<p>যশোরের অভয়নগর থেকে চুরি হওয়া গম নড়াইল জেলা সদর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। গম বহনকারী ট্রাক থানা হেফাজতে রয়েছে। থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটক দুজন হলেন- নড়াইল জেলা সদর থানার মির্জাপুর গ্রামের খন্দকার লায়েক আলীর ছেলে মঈন উদ্দিন ও একই জেলার উজিরপুর গ্রামের নিছার উদ্দিনের ছেলে এশারত উদ্দিন। </p> <p>পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৩১ মার্চ ফরিদপুর কোতোয়ালী থানা এলাকায় মেসার্স হারুন গফ্ফার ফ্লাওয়ার মিলের কাছে ১৯ টন ৯৩০ কেজি রাশিয়ান গম বিক্রি করে নওয়াপাড়ার মা ট্রেডিং। যার আনুমানিক মূল্য ৭ লাখ ৭ হাজার ৫০০ টাকা। নওয়াপাড়া থেকে ফরিদপুরে পৌঁছানোর জন্য স্থানীয় বনিক ট্রান্সপোর্ট এজেন্সিকে গম লোডের কাজ দেওয়া হয়। কাজ পেয়ে বনিক ট্রান্সপোর্ট পরশ কম্পানির একটি ট্রাক ভাড়া করে। যে ট্রাক নওয়াপাড়া নদীবন্দর এলাকায় পীরবাড়ী সংলগ্ন দেশ ট্রেডিং নামের একটি ঘাট থেকে গম লোড দেয়। এ সময় ওই ট্রাকের চালক ছিলেন অভয়নগরের পাঁচকবর এলাকার আমির হোসেনের ছেলে নেয়ামত হোসেন। নির্ধারিত সময়ে গমভর্তি ট্রাক ফরিদপুরের মেসার্স হারুন গফ্ফার ফ্লাওয়ার মিলে না পোঁছালে বনিক ট্রান্সপোর্টের মালিক চন্দন দত্ত বাদি হয়ে অভয়নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।</p> <p>এ ব্যাপারে রবিবার বিকালে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আকিকুল ইসলাম বলেন, ‘মামলা দায়েরের পর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রবিবার ৭ এপ্রিল ভোর রাতে নড়াইল জেলা সদরে অভিযান চালানো হয়। পরে ঘটনার সঙ্গে জড়িত মির্জাপুর গ্রামের খন্দকার লায়েক আলীর ছেলে মঈন উদ্দিনকে আটক করা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নড়াইল অটো ফ্লাওয়ার মিল থেকে ২৬৬ বস্তা আটা, ৪৪ বস্তা ভূষি, ৩৩৮টি খালি বস্তা উদ্ধার করা হয়। এ সময় গম ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত উজিরপুর গ্রামের নিছার উদ্দিনের ছেলে এশারত উদ্দিনকে আটক করা হয়। সকালে গম বহনকারী ট্রাকটি অভয়নগরের পরশ আটা কম্পানির সামনে থেকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে রাখা হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের আটকে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’  </p>