<p>দেশের বিভিন্ন ব্যাংকের জন্য ২০২১ সালে নেওয়া সিনিয়র অফিসার পদের নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে পুনরায় পরীক্ষা নেয়াসহ ৫ দফা দাবি করেছেন পরীক্ষায় বাদ পড়া চাকরী প্রত্যাশীরা। </p> <p>রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে 'ব্যাংক চাকরি প্রত্যাশী সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ' এর ব্যানারে মানববন্ধন করা হয়। এর আয়োজন করে, 'প্রশ্নফাঁস ও নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধের দুর্বার আন্দোলন কমিটি'।</p> <p>চাকরি প্রত্যাশীরা জানান, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় কিছু গুরুতর অসঙ্গতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যার খবর নিয়মিত গণমাধ্যমে আসছে। 'একটি অনলাইন গণমাধ্যমে' এ প্রকাশিত খবরে সমন্বিত দশ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ২০২১ সালের সিনিয়র অফিসার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ভয়াবহ দুর্নীতির চিত্র উঠে এসেছে। গত ২১ মে তারিখে নিউজ পোর্টালটি '<a href="https://www.dhakapost.com/exclusive/280531" target="_blank">নিয়োগ ও পদোন্নতি বাণিজ্য আঙুল ফুলে কলাগাছ বিআইবিএমের শাহীনুজ্জামান</a>' শিরোনামে একটি নিউজ প্রকাশিত হয়। এই অনিয়ম বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) এর অর্ধশতাব্দী কালের ইতিহাসে একটা কলঙ্কজনক অধ্যায়। দুর্নীতি ও প্রশ্ন ফাঁস প্রমাণিত হওয়ায় বিআইবিএম'র নেওয়া ২০২১ সালের সিনিয়র অফিসার নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করতে হবে।<br />  <br /> কমিটির আহ্বায়ক মুহাম্মদ তারেকুল ইসলাম বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের মতো দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকার সময় দুইবার মানববন্ধন করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের সময়ও একবার করেছি আমরা। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের আগের দায়িত্বশীলরা আমাদের যৌক্তিক দাবি আমলে নেয়নি। এমনকি স্মারকলিপি দেওয়ার পরও তারা দাবির বিষয়ে কোনো জবাব দেয়নি। এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন পরিচালনা পরিষদ গঠিত হয়েছে, তাই আমরা আশা করছি, দাবির বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভনর্র যথাযথ উদ্যোগ নিবেন। তা না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।</p> <p>তিনি বলেন, আমরা আজকে মানববন্ধন করার পর তিন জনের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কার্যালয়ে যাই। সেখানে ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক মো. জয়নুল আবেদিন বশির এক সপ্তাহের মধ্যে গভর্নরের সঙ্গে দেখা করিয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু আমরা বলেছি ৩ দিনের মধ্যে দেখা করতে চাই।</p> <p>মানবন্ধনে উপস্থাপন দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, নিয়োগ পরীক্ষা নেয়ার ক্ষেত্রে বিআইবিএম'কে কালো তালিকাভুক্ত করা, পরীক্ষায় নিয়োগ ও টেন্ডার দুর্নীতিতে জড়িতদের নিরপেক্ষ সংস্থার মাধ্যমে খুঁজে বের করতে হবে। সরকারি কর্ম কমিশন বা বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের আদলে ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির মাধ্যমে প্রশ্ন তৈরি করা, মৌখিক পরীক্ষার নম্বর কমানো, প্রিলিমিনারী পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার আদলে প্রাপ্ত নম্বর প্রকাশ করতে হবে। কোনো বিজ্ঞপ্তির চূড়ান্ত নিয়োগ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত প্রার্থীর প্রবেশপত্র সার্বক্ষণিকভাবে ওয়েবসাইটে দৃশ্যমান এবং যেকোনো সময় ডাউনলোডের সুযোগ রাখা, সকল প্রয়োজনীয় তথ্য এসএমএস এর মাধ্যমে প্রার্থীর মোবাইলে পৌঁছে দেওয়া। দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত ও প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত সবাইকে খুঁজে বের করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া এবং চাকরি থেকে বরখাস্ত করা।</p> <p>মানববন্ধনে ঢাকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ থেকে পাস করা চাকরি প্রত্যাশী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।</p>