<p style="text-align:justify">সরকার পতনের এক দফা দাবিতে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে জয়পুরহাট শহর। এসময় সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন মেহেদী হাসান নামের এক শিক্ষার্থী। </p> <p style="text-align:justify">এ ঘটনায় জয়পুরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. সামসুল আলম দুদুসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, আন্দোলনকারী ও সাংবাদিকসহ ৬৭ জন আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।</p> <p style="text-align:justify">রবিবার (৪ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে আন্দোলনকারীরা জেলা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ  অফিসে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারশেল, সাউন্ডগ্র্যানেড ও গুলি ছুড়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।</p> <p style="text-align:justify">জানা গেছে, রবিবার বেলা ১১টায় বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে শহরের জিরো পয়েন্টে জড়ো হয় আন্দোলনকারীরা। সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকালে আন্দোলনকারীদের একটি অংশ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। অফিসে থাকা স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সামছুল আলম দুদুসহ আওয়ামী লীগের ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হন। পরে আন্দোলনকারীরা ট্রাফিক পুলিশ কার্যালয় ও সদর থানায় হামলা করে।</p> <p style="text-align:justify">পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করলে আহত হন আন্দোলনকারী ও পথচারীসহ আরো ৪৭জন। আহত সবাইকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। </p> <p style="text-align:justify">পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নুরে আলম বলেন, আন্দোলনকারীদের ইট-পাটকেলে ১২ জন পুলিশ আহত হয়েছে।</p>