<p>সফলভাবে প্রথম ইউনিটের বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রম চালুর পর এবার দ্বিতীয় ইউনিটেরও বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করেছে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র এসএস পাওয়ার। রবিবার (২২ অক্টোবর) সকাল থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পাওয়ার প্লান্ট কর্তৃপক্ষ।</p> <p>এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটের বাণিজ্যিক উৎপাদন চালু হয়েছিল। দ্বিতীয় ইউনিটের বাণিজ্যিক উৎপাদনের ফলে দেশের বেসরকারি মালিকানাধীন সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দুটি ইউনিটই বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করল। জাতীয় গ্রিডের চাহিদা অনুসারে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।</p> <p>এসএস পাওয়ার প্লান্টের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও) মো. ইবাদত হোসেন ভূঁইয়া বলেন, এটি আমাদের জন্য বেশ আনন্দের খবর। পিডিবি ও সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতায় আমরা এসএস পাওয়ার প্লান্টের দ্বিতীয় ইউনিটের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করতে পেরেছি। এখন এই পাওয়ার প্লান্টের দুটি ইউনিটই প্রত্যাশা অনুযায়ী জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ যুক্ত করতে পারছে। পিডিবির প্রতিনিধিদল ইতিমধ্যে সরেজমিনে প্লান্টের কার্যক্রম দেখেছেন। তারা ঢাকায় ফিরে আমাদের কমার্শিয়াল অপারেশন ডেট (সিওডি) সনদ দেবেন। বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাওয়ার মাধ্যমে সরকারের সঙ্গে ২৫ বছরের চুক্তি বাস্তবায়নও শুরু হবে।</p> <p>বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট সক্ষমতার দুই ইউনিটের বাঁশখালীর এই কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির ৬৬০ মেগাওয়াট সক্ষমতার দুটি ইউনিট রয়েছে। ২৪ মে প্রথম ইউনিট থেকে পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয় এবং দ্বিতীয় ইউনিট পরীক্ষামূলক উৎপাদনে যায় ২৮ জুন। চট্টগ্রাম ভিত্তিক শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ এবং চীনা কম্পানি সেপকো থ্রি ও এইচটিজি-এর যৌথ মালিকানাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্র। বেসরকারি কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পটি ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ইউএস ডলার অর্থাৎ ২৮ হাজার কোটিরও ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে।<br /> এর মধ্যে এস আলম গ্রুপের অংশীদারির পরিমাণ ৭০ শতাংশ এবং বাকি ৩০ শতাংশের মালিকানায় রয়েছে চীনা কম্পানি সেপকো থ্রি ও এইচটিজি।</p> <p>বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) ও এসএস পাওয়ারের মধ্যে চুক্তি সইয়ের পর ২০১৬ সালে এস এস পাওয়ার প্লান্টের কাজ যৌথভাবে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং। এরপর কার্যক্রম শুরু পর অন্যান্য বিদ্যুৎ প্রকল্পের তুলনায় খুব দ্রুতই সফলভাবে পুরোপুরি উৎপাদনে এসেছে এসএস পাওয়ার প্লান্ট।</p>