<p style="text-align:justify">চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে রাজধানীর রেল ভবনে অবস্থিত রেলপথ মন্ত্রণালয় ঘেরাও করে রেখেছেন গেইট কিপাররা। রবিবার (১৮ আগস্ট) সকালে এই অবস্থান কর্মসূচী শুরু হয়। রাত ৮টায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত মন্ত্রণালয় ঘেরাও করে রেখেছিল কর্মচারীরা। এতে করে রেল ভবনে অবস্থিত সব পর্যায়ের কর্মকর্তারা আটকা পড়েছেন। </p> <p style="text-align:justify">জানা যায়, রেলে এক হাজার ৫০৫ জন অস্থায়ী গেট কিপার কর্মরত রয়েছেন। তারা চাকরি স্থায়ী করার দাবি জানান এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে গেটকিপার নিয়োগের তীব্র প্রতিবাদ জানান। </p> <p style="text-align:justify">আটকে পরা অবস্থায় রবিবার রাত সোয়া আটটার দিকে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী মুঠোফোনে কালের কণ্ঠকে বলনে, 'আন্দোলনরত গেইট কিপারদের সঙ্গে আলচনা হচ্ছে। তাঁদের দাবি-দাওয়া যত দ্রুত সম্ভব পূরণ করে দেওয়া হবে। উপদেষ্টা মহাদয় ও সচিব মহাদয় বিষয়টি অবগত আছেন।' </p> <p style="text-align:justify">আন্দোলনরত গেইট কিপাররা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রকল্পের আওতায় তাঁরা কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু এখন চাকরি থেকে বাদ দেওয়ার জন্য চক্রান্ত চলছে। প্রায় ৯ মাস বেতন ভাতা পাচ্ছেন না। আগের সরকারের সময়ও আন্দোলন করেছি। কিন্তু শুধু আশ্বাসই দিয়েছেন সাবেক রেলমন্ত্রী, সচিব ও ডিজিরা।</p> <p style="text-align:justify">আজ দুপুরে রেল ভবনে গিয়ে দেখা গেছে, মূল ফটক আটকে রেখেছেন আন্দোলনকারীরা। বাইরে থেকে কাউকে ভবনের ভেতর প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না। ভেতর থেকেও কোনো কর্মকর্তাকে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। মূল ফটকের সামনে তাঁরা পাহারা দিচ্ছেন। কয়েকজনকে সেখানে শুয়ে থাকতে দেখা গেছে।   </p> <p style="text-align:justify">অস্থায়ী গেইট কিপাররা জানান, বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রায় সাড়ে সাত হাজার অস্থায়ী শ্রমিক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। অথচ যারা ইতিমধ্যে ১২ থেকে ১৪ বছর ধরে রেলওয়েতে কাজ করছেন তাঁদের কাউকে স্থায়ী করা হয়নি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে বলেও জানানো হয়।<br />  </p>