<p style="margin-bottom:13px">গায়িকা মিলার ঠোঁটে দেখা যায় ছোট্ট গয়না। স্টেজ শো থেকে শুরু করে সব অনুষ্ঠানেই ‌‘বাবুরাম সাপুড়ে’ গায়িকা এই গয়না পরেন। এই তালিকায় আরো আছেন শো স্টপার ও ফ্যাশন মডেল আজরা মাহমুদ, মডেল ও নির্মাতা নানজিবা খানসহ অনেকেই। নানজিবা বললেন, নিছক ভালো লাগা থেকেই ঠোঁটে  পিয়েরসিং করেছেন তিনি। বেশি অলংকার পরতে পছন্দ করেন না। এ জন্য এমন অলংকার বেছে নিয়েছেন, যাতে একটিতেই নিজেকে সবার মধ্যে আলাদা মনে হয়।</p> <p>গয়না পরতে নারীরা নাক-কান ছিদ্র করেন। অনেক সময় কানের ওপরে, নিচে এবং মাঝখানে ছিদ্র করে গয়না পরেন কেউ কেউ। নাকের ওপরে যেমন নাকফুল পরেন, তেমনি আবার নিচে নোলক পরার চলও অনেক জনপ্রিয়। ঠোঁটের পিয়েরসিংও তেমনই একটা ব্যাপার। বললেন রূপ বিশেষজ্ঞ শোভন সাহা। নিজেদের ফ্যাশন সেন্স, ব্যক্তিত্ব বোঝাতেও অনেক তরুণীর মধ্যে এমন অলংকার পরার চল দেখা যায়। ঠোঁটের বাইরে, ভেতরে বা ওপরে পিয়েরসিং করে পরা যায় লিপ পিন।</p> <p style="text-align:center"><img alt="ঠোঁটের গয়না" height="483" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/print/Magazine 2023/29-10-2023/kalerkontho-014.jpg" width="800" /></p> <p>লিপ পিয়েরসিংয়ের ক্ষেত্রে খুবই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত বলে জানালেন শোভন সাহা ও নানজীবা খান। তাঁদের মতে, নাক বা কান ফোঁড়ানোসঙ্গে ঠোঁটের ফোঁড়ানো পার্থক্য আছে। নাক-কান পার্লারে গিয়ে পিয়েরসিং করলেও ঠোঁটের জন্য বিশেষভাবে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত কর্মীর কাছে যেতে হবে। দেশের খ্যাতনামা ট্যাটু প্রতিষ্ঠান থেকে লিপ পিয়েরসিং করা ভালো। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি কম থাকে। এ ছাড়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে লিপ পিয়েরসিং করতে পারেন। পিয়েরসিংয়ের সময় ব্লিডিং হতে পারে। আবার জায়গাটা সব সময় ভেজা থাকে বলে ক্ষত শুকাতেও বেশ সময় লাগে। অনেক সময় এটা থেকে সংক্রমণ হতে পারে। এ জন্য আলাদা সতর্কতা মেনে চলতে হয়। তবে শুকিয়ে গেলে আর কোনো সমস্যা হয় না।</p> <p>ঠোঁটের জন্য সিলভার, গোল্ড বা প্লাটিনাম প্লেটেড লিপ পিন বেছে নিতে হবে। এজাতীয় গয়না ঠোঁটের লালার সংস্পর্শে গেলেও কোনো সমস্যা হয় না। এর বাইরে সোনা, রুপা, পিতল বা তামার তৈরি গয়নাও ঠোঁটে পরা যাবে। বললেন শোভন সাহা। ঠোঁট  ছিদ্র করার আগে পছন্দমতো নকশা দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন লিপ পিন। খুব বেশি প্রচলিত নয় বলে এমন লিপ পিন গয়নার দোকানে সচরাচর কিনতে পাওয়া যায় না। কিছু ট্যাটু শপে পাওয়া যাবে এমন পিন। নকশা ও ম্যাটেরিয়ালের ধরন বুঝে দাম ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। সাধারণত ৫০০ থেকে ৫০ হাজার টাকার মধ্যেই কিনতে বা বানিয়ে নিতে পারবেন লিপ পিন। </p> <p>লিপ পিয়েরসিং করার পর বেরিয়ে আসারও উপায় আছে। একবার করার পর ভালো না লাগলে ঠোঁটের ছিদ্র বন্ধ করা যাবে। এ ক্ষেত্রে লিপ পিনটি খুলে বিশেষ জেলজাতীয় উপাদান ব্যবহারে কিছুদিনের মধ্যে ছিদ্র বন্ধ হয়ে আবার আগের মতো হয়ে যায়। তবে আগে নিজের ভালো লাগার বিষয়টি ভেবেচিন্তে তার পরই লিপ পিয়েরসিং করা উচিত বলে জানালেন শোভন সাহা।</p> <p> </p>