<p><em>বাংলাদেশের নাট্যাঙ্গনের একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা, আবৃত্তিকার <strong>টনি ডায়েস</strong>। দীর্ঘদিন ধরেই নিউ ইয়র্কে থাকেন তিনি। সেখানে সপরিবারেই আছেন এই অভিনেতা। এবারের বড়দিনের উৎসব নিউ ইয়র্কেই কাটাবেন তিনি। এই দিনটি কিভাবে কাটাবেন সে প্রসঙ্গে কালের কণ্ঠের কথা হলো তাঁর সঙ্গে। </em></p> <p><strong>বড়দিন কেমন কাটাচ্ছেন?</strong></p> <p><strong>টনি ডায়েস: </strong>বড়দিনে বেশ লম্বা এক ছুটি পাচ্ছি। আজকে থেকে আগামী জানুয়ারির ২ তারিখ পর্যন্ত ছুটি। রাতে চার্চে যাব। সেখানে আমাদের কীর্তন হয়, সেই কীর্তনে অংশগ্রহণ করব। নিউ ইয়র্কে যেসব বাংলাদেশি খ্রিস্টান আছে তারা সেই চার্চে আসে, কীর্তনে অংশগ্রহণ করে। সবার সঙ্গে দেখা হবে। তারপর বাসায় চলে আসব। মায়ের বাসায় খাওয়াদাওয়ার আয়োজন হবে। ঘোরাঘুরি হবে, বাসায় বন্ধুবান্ধব, মেহমান আসবে। একদম ছুটির মেজাজে উৎসবের এই দিনটি আনন্দে কাটবে। নিউ ইয়র্কে ক্রিসমাস সবাই উদযাপন করে। এখানে এমনভাবে ধর্মীয় উৎসবগুলো প্রচার করা হয়, যেগুলোতে সবাই অংশগ্রহণ করে। শপিং মলগুলোতে মূল্যহ্রাস থাকে। কেনাকাটা করে, কুপন থাকে। সবাই মিলে খুব আনন্দ করতে পারে।</p> <p><strong>কোন চার্চে যাচ্ছেন?</strong></p> <p><strong>টনি ডায়েস:  </strong>কুইনস অব অ্যাঞ্জেলস চার্চ। এটা বাংলা ভাষার একটি চার্চ। এখানে বাংলাদেশিরা আসে। বাংলাদেশি ফাদার থাকে।</p> <figure class="image"><img alt="nghsswthuk" height="900" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/Nifat/14a8d276-5d58-484e-8939-5f978a45b66e.jpg" width="600" /> <figcaption>প্রিয়া ডায়েস ও টনি ডায়েস</figcaption> </figure> <p><strong>ক্রিসমাসে প্রিয়া ডায়েস আপনাকে কী গিফট দিয়েছে বা আপনি তাঁকে কী দিয়েছেন?</strong></p> <p><strong>টনি ডায়েস:  </strong>আমি অনেক উপহার পেয়েছি। প্রিয়া আমাকে ঘড়ি, ব্লেজার দিয়েছে। আর আমি প্রিয়াকে টাকা দিয়েছি নিজের মতো করে কেনাকাটা করার জন্য।</p> <p><strong>ক্রিসমাস উপলক্ষে আপনি প্রতিবছরই আবৃত্তি বা নাচ এমন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এবার কী করছেন?</strong></p> <p><strong>টনি ডায়েস:  </strong>হ্যাঁ, এবারও আবৃত্তি যাবে। আমি বাংলাদেশের নতুন, তরুণ ছেলেমেয়েদের নিয়ে কাজ করছি। যারা লেখালেখি করে, তাদেরকে লেখায় উৎসাহ দেওয়ার জন্য তাদের কবিতা নিয়ে কাজ করছি। এবারও আবৃত্তি থাকবে। খুব সুন্দর করে লেখা একটি কবিতা। যাকে আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খুঁজে পেয়েছি। এখন তো ভালো কনটেন্টের চেয়ে খারাপ কনটেন্টের পরিমাণই বেশি। কে কতভাবে ভিউ নিয়ে কাজ করতে পারে সেই চিন্তায় থাকে সবাই। সৃষ্টিশীল শিল্প বা রুচিসম্মত কনটেন্ট খুব একটা পাওয়া যায় না। সে জন্য আমি ঠিক করেছি নতুন ছেলেমেয়েরা যেন উৎসাহ পায় তাই তাদের লেখা, কবিতা বা নাটক খুঁজে কাজ করি। এবার যাঁর কবিতা নিয়ে কাজ করছি তিনি হলেন ইথার আক্তারুজ্জামান।</p> <p><strong>নিউ ইয়র্কে তো অনেকে নাটক বানায়। অভিনয়ের কোনো কথাবার্তা বা পরিকল্পনা হচ্ছে কি?</strong></p> <p><strong>টনি ডায়েস:  </strong>এখানে নাটক এমনভাবে কেউ নির্মাণ করে না। মাঝেমধ্যে শিল্পী, নির্মাতারা বাংলাদেশ থেকে আসে, তারা হয়তো কাজ করে চলে যায়। কিন্তু আমি পাই না। আমার ইচ্ছে করে কাজ করতে; কিন্তু গল্প পাই না, তেমন ভালো গল্পের নাটক পাই না।</p> <p><strong>দেশে আসবেন কবে?</strong></p> <p><strong>টনি ডায়েস:  </strong>দেশে আসার পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু কিছু কারণে আসা হচ্ছে না। হয়তো গ্রীষ্মকালে আসতে পারি।</p>