<p style="text-align: justify;">রাজশাহীতে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ভোর ৬টায় রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমন অবস্থায় তীব্র শীতে যেখানে জনজীবন কাহিল হয়ে পড়েছে, ঠিক সে সময় স্কুলে যেতে হয় শিশু-কিশোরদের।</p> <p style="text-align: justify;">কোনো কোনো স্কুলে মর্নিং শিফট ও ডে শিফট চালু থাকায় সকাল ৮টা থেকেই ক্লাস শুরু হয়। ফলে শিক্ষার্থীদের বাড়ি থেকে বের হতে হয় সকাল সাড়ে ৭টার মধ্যে। কিন্তু স্কুলে যাওয়ার পর শিক্ষার্থীরা সকাল ১০টার দিকে নোটিশ পায়, বিদ্যালয় শীতের কারণে বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এতে করে অনেক স্কুলই আর সে নির্দেশনা মানেনি। তীব্র শীত উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করতে থাকে। <br /> এর আগে তীব্র শীতের কারণে দুই দিন স্কুল বন্ধ ছিল। মঙ্গলবার সকাল থেকেই আগের নিয়মে স্কুলগুলো খুলছে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্কুল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। তবে উচ্চ বিদ্যালয়ের স্কুলগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়নি।</p> <p style="text-align: justify;">গত শনিবার ২০ জানুয়ারি রাতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. শরমিন ফেরদৌস চৌধুরীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী এবং বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে। রবি ও সোমবার রাজশাহী জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হলো।</p> <p style="text-align: justify;">প্রাথমিক বিদ্যালয় চালু করে আবার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা অফিস। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম বলেন, আমরা আবহাওয়ার খবর পেয়ে স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটার পরামর্শ দিয়েছেন আমাদের উপপরিচালক। তিনি অফিসে এসে স্কুল বন্ধের নির্দেশ দেন।</p> <p style="text-align: justify;">এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনো স্কুলের সময় হয়নি। আমরা ১০টা থেকে ক্লাস শুরু করব বলে জানিয়েছিলাম। যদি কেউ আসে, তাহলে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হবে।</p> <p style="text-align: justify;">স্কুল খোলার ঘোষণার পর শিশুদের সকাল থেকে যেতে দেখা যায়। রাজশাহী মহানগরীর টিকাপাড়া এলাকায় অবস্থিত মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন শ্রেণির শিশুদের ছুটি বলে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কী কারণে ছুটি তা বলা হচ্ছে না।</p> <p style="text-align: justify;">একই অবস্থা অন্য সব প্রাথমিক স্কুলে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, ক্লাস শুরু হওয়ার ১৫ মিনিট আগে স্কুল ছুটির বার্তা পেয়েছি। শিশুরাও স্কুলে চলে এসেছে। এখন বুঝিয়ে তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হয়নি। আকাশেও রোদ আছে। দুটি ক্লাস করিয়ে তাদের ছুটি দেওয়া যেত।</p> <p style="text-align: justify;">জেলা শিক্ষা অফিসার মোহা. নাসির উদ্দিন বলেন, সোমবার তাপমাত্রা স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছিল। মঙ্গলবার স্কুল খোলার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, তাই আর বন্ধ করা হচ্ছে না। শিক্ষার্থীদের ক্লাসে বেশি চাপ দিতে নিষেধ আছে। তাদের রোদে পাঠাতে বলা হয়েছে। এখন আর বন্ধের মতো পরিস্থিতি নেই। সব শিক্ষার্থী স্কুলে চলে এসেছে। আমরা বিকেলে বসে ঠিক করব আগামীকাল স্কুল খুলবে কি না। এ বিষয়ে আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হবে।</p> <p style="text-align: justify;">রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন বলেন, আগামী কয়েক দিন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। এ সময় দিনের তাপমাত্রা বাড়বে ও রাতের তাপমাত্রা কমবে। আশা করা হচ্ছে, আগামী সপ্তাহ থেকে তাপমাত্রা স্বাভাবিক হয়ে যাবে।</p> <p style="text-align: justify;">তিনি আরো বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোর ৬টায় রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ।</p>