<p>সরকারের নির্ধারণ করে দেওয়া দামে বিক্রি হচ্ছে না ডিম, তেল, আলু ও পেঁয়াজ। আজ শুক্রবার থেকে নতুন নির্ধারিত দাম অনুযায়ী প্রতি পিস ডিম ১২ টাকা, পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, আলু ৩৫ টাকা এবং সয়াবিন তেল লিটার প্রতি ৫ টাকা কমে ১৬৯ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা। কিন্তু বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, এসব পণ্য আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।</p> <p>আজ শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।</p> <p>গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) খুচরা বাজারে প্রতিটি ডিমের দাম ১২ টাকা, আলুর দাম প্রতি কেজি ৩৫-৩৬ টাকা এবং পেঁয়াজের দাম ৬৪-৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ঘোষণার পর থেকেই বাজারে এ দাম কার্যকর হওয়ার কথা। কিন্তু শুক্রবার আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে এসব পণ্য।</p> <p>বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, পেঁয়াজ ধরনভেদে ৯০ থেকে ১০০ টাকা। প্রতিটি ডিম ১২ থেকে এলাকাভেদে ১৩ টাকা, প্রতি হালি ডিম ৫০ থেকে ৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।</p> <p>রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পাইকারি ও খুচরা দোকানিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাদা ও লাল আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, দেশি পেঁয়াজ প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) ৩৬০ টাকা। আর খুচরা কেজি বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৮০-৯০ টাকা কেজি। ডজন প্রতি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা ও হালিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা।</p> <p>ডিম বিক্রেতা এন্তাজ আলী বলেন, ডিম প্রতি ডজন বিক্রি করছি ১৫৫ টাকা করে, হালিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা করে। সরকারের নতুন দাম নির্ধারণ বিষয়ে কিছুই জানি না। আমরা যদি কম দামে কিনে আনতে পারি, তাহলে কম দামে বিক্রি করতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে খুচরা বাজারে তদারকি করার আগে পাইকারি বাজার এবং আড়তগুলোতে কী দামে বিক্রি হচ্ছে, সেটি আপনাদের দেখা উচিত।</p> <p>মুগদা মধুবাগ বাজারের খুচরা বিক্রেতা আয়নাল হক বলেন, সরকার যে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে ৩৫ টাকা, সেই দামে আলু আমরা কিনতেও পাইনি। বেচব কী করে? এসব আলু আমার আগের কেনা। ৪০ টাকায়ও বিক্রি করার সুযোগ নাই।</p> <p>রামপুরা কাঁচাবাজারের মুদি পণ্য বিক্রেতা আলাউদ্দিন বলেন, সরকারের হিসাব আমাদের জানা নাই। আমরা বেশি দামে কিনলে বেশি দামে বিক্রি করি, কমে কিনলে কমে বেচি।</p> <p>শান্তিনগর বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, ৩০০ টাকা যদি রোজগার করি, তাহলে বাজারেই চলে যায় ২৫০ টাকা। কিভাবে সংসার চলবে? আমাদের অবস্থা এমন হয়েছে যে, কোনো দিন অনাহারে-অর্ধাহারেও থাকতে হয়।</p> <p>বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৮৫ টাকা, ক্রস জাতের পেঁয়াজ ৮০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি আদা ২৬০ টাকা, ইন্দোনেশিয়ার আদা ২৮০-৩০০ টাকা, চায়না রসুন ২০০, দেশি রসুন ২৪০ টাকা, আলু ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।</p> <p>নির্ধারিত দামে বিক্রি না করা নিয়ে আলু-পেঁয়াজের বিক্রেতা ফরিদ উদ্দিন বলেন, আমি গতকাল রাতে আলু কিনেছি। আমি তো কম দামে কিনতে পারিনি, বিক্রি করব কিভাবে। আমার কেনা পড়েছে ৪২ টাকা, তারপর আমার ভাড়া, নষ্ট আলু বাদ দিয়ে ৫০ টাকায়ই বিক্রি করতে হয়।</p>