাপ্ত ঘুম মনমেজাজকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। রাত জেগে থাকা, অনিয়মিত ঘুম বা ঘুমানোর আগে ফোন ব্যবহার করার মতো অভ্যাস আপনার ঘুমের চক্রকে ব্যাহত করতে পারে। সময়মতো ঘুমের অভ্যাস গড়ে তোলার চেষ্টা করুন। স্বাভাবিক প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন কমপক্ষে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">দিনে ছয় ঘণ্টার কম ঘুমালে তা স্বাস্থ্যহানির কারণ হতে পারে। রোগব্যাধি নিয়ে মানুষের ওপর যত রকমের গবেষণা হয়েছে, সেখান থেকে একটা বিষয় খুব স্পষ্ট। কেউ যত কম ঘুমাবেন, তাঁর আয়ু তত কমবে। কাজেই বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত যদি বাঁচতে চান, শরীর সুস্থ রাখুন এবং রাতে ভালো করে ঘুমান।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">নয়তো পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।</p> <p style="text-align: justify;"><strong>স্মৃতিশক্তি হ্রাস পায়</strong></p> <p style="text-align: justify;">ঘুমের অভাব স্মৃতিশক্তি ও মস্তিষ্কে তথ্য প্রক্রিয়া করার ক্ষমতাকে ব্যাহত করে।</p> <p style="text-align: justify;"><strong>দুশ্চিন্তা বাড়ায়</strong></p> <p style="text-align: justify;">ঘুমের অভাবে মস্তিষ্কের আগাম প্রতিক্রিয়া বাড়ে, ফলে সামগ্রিকভাবে দুশ্চিন্তা বৃদ্ধি পায়।</p> <p style="text-align: justify;"><strong>স্ট্রোকের আশঙ্কা বাড়ে</strong></p> <p style="text-align: justify;">রাতে ছয় ঘণ্টার কম ঘুমালে স্ট্রোকের আশঙ্কা চার গুণ বৃদ্ধি পায়।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;"><strong>ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়</strong></p> <p style="text-align: justify;">ঘুমের অভাবে কর্টিসল ও নরএপিনেফ্রিন বাড়ে, উভয়ই ইনসুলিন প্রতিরোধের সঙ্গে যুক্ত।</p> <p style="text-align: justify;"><strong>বিষণ্নতার লক্ষণগুলো বাড়ে</strong></p> <p style="text-align: justify;">ঘুমের অভাব মস্তিষ্কে নিউরোট্রান্সমিটারকে (রাসায়নিক বার্তাবাহক) ব্যাহত করে, যা মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করে।</p> <p style="text-align: justify;"><strong>স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে</strong></p> <p style="text-align: justify;">গভীর রাতে আলোর সংস্পর্শে এলে মেলাটোনিন হ্রাস পায়। মেলাটোনিন হ্রাস পেলে ইস্ট্রোজেন উৎপাদন ব্যাহত হয়, যা স্তন ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।</p> <p style="text-align: justify;"><strong>হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে</strong></p> <p style="text-align: justify;">ঘুমালে রক্তচাপ কমে।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;"><strong>ওজন বৃদ্ধি পায়</strong></p> <p style="text-align: justify;">ঘুম হরমোনগুলোর ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে, যা আপনাকে ক্ষুধার্ত এবং পূর্ণবোধ করতে সাহায্য করে।</p> <p style="text-align: justify;"><strong>যেসব নিয়ম মানবেন</strong></p> <p style="text-align: justify;">► ঘুমানোর আগে ফোন ব্যবহার নয়</p> <p style="text-align: justify;">► রাত জেগে কাজ করবেন না</p> <p style="text-align: justify;">► প্রতিদিন একই সময় ঘুমানোর চেষ্টা করুন</p> <p style="text-align: justify;">► সন্ধ্যার পর চা-কফি পান করবেন না</p> <p style="text-align: justify;">► নিরবচ্ছিন্ন ঘুমের জন্য ঘরের তাপামাত্রা সহনীয় রাখুন</p> <p style="text-align: justify;">অনেকে ঘুমের সমস্যা দূর করতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে থাকেন। স্লিপিং পিল খেয়ে ঘুমানোর প্রবণতা, একসময় অভ্যাসে পরিণত হয়। যার ফলে স্লিপিং পিল সেবন না করলে স্বাভাবিকভাবে আর ঘুম আসে না। একবার স্লিপিং পিল খাওয়া শুরু করলে হুট করে আর ছাড়া যায় না। ডাক্তারের পরামর্শে ধাপে ধাপে স্লিপিং পিলের মাত্রা কমাতে হয়।</p> <p style="text-align: justify;"><strong>মায়োক্লিনিক অবলম্বনে দাওয়াই ডেস্ক</strong></p> </article>