<article> <p style="text-align: justify;">সিটি করপোরেশনের বাড়ির মালিকরা বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন। অথচ বেশির ভাগেরই নেই করদাতা শনাক্তকরণ নাম্বার (টিআইএন)। করযোগ্য আয় থাকার পরও আয়কর রিটার্ন জমা দেন না তাঁরা। এতে কয়েক হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। কর ফাঁকি রোধ ও করযোগ্য ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে করের আওতায় আনতে নতুন চ্যালেঞ্জে নেমেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative" data-id="1398776"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="বন্ধ হলো টিটিপাড়া-কমলাপুর সড়ক, খুলবে নভেম্বরে" class="img-fluid rounded-start m-0 w-100" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/06/20/1718860777-525a84eba32b97d401878ea88c728afa.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p class="p-1 m-0 lh-sm">বন্ধ হলো টিটিপাড়া-কমলাপুর সড়ক, খুলবে নভেম্বরে</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/dhaka/2024/06/20/1398776" target="_blank"> </a></div> </div> </article> <article> <p style="text-align: justify;">জানা গেছে, এনবিআরের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সরকারি-বেসরকারি অন্তত ১৬টি প্রতিষ্ঠানের সিস্টেমে আন্তঃসংযোগ স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে ২৫ শতাংশ, ২০৩১ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে শতভাগ আন্তঃসংযোগ স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।</p> <p style="text-align: justify;">তথ্য বলছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও নারায়ণগঞ্জ শহর এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) বর্তমান গ্রাহকসংখ্যা ১০ লাখ ২১ হাজার।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative" data-id="1398769"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="মানা হয়নি নির্ধারিত দর, অর্ধেক দামে বিক্রি হয়েছে চামড়া" class="img-fluid rounded-start m-0 w-100" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/06/20/1718857452-eb21bc3e030d5c84b22c47a3f548802e.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p class="p-1 m-0 lh-sm">মানা হয়নি নির্ধারিত দর, অর্ধেক দামে বিক্রি হয়েছে চামড়া</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/business/2024/06/20/1398769" target="_blank"> </a></div> </div> </article> <article> <p style="text-align: justify;">এর মধ্যে মাত্র তিন লাখ ৬৫ হাজার ব্যক্তির টিআইএন রয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কম্পানি লিমিটেডের (ডেসকো) বর্তমান গ্রাহকসংখ্যা ১২ লাখ ৪০ হাজার। তাদের আয়করের বিষয়ে সঠিক তথ্য পাওয়া না গেলেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করেন, করজালের বাইরে আছেন অন্তত ৬০-৭০ শতাংশ গ্রাহক।</p> <p style="text-align: justify;">এসব এলাকায় বিদ্যুতের গ্রাহক মানেই তাঁরা সবাই বাড়ি বা ফ্ল্যাটের মালিক। অর্থাৎ বাড়ির মালিক হওয়া সত্ত্বেও আয়কর রিটার্ন বা আয়কর দেন না তাঁরা। এটা মাঠ পর্যায়ে সেবা প্রদানকারী মাত্র দুটি সংস্থার চিত্র। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে গ্রাহকসেবা দিচ্ছে এমন ডজনখানেক সংস্থা। আয়কর কর্মকর্তাদের দাবি, এসব গ্রাহক প্রতিবছর হাজার হাজার কোটি টাকার কর ফাঁকি দিচ্ছেন।