<p>উইন্ডোজ ১০-এর প্রতিটি অ্যাপ্লিকেশনই সাজানো হয়েছে একদম নতুনভাবে। যেকোনো অ্যাপও বের করা আগের থেকে অনেক সহজ এখন। শুধু স্টার্ট মেন্যুতে ক্লিক করে সরাসরি কাঙ্ক্ষিত অ্যাপের নামের প্রথমের কয়েকটি অক্ষর লিখলেই চলে আসে সেই অ্যাপ।</p> <p>স্টার্ট মেন্যুতে গিয়ে Calculator লিখলেই চলে আসবে উইন্ডোজ ১০-এর ক্যালকুলেটর। পরবর্তী সময়ে দ্রুত অ্যাপটি পেতে চাইলে আপনি মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করে স্টার্ট মেন্যুতে পিনও করে রাখতে পারেন।</p> <p>উইন্ডোজ ১০-এর ক্যালকুলেটরের দারুণ একটি সুবিধা হলো চাইলেই ক্যালকুলেটরটি ছোট-বড় করা যায়। একটু বড় করলেই পাশে খুব সহজেই History ও Memory দেখতে পাবেন।</p> <p> সুযোগ-সুবিধার দিক থেকে উইন্ডোজের অন্যান্য সংস্করণের থেকে উইন্ডোজ ১০ ক্যালকুলেটরের দারুণ কিছু পার্থক্য রয়েছে। উইন্ডোজ ১০ ক্যালকুলেটরে গতানুগতিক মেন্যুবার বাদ দিয়ে যুক্ত করা হয়েছে হ্যামবার্গার মেন্যু (ওপরে বাঁ কোণে তিনটি দাগ)। হ্যামবার্গার মেন্যু থেকে ক্যালকুলেটরের বিভিন্ন মুড পাওয়া যাবে। যেমন: স্ট্যান্ডার্ড, সায়েন্টিফিক, প্রগ্রামার ও ডেট ক্যালকুলেশন (নতুন)।</p> <p>তবে এর সঙ্গে নতুন এই ভার্সনে যুক্ত হয়েছে অনেক রকমের কনভার্টার যেমন: Currency, Volume, Length, Weight and Mass, Temparature, Energy, Area, Speed, Time, Power, Data, Pressure, Angle ইত্যাদি।</p> <p>স্ট্যান্ডার্ড মুড : এটা ক্যালকুলেটরের ডিফল্ট মুড। এই মুডে সাধারণ ক্যালকুলেটরের যাবতীয় কাজ করা যাবে।</p> <p>সায়েন্টিফিক মুড: হাই স্কুলপড়ুয়া প্রায় সব শিক্ষার্থীরই এটা ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে। উইন্ডোজ ১০-এও পাওয়া যাবে একদম ফুল ফিচারড এই সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর।</p> <p>প্রগ্রামার মুড: প্রগ্রামিংয়ের সঙ্গে জড়িত বাইনারি, ডেসিমাল, ওকটাল ইত্যাদি নিয়ে যাদের কাজ তাদের জন্য এই মুড।</p> <p>ডেট ক্যালকুলেশন মুড: চাকরির অ্যাপ্লিকেশন করতে গিয়ে অনেকেরই বয়স মাস দিন হিসাব করতে হয়। উইন্ডোজ ১০ ক্যালকুলেটরের নতুন এই মুডে খুব সহজেই বয়স বের করা যায়।</p> <p>কনভার্টার: উইন্ডোজ ১০-এর ক্যালকুলেটরে যুক্ত হয়েছে প্রয়োজনীয় সর্ব প্রকার কনভার্টার। এসব দিয়ে খুব সহজেই প্রয়োজনীয় যেকোনো কিছুর মান নির্ধারণ করতে পারবেন।</p>