<p>খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ সকালে বিক্রি হচ্ছিল ৮৭ টাকায়; বিকেলে সেটি বেড়ে ৯০ টাকায় উন্নীত হয়। এখন বাজার পুরোটাই সামাল দিচ্ছে দেশি পেঁয়াজ। ফলে মোকাম থেকে আসা পেঁয়াজই একমাত্র সম্বল। বিকল্প না থাকায় সকাল-বিকেল দাম বাড়ছে পেঁয়াজের।</p> <p>আড়তদারদের শঙ্কা, এই অবস্থা অব্যাহত থাকলে কয়েক দিনের মধ্যেই আড়তেই পেঁয়াজ ১০০ টাকা ছাড়িয়ে যাবে। আর খুচরা বাজারে সেটি এরই মধ্যে ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই কেজি ১৩০ টাকা ছাড়াবে। ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করছেন, সামনে কোরবানির ঈদ আসতে সময় আছে মাত্র ২৩ দিন। এই সময়ের মধ্যে আমদানির অনুমতি না দিলে ক্রেতাদের চরম ভুগতে হবে।</p> <p>আড়তদাররা অভিযোগ করেছেন, কোরবানি পর্যন্ত সামাল দেওয়ার পেঁয়াজ আমাদের মজুদ আছে কি না তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই। আর মজুদ থাকলেও সেগুলো এখনই কেন নিঃশেষ করা হচ্ছে। সামনে বর্ষাকালে সব সময়ই ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশেই পেঁয়াজের সংকট হয়।</p> <p>সেই আপৎকালীন সময় এই মজুদ ব্যবহার করা যেত। এদিকে ভারত থেকে আমদানির অনুমতির অপেক্ষায় দিন গুনছেন স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা। প্রচুর আমদানির অনুমতির (আইপি) আবেদন জমা দিয়ে রেখেছেন কৃষি বিভাগে। </p> <p>হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক শহীদুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমি সাড়ে ছয় হাজার টনের আইপি আবেদন করেছি অনেক আগেই। প্রতিদিনই দিব-দিচ্ছি করে আর অনুমতি মিলছে না।’ তিনি বলেন, ‘আজই যদি অনুমতি দেওয়া হয় কিছু পেঁয়াজ হয়তো ভারতের বর্ডার থেকে আনা সম্ভব হবে। কিন্তু এক সঙ্গে সাড়ে ছয় হাজার টন আনতে গেলে ১০ দিন সময় লাগবে। এটা আরো দ্রুত আনা যেত যদি ভারতীয় সরবরাহকারীর সঙ্গে আমরা কমিটমেন্ট ঠিক রাখতে পারতাম। গত ১৫ দিন ধরেই তো অপেক্ষা করেন বলেই তাঁদের ঝুলিয়ে রেখেছি।’</p> <p>পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়ে থাকে কৃষি বিভাগের উদ্ভিদ সংগনিরোধ দপ্তর। সেই প্রতিষ্ঠানের প্রধান মোহাম্মদ রেজাউল করিম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আদেশ পেলেই তাৎক্ষণিক অনুমোদনের প্রস্তুতি আছে।’</p> <p>বাজারের পরিস্থিতি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করে সরকারকে প্রতিবেদন দেয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। প্রতিষ্ঠানটির ঢাকার এক শীর্ষ কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে অনুমতির জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন গেছে আগেই। সেটি কৃষি মন্ত্রণালয়ে বিবেচনার জন্য আছে। আজ (রবিবার) চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ, শ্যামবাজার, মৌলভীবাজারে আমরা টিম পাঠিয়েছিলাম। সেখানেও দাম বেড়ে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সেটিও আমরা মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছি।’</p> <p>খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে গতকাল রবিবার সকালে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮৫ থেকে ৮৭ টাকায়। বিকেলেই সেই পেঁয়াজ দাম বেড়ে ৯০ টাকায় বিক্রি হয়।</p> <p>খাতুনগঞ্জ আড়তদার কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সকালে ৯০ টাকা দাম দিলেও সেটি বিক্রি হয়নি। কিন্তু বিকেলেই ৯০ টাকা দরেই বিক্রি হয়। কারণ দেশের বিভিন্ন মোকামে সকালে পেঁয়াজের দাম ছিল মণ তিন হাজার ৪০০ থেকে তিন হাজার ৫০০ টাকা। বিকেলেই সেটি বেড়ে চার হাজার টাকায় বিক্রি হয়।’</p>