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">এই রাজস্ব ফাঁকি রোধে এনবিআর তাদের সব সিস্টেমের সঙ্গে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ডিপিডিসি ও ডেসকো, বিআরটিএ, প্রধান আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রকের দপ্তর (সিসিআইঅ্যান্ডই), ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি), বিডা, বেপজা, বেজা, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বাংলাদেশ ব্যাংক, আইবাস++, বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংক, সিটি করপোরেশন, ভূমি মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসিকে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনবিআরের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সেবাগ্রহীতাদের প্রযুক্তিনির্ভর সেবা, নির্ভুল তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধ ও রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার হার কয়েক গুণ বৃদ্ধির পরিকল্পনা রয়েছে। এ জন্য সরকারি ও বেসরকারি ১৬টি সংস্থার সিস্টেমে আন্তঃসংযোগ স্থাপন করা হবে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা গেলে করজাল আরো বড় হবে এবং রাজস্ব আদায় বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে। বর্তমান এক কোটি টিআইএন খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে দুই থেকে তিন গুণ হয়ে যাবে। বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় দ্রুতই এ কার্যক্রম শুরু হবে।’</p> <p style="text-align: justify;">তিনি আরো বলেন, ‘আমরা মনে করি শুধু বিদ্যুৎ, গ্যাস আর সিটি করপোরেশনের ডাটাবেইসের সঙ্গে আন্তঃসংযোগ করতে পারলেই অন্তত দুই কোটি করদাতা বেরিয়ে আসবেন। উদ্যোগটি সফল হলে রাজস্ব আহরণের সঙ্গে সম্পর্কিত সব সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের তথ্য ও সেবা শতভাগ অনলাইনে পাওয়া সম্ভব হবে।’</p> <p style="text-align: justify;">মূলত আয়কর, ভ্যাট, আমদানি-রপ্তানি ও আবগারি শুল্ক আহরণের কার্যক্রম প্রযুক্তিনির্ভর পরিবীক্ষণ, মূল্যায়ন ও নিয়ন্ত্রণ করতেই এমন পরিকল্পনার পথে হাঁটছে এনবিআর।</p> <p style="text-align: justify;">করের আওতা বাড়াতে গত কয়েক বছরে বিপুলসংখ্যক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে টিআইএনের আওতায় এনেছে এনবিআর। এ জন্য সরকারি-বেসরকারি ৪৪টি সেবার বিপরীতে রিটার্ন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যার ইতিবাচক প্রভাব হিসেবে বর্তমানে টিআইএনধারীর সংখ্যা কোটি ছাড়িয়েছে।</p> <p style="text-align: justify;">পাশাপাশি করের আওতা বাড়াতে ও কর ফাঁকি বন্ধ করতে মোটরযান ও নৌযান নিবন্ধন, সব ধরনের ট্রেড লাইসেন্স এবং ঠিকাদার তালিকাভুক্তি কিংবা নবায়নে আয়কর রিটার্ন বাধ্যতামূলক করতে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ২০২২ সাল থেকে চিঠি চালাচালি করে আসছে এনবিআর।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative" data-id="1398768"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="কিমকে যেসব উপহার দিলেন পুতিন" class="img-fluid rounded-start m-0 w-100" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/06/20/1718857447-ea2c33f007e33bf09ca81a920a60e7f7.gif" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p class="p-1 m-0 lh-sm"><strong>কিমকে যেসব উপহার দিলেন পুতিন</strong></p> </div> </div> </div> <strong> </strong><a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/06/20/1398768" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align: justify;">বর্তমানে বিআরটিএ থেকে গাড়ি মালিকদের আর জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর থেকে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগকারীদের ডাটা নিয়ে তথ্য যাচাই করার সুযোগ পাচ্ছে এনবিআরের আয়কর বিভাগ। যার সুফল আসতে শুরু করেছে বলে মনে করছেন কর কর্মকর্তারা।</p> <p style="text-align: justify;">আয়কর আইন-২০২৩ অনুযায়ী ই-টিআইএন থাকলে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক। অর্থাৎ দাখিল না করার সুযোগ নেই। কিন্তু অনেকেই আয় গোপন ও কর পরিহারের উদ্দেশ্যে রিটার্ন দাখিল থেকে বিরত থাকছেন। সর্বশেষ তথ্যানুসারে দেশে টিআইএনধারীর সংখ্যা এক কোটি ছাড়িয়েছে। যার মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন ৪১ লাখ ৪৫ হাজার ব্যক্তি।</p> </article>