<p>ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণার পর দেশে ফের অস্থির হচ্ছে পেঁয়াজের বাজার। রাজধানীর খুচরা বাজারে এক দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৮০ টাকা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা এবং আমদানীকৃত ভারতীয় পেঁয়াজ কেজি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।</p> <p>আজ শনিবার রাজধানীর শ্যামবাজার, বাড্ডা ও জোয়ারসাহারা বাজার ঘুরে দেখা গেছে- খুচরা বাজারে গত বৃহস্পতিবার ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হওয়া দেশি পেঁয়াজ আজ বিক্রি হচ্ছে কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকায়। ভারতীয় পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকা বিক্রি হলেও এক দিনের ব্যবধানে দাম বেড়ে আজ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়। </p> <p>বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন- ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করলেও বর্তমানে দেশের বাজারে অস্বাভাবিক হারে দাম বৃদ্ধির কোনো কারণ নেই। কারণ দেশে চাহিদার তুলনায় উৎপাদন ও আমদানি পর্যাপ্ত পরিমাণে হয়েছে। পাশাপাশি নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে উঠতে শুরু করেছে। রপ্তানি বন্ধের অযুহাতে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা তৈরি করেছে। তাই জোরালোভাবেই বাজার তদারকির মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।</p> <p>রাজধানীর দক্ষিণ কুড়িল এলাকায় জোয়ারসাহারা বাজারের মেসার্স ভাই ভাই স্টোরের ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'দাম বেড়ে দেশি পেঁয়াজ কেজি ২২০ টাকায় এবং ভারতীয় পেঁয়াজ কেজি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।'</p> <p>পেঁয়াজ আমদানিকারক ও রাজধানীর শ্যামবাজার পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মাজেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'একদিকে দেশের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গেছে, অন্যদিকে ভারতীয় পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কারসাজি করে বাজারে অস্থিরতা তৈরি করছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বাজারে নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ব্যাপকভাবে বাড়বে, তখন এমনিতেই পেঁয়াজের দাম কমে আসবে।'</p> <p>তিনি আরো বলেন, 'দেশি পেঁয়াজ না থাকায় গত বৃহস্পতিবার ভারতীয় পেঁয়াজ পাইকারিতে কেজি ১০০ টাকায় বিক্রি হয়। আজ (শনিবার) পাইকারিতে ভারতীয় পেঁয়াজ কেজি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি হয়।'</p> <p>এদিকে গতকাল শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে জানায়, বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) থেকে অন্যান্য দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে তারা। আর ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি।</p>