<p>মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে নানা গুঞ্জন ও অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি মৌলভীবাজার জেলা কমিটিতে অনুমোদনের জন্য প্রেরিত ওই কমিটির তালিকা প্রকাশিত হওয়ায় তোলপাড় চলছে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাঝে। অভিযোগ উঠেছে সর্বশেষ কমলগঞ্জ পৌরসভায় নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া নেতারা বিভিন্ন পদ পেয়েছেন এবং যুবদল, হেফাতপন্ত্রী অনেকেই জায়গা করে নিয়েছেন কমিটিতে। দাখিলকৃত উপজেলা কমিটির বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।</p> <p>জানা গেছে, সম্মেলনের প্রায় দেড় বছর পর কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি চূড়ান্ত করে ১২ এপ্রিল মৌলভীবাজার জেলা কমিটিতে প্রেরণ করা হয়। কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল হয় ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর। সে সময় সংগঠনের জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ সভাপতি পদে আসলম ইকবাল মিলন ও সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট এস এম আজাদুর রহমান ও সহ-সভাপতি এবং যুগ্ম সম্পাদক পদসহ ৬ সদস্যের কমিটি গঠন করেন। এর প্রায় দেড় বছর পর ১২ এপ্রিল ৭১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি চূড়ান্ত করে জেলা কমিটির কাছে জমা দেন উপজেলা নেতৃবৃন্দ। প্রেরিত ওই কমিটিতে দলের তৃণমূলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন না করে নৌকার বিরোধী, যুবদল, হেফাজত, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি, সম্পাদকের মেয়ে, ভাইসহ আত্মীয় স্বজনদের কমিটিতে স্থান দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয় বয়স্ক অসুস্থ নেতাদেরও রাখা হয়েছে কমিটিতে। আবার অনেকেই গুরত্বপূর্ণ পদের যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও পদ পাননি বলে জানা গেছে।</p> <p>এতে ক্ষোভ বিরাজ করছে নেতাকর্মীদের মধ্য। এমনকি স্থানীয় এমপি উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ ও উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুর রহমানের ভাই, ভাগ্নেরা পদ পাওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, জাতীয় সংসদ, উপজেলা, ও সবশের্ষ পৌরসভা নির্বাচনে প্রকাশ্যে নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া সানোয়ার হোসেন, আব্দুল মুমিন তরফদার, খন্দকার আহমদ হোসেন, রাসেল মতলিব তরফদার, মুজিবুর রহমান. করুনা শর্মা গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েছেন। এ ছাড়া আদমপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক অর্থ-সম্পাদক ফারুক আহমদ, এসএম মাহফুজুর রহমান, জামায়াত নেতা নুরুল ইসলামও স্থান পেয়েছেন প্রস্তাবিত তালিকায়।</p> <p>বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা ক্ষোভের সঙ্গে অভিযোগ করে বলেন, প্রস্তাবিত ৭১ সদস্যে বিশিষ্ট কমিটিতে সরাসরি হেফাজত, বিএনপি রাজনীতিতে জড়িতরা ছাড়াও কমিটি আত্মীয়করণ ও পরিবারতন্ত্রের মহড়াই বলা চলে। তারা বলেন, বর্তমান কমিটির সভাপতি আসলম ইকবাল মিলনের মেয়ে রোকশানা আক্তার, ভাই বদরুল আলম, আত্তীয় আব্দুল আহাদ ফারুক, খলিলুর রহমানও স্থান পেয়েছেন ওই কমিটিতে। সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এস এম আজাদুর রহমানের ভাতিজা, চাচাতো ভাইও কমিটিতে রয়েছেন।</p> <p>নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেন, এখন আর দলের কাজ করা লাগে না। আত্মীয়-স্বজন নেতা হলেই পদ পাওয়া যায়।</p> <p>কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আসলম ইকবাল মিলন বলেন, দলের সাংগঠনিক ভিত্তি কমিটির অনুমোদনের পর তালিকা প্রকাশ হলে কারা আছেন না আছেন তখন দেখতে পারবেন। আমরা অবশ্যই স্বচ্ছতার সঙ্গে তালিকা প্রেরণ করেছি।</p>