<p style="text-align: justify;">ময়মনসিংহের সুতিয়া নদী থেকে উদ্ধার হওয়া লাগেজের ভেতরে থাকা মৃত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সৌরভ হত্যাকাণ্ডে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তবে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে সৌরভের আপন চাচা ইলিয়াসকে খুঁজছে পুলিশ।</p> <p style="text-align: justify;">পুলিশ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে সৌরভের চাচাকে কেন খুঁজছে জানতে চাইলে স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, পারিবারিক বিবাদের কারণে সৌরভ তার চাচার হাতে খুন হয়ে থাকতে পারেন। </p> <p style="text-align: justify;">সূত্র জানায়, এক মাস আগে প্রেম করে পরিবারের অমতে আপন চাচা ইলিয়াসের মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন সৌরভ। এই বিয়ে মেনে নেননি ইলিয়াস। </p> <p style="text-align: justify;">এ নিয়ে এক মাস ধরে মোবাইল ফোনে সৌরভের বাবা ইউসুফকে বিভিন্ন রকম হুমকি দেন ইলিয়াস। হুমকির কথা প্রথমে কাউকে বলতে না পারলেও অবস্থা বেগতিক দেখে কিছুদিন ধরে বিষয়টি পরিবারের অনেককেই জানিয়েছেন ইউসুফ।</p> <p style="text-align: justify;">এ বিষয়ে জানতে চাইলে সৌরভের এলাকা সম্পর্কিত দাদা লুৎফর রহমান বলেন, ‘এ বিষয় নিয়ে সৌরভের বাবা ইউসুফ কয়েক দিন আগে আমার কাছে পরামর্শ চায় কী করা যায়। ইউসুফ থানায় ইলিয়াসের নামে জিডি করবে কি না, এ পরামর্শও চায়। কিন্তু নিজের ভাইয়ের বিরুদ্ধে জিডি করতে আমি নিরুৎসাহিত করি।’</p> <p style="text-align: justify;">তিনি আরো বলেন, ‘এর মধ্যে ইলিয়াসের মেয়ে সৌরভের কাছ থেকে কানাডায় চলে গেছে বলে আমাকে জানায় ভাতিজা ইউসুফ। এ ঘটনা নিয়েও বেশ উদ্বিগ্ন ছিল সৌরভের বাবা। এ অবস্থায় গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে আমাকে ফোন করে জানায়, সৌরভ সন্ধ্যার দিকে বের হয়ে আর বাসায় ফিরে আসেনি। এখন তার ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। পরে আজ রবিবার বিকেলে গ্রামের বাড়ি থেকে জানানো হয় নিখোঁজ সৌরভের লাশ পাওয়া গেছে।’</p> <p style="text-align: justify;">এ বিষয়ে জানতে চাইলে রবিবার (২ জুন) রাত ৯টার দিকে ময়মনসিংহ ডিবি পুলিশের ওসি ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আমরা অনেকাংশে নিশ্চিত যে পারিবারিক কারণে সৌরভকে খুন করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা সৌরভের চাচা ইলিয়াসকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছি। তিনি পলাতক রয়েছেন। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে গ্রেপ্তার করতে পারব।’</p> <p style="text-align: justify;">এর আগে রবিবার (২ জুন) সকালে ময়মনসিংহ সদর ও মুক্তাগাছা উপজেলার সীমান্তবর্তী মনতলা ব্রিজের নিচে সুতিয়া নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক তরুণের খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় নদী থেকে কালো রঙের একটি ট্রলি লাগেজ থেকে মরদেহের তিন খণ্ড এবং পাশেই একটি বাজারের ব্যাগে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় খণ্ডিত মাথা উদ্ধার করা হয়। এরপর প্রযুক্তির সহায়তায় নিহত সৌরভের পরিচয় শনাক্ত করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।</p>