<p>ডামুড্যায় জমির ফসল খেয়ে ফেলার কারণে গম ও ধানের সাথে বিষ মিশিয়ে দেশি-বিদেশি অতিথি পাখিসহ দুই শতাধিক পাখি নিধনের অভিযোগ উঠেছে সাবেক ইউপি সদস্য শাহজাহান মাদবরের বিরুদ্ধে। </p> <p>আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার সিড্যা ইউনিয়নের মধ্য সিড্যা গ্রামের খনার পাড় ফসলি জমির মাঠে এ ঘটনা ঘটে। শাহজাহান মাদবর উপজেলার সিড্যা ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য।</p> <p>স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন ঘুঘু, শালিক, বক, চড়ুইসহ হাজার হাজার দেশ-বিদেশি অতিথি পাখি খাবারের জন্য ফসলী জমির মাঠে আসে। দেশি-বিদেশি পাখির কলকাকলিতে মুখর থাকে পুরো ফসলের মাঠ। ফসলী মাঠে ফসল খায় পাখিরা। আর সেজন্য কিছুদিন ধরে শাহজাহান মাদবর ও তার লোকেরা গম এবং ধানের সাথে বিষ মিশিয়ে তা জমিতে ছিটিয়ে রাখতেন। সেই বিষ খেয়ে পাখি মারা গেলে তারা তা মাটিতে পুঁতে রাখতেন। বর্তমানে পুরো জমিতে দড়ি টানিয়ে রাখা হয়েছে। দড়ির সাথে মৃত পাখি আটকে রাখছেন তারা।</p> <p><img alt="পাখি" height="600" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/Nahid/Untitled-25a.jpg" width="1000" /></p> <p>পাখি পালক পাখাল রাব্বি বলেন, ‘আমি শুনে ঘটনাস্থলে এসেছিলাম। তার জমি থেকে পাখি তো লাখ টাকার ফসল খায় না। মাঝেমধ্যে এসে বসে। তাই বলে বিষ দিয়ে পাখি মারতে হবে কেন? পাখিতে সমস্যা হলে তিনি তার জমিতে জাল দিয়ে রাখতে পারেন। এভাবে অবুঝ এই প্রাণীগুলোকে মেরে ফেলার তার কোনো অধিকার নেই। সবচেয়ে কষ্ট লাগছে সে পাখিগুলো মেরে আবার তাদের ডানা আটকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখেছে। এর থেকে কষ্টের কিছু নেই।’</p> <p>পাখি নিধনকারী শাহজাহান মাদবর বলেন, ‘মরা পাখিগুলোর ছবি তুলতে হবে কেন? আমি তো পাখির জন্য গম বপন করি নাই। এগুলো আপনাদের দেওয়ার দরকার নেই। কত কিছু আছে সেগুলো দেন। আমার গম ক্ষেতের ছবি তোলা লাগবে না। পাখিগুলো আমার ফসল খেয়ে ফেলে তাই বিষ দিয়েছি। তাতে সমস্যা কোথায়?’</p> <p>ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোবাশ্বের আলম বলেন, ‘বিষয়টি আমি জেনেছি। পাখি হত্যাকারীদের আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসব।’</p>