<p>প্রযুক্তির পরিবর্তনের ধরনের সঙ্গে পরিবর্তন হচ্ছে বিনোদনের মাধ্যম। আগে বিনোদনের মাধ্যম ছিল সিনেমা হল। কিংবা টেলিভিশন। সেই মাধ্যম এসে স্থির হয়েছে মুঠোফোনে। মুঠোফোনে বিনোদন দেওয়ার জন্যও দ্রুত জায়গা দখলের প্রতিযোগিতায় চলে এসেছে বহুজাতিক ভিডিও স্ট্রিমিং প্রতিষ্ঠান।</p> <p>মুঠোফোন কিংবা টেলিভিশন বা স্মার্ট টিভির জন্য ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব অনেকটাই বিনোদনের খরা মেটায়। তবে সেটা কতটা প্রয়োজনী বা কতটা অপ্রয়োজনীয় সে বিষয়ে বিতর্ক রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভিডিও প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব।</p> <p>ইউটিউবকে কেন্দ্র করে এখন বিশ্বের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি আবর্তিত হচ্ছে। তেমনই স্বল্পদৈর্ঘ চলচ্চিত্র বা খণ্ড ভিডিওচিত্র প্রকাশের অন্যতম স্থান ইউটিউব। বাংলাদেশের তরুণ, যুবারাও পিছিয়ে নেই। বেশ কয়েক বছর ধরে ইউটিউবের জন্য বিচ্ছিন্নভাবে কিছু 'ইউটিউব শিল্পী' স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বা খণ্ড নাটক, নাটিকা তৈরি করে যাচ্ছিলেন।</p> <p>সেসব বিচ্ছিন্ন শিল্পী এবার একত্রিত হয়েছেন। গঠন করেছেন 'বাংলাদেশ ইউটিউব শিল্পীগোষ্ঠী'। মাস ছয়েক আগে এই সংগঠনের আংশিক কার্যক্রম শুরু হলেও সাম্প্রতিক সময়ে সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরে সংগঠনটির রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করা হয়েছে বলে জানালেন শামিনুর রহমান শামীম খান চিকন আলী। যিনি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।</p> <p>শামীম কালের কণ্ঠকে বলেন, আসলে আমরা অনেকেই চলচ্চিত্রে কাজ করি; কিন্তু চলচ্চিত্রে তো সব সময় কাজ থাকে না। এই সময়টা আমরা ইউটিউবের জন্য নাটক তৈরি করি। এ রকম অসংখ্যজনই করি বিচ্ছিন্নভাবে। কিন্তু আমাদের কোনো পরিচয় নেই। এই পরিচয়ের জন্যই সংগঠন করা। আমরা যাতে পরিচয় দিতে পারি এ জন্যই সংগঠন দাঁড় করিয়েছি। রেজিস্ট্রেশনের আবেদন করেছি।</p> <p>চলচ্চিত্রের কমেডিয়ান হিসেবে পরিচিত শামীম ওরফে চিকন আলী বলেন, 'ইউটিউবে অনেকেই নানা রকম ভিডিও করে থাকে। যেগুলো অপরাধ। এই অপরাধ যারা করে তাদের পরিচয় পাওয়া যায় না। একটা সংগঠনের আওতায় থাকলে সাইবার অপরাধ বিভাগকে সহায়তা করতে পারব। ইতিমধ্যে আমাদের এক হাজার সদস্য হয়েছে। নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হয় এ জন্য।'</p> <p>জাদু আজাদকে সভাপতি ও  শামিনুর রহমান শামীম খান চিকন আলীকে সাধারণ সম্পাদক করে এই নির্বাহী কমিটি আপাতত ইউটিউব শিল্পীগোষ্ঠীকে নেতৃত্ব দিচ্ছে।</p> <p> </p>