<p>ঢাকার ধামরাই থানায় এখন কোনো পুলিশ নেই। ভবনের সামনে ও থানা চত্বরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সাড়ি সাড়ি পোড়া গাড়ি ও মোটরসাইকেল। থানা ভবনের প্রধান ফটকে অন্যের দেওয়া তালা ঝুলছে। সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেলে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।</p> <p>মঙ্গলবার থানা চত্বরে গিয়ে দেখা যায় ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের ক্ষতচিহ্ন। ভবনের চারপাশে পুলিশের ব্যবহার করা আগুনে পোড়া ছয়টি পিকআপ, পুলিশের প্রিজন ভ্যান, ৩০-৪০টি মোটরসাইকেল। ভবনের ভেতরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নথিপত্র। থানা থেকে লুট আগ্নেয়াস্ত্রসহ নানা জিনিসপত্র করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। আসামিদের গারদখানায় নেই কোনো তালা। বলা হচ্ছে, পুলিশের করা নাশকতা মামলার রিমান্ডে আনা আসামিরা চলে গেছে। </p> <p>এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা গেছে, সোমবার সকালে কয়েকটি পিকআপে করে পুলিশ ধামরাইয়ে থানা বাসস্ট্যান্ড, ঢুলিভিটা, কালামপুর, আইঙ্গন, সীমা সিনেমা হলসহ কয়েকটি এলাকায় ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ ছাড়া শরিফবাগ এলাকায় তিনজন মহিলা দাড়িয়ে থাকাবস্থায় তাদের উদ্দেশ্যে গুলি করে পুলিশ। ওই সময় শওকত আলীর স্ত্রীর মাথায় আংশিক গুলি লাগে এতে সে লুটিয়ে পড়ে। </p> <p>এ ঘটনার পর থেকে এলাকার হাজার হাজার জনতা লাঠিসোঁটা নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবন ভাঙচুর, পৌরভবন ভাঙচুর এবং পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে কার্যালয়ের দুটি গাড়ি। থানা ঘেরাও করার সময় পুলিশ শতাধিক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে অন্তত ৩০ জন আহত হয়। এক পর্যায়ে তারা পিছু হটে যায়। এ ঘটনায় সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আফিকুল ইসলাম সাদ গুরুতর আহত হন। তাকে সাভার এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে বলে জানান তার ছোট ভাই আকিফ।</p> <p>ধামরাই থানা মসজিদের ইমাম আবুল কালাম জানান, এখন থানায় কোনো পুলিশ সদস্য নেই। তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে থানার উভয় ফটকে তালা দেওয়া হয়েছে।</p>