<p>স্যার আর্থার কোনান ডয়েলের অমর সৃষ্টি শার্লক হোমস। পৃথিবীর প্রথম কানসাল্টিং ডিটেকটিভ। পোড়া তামাকের ছাই দেখেই কারো সম্পর্কে বলে দিতে পারেন। অসাধারণ বুদ্ধিমত্তা ও পর্যবেক্ষণশক্তির অধিকারী শার্লককে নিয়ে হয়েছে অনেক টিভি সিরিজ, চলচ্চিত্র, মঞ্চনাটকসহ কত কী! গেইমও হয়েছে।  অ্যাডভেঞ্চার অব শার্লক হোমস সিরিজের নতুন গেইম ‘ডেভিলস ডটার’। এখানে গেইমারকে নামতে হবে ২২১/বি বেকার স্ট্রিটের বাসিন্দার ভূমিকায়। শার্লক ঠিক জেমস বন্ডের মতো রমণীমোহন গুপ্তচর নন। অত্যাধুনিক গাড়ি হাঁকিয়ে পিছু নেন না শত্রুর। শার্লক বেশি নির্ভর করেন মগজাস্ত্রের ওপর। এখানেও গেইমারকে তা-ই করতে হবে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে, সূত্র উদ্ধার করে, নানা সূত্র জোড়া দিয়ে, নানা তথ্য বিশ্লেষণ করে পৌঁছতে হবে উপসংহারে। গেইমের মজাটা হলো—কর্মকাণ্ড ও কর্মপদ্ধতির ওপরই নির্ভর করবে ফল। অর্থাৎ বাস্তবের মতো করেই গেইমারকে খুঁটিয়ে দেখতে হবে বিভিন্ন চরিত্রের পোশাক, টুপি, পায়ের ছাপসহ অনেক কিছু। এই গেইমে শার্লককে পাঁচটি আন্তসম্পর্কযুক্ত মামলা তদন্ত করতে হবে। সবগুলো ঠিকঠাক রহস্যভেদ করতে পারলেই উন্মোচিত হবে একটি পরিবারের গোপন ভীতিকর এক রহস্য। গোয়েন্দা গল্পের গেইম বলেই আগে থেকে রহস্যটা ফাঁস করে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে হলফ করেই বলা যায়, বুদ্ধি আর পর্যবেক্ষণের এই খেলায় গোলাগুলির চেয়ে বেশি মজা পাবেন গেইমাররা।</p> <p> </p> <p><strong>যা যা থাকতে হবে</strong> : গেইমটি খেলতে হলে কম্পিউটারে থাকতে হবে ৬৪ বিটের উইন্ডোজ ৭/৮.১/১০ অপারেটিং সিস্টেম, ইন্টেল ডুয়াল কোর এইচটি প্রসেসