<p>নিষেধাজ্ঞা শেষে নদী ও সাগরে ইলিশ ধরছেন জেলেরা। বঙ্গোপসাগর থেকে কোনো ট্রলার না ফিরলেও নদীর ইলিশ প্রতিদিন আসছে আরতে। জেলেদের ভাষ্য, এবার ইলিশের পরিমাণ কম। জাটকা বা ছোট ইলিশের পরিমাণ বেশি। দুই-একটি বড় ইলিশ নদীতে মিললেও তার পেটে ডিম পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলেরা।</p> <p>বাগেরহাটের শরণখোলার জেলেরা সাধারণত ইলিশ ধরেন বলেশ্বর ও ভোলা নদীতে। সেখানে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি জেলেদের। </p> <p>উপজেলার জিলবুনিয়া গ্রামের জেলে রাসেল ফরাজী সোমবার বলেশ্বর নদীতে জাল ফেলে দুই কেজি জাটকা পেয়েছেন। একই সঙ্গে ৮০০ গ্রাম ওজনের দুটি বড় ইলিশ পেয়েছেন তিনি। বড় ইলিশ দুটির পেটেই ডিমবোঝাই ছিল বলে জানিয়েছেন রাসেল।</p> <p>তারই প্রতিবেশী জেলে জাকির ফরাজীও সেদিন তিন কেজি জাটকা পেয়েছেন বলে জানান।</p> <p>জেলেদের দাবি, গত বছর এবং তার আগের মৌসুমে প্রতিদিন এসব নদী থেকে ১০ থেকে ১২ কেজি ইলিশ আহরণ করতেন প্রত্যেক জেলে। তাদের দাবি এবার নদীতে পাওয়া বড় ইলিশের ৭৫ শতাংশের পেটেই ডিম পাওয়া যাচ্ছে।</p> <p>শরণখোলা উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা বিনয় কুমার রায় স্থানীয় জেলেদের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বলেন, নিষেধাজ্ঞার পরে জেলেদের জালে ধরা পড়া অধিকাংশ ইলিশের পেটে ডিম রয়েছে। এ ব্যাপারে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।</p> <p>এদিকে ইলিশ কম হওয়ায় দামও বেশি বলে জানিয়েছেন মাছ ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে ৮০০ গ্রাম থেকে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ থেকে ১৬০০ টাকা দরে। ৫০০ গ্রাম থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, ৩০০ ও ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৬০০ টাকা এবং জাটকা বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে।</p> <p>শরণখোলা সমুদ্রগামী ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল হোসেন জানান, নিষেধজ্ঞার পর সমস্ত ফিশিং ট্রলার সাগরে অবস্থান করছে। দুর্গম সাগরে মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় কী পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়ছে তা জানা সম্ভব হচ্ছে না।<br />  </p>