<p style="text-align: justify;">নওগাঁ-২ (ধামইরহাট-পত্মীতলা) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আমিনুল হকের মৃত্যুতে আসনটির নির্বাচন সংক্রান্ত সব কার্যক্রম বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নওগাঁ জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলা এক গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান। </p> <p style="text-align: justify;">এর আগে ঢাকায় নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথও একই তথ্য জানান।</p> <p style="text-align: justify;">গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আমিনুল হকের নির্বাচনী প্রতীক ঈগল। তিনি একজন বৈধ প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হওয়ার পর অদ্য ২৯ ডিসেম্বর ভোর ৫.৩২টায় ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থান মৃত্যুবরণ করেন। এমতাবস্থায় গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ১৭(১) অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী ৪৭, নওগাঁ-০২ নম্বর সংসদীয় আসনের নির্বাচন সংক্রান্ত সব কার্যক্রম বাতিল ঘোষণা করা হলো।</p> <p style="text-align: justify;">আমিনুল হক পত্মীতলা উপজেলার নজিপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র। এছাড়া তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েও পাননি। পরে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন। প্রবীণ এই নেতার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইকালে বাতিল হয়। নির্বাচন কমিশনে আপিল করেও তা ফেরত পাননি তিনি। পরে উচ্চ আদালতে রিট আবেদনের মাধ্যমে প্রার্থিতা ফেরত পান। </p> <p style="text-align: justify;">গতকাল বৃহস্পতিবার আমিনুল হককে ঈগল প্রতীক বরাদ্দ দেন নওগাঁ জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। প্রতীক বরাদ্দের পর অসুস্থ অনুভব করলে তাঁকে ঢাকায় ইউনাইটেড হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোরে তিনি ইন্তেকাল করেন। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, ভাই, বোনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।</p> <p style="text-align: justify;">আমিনুল হকের জন্মস্থান ধামইরহাট উপজেলার লক্ষণপাড়া গ্রামে। তাঁর বাবার নাম নুর মোহাম্মদ। তাঁর জানাজা শনিবার সকাল ১০টায় নজিপুরে এবং বেলা ১১টায় লক্ষণপাড়া গ্রামে অনুষ্ঠিত হবে। </p> <p style="text-align: justify;">এদিকে ইসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বৈধভাবে মনোনীত কোনো প্রার্থী যদি মৃত্যুবরণ করেন অথবা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৯১ক ও ৯১ঙ অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী যদি প্রার্থিতা বাতিল হয়, তবে অনুচ্ছেদ ১৭ এর দফা (১) অনুসারে গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার নির্বাচন কার্যক্রম বাতিল করতে হবে। এরপর গৃহীত ব্যবস্থা তাৎক্ষণিকভাবে নির্বাচন কমিশনকে জানাতে হবে।</p> <p style="text-align: justify;">এতে আরো বলা হয়, কমিশন ওই নির্বাচনী এলাকার জন্য নতুন তফসিল ঘোষণা করবে। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে নির্বাচন অনুষ্ঠানে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে যাদের মনোনয়নপত্র আগে বৈধ হয়েছিল তাদের নতুন করে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে না। এমনকি জামানতের অর্থও জমা দিতে হবে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে।</p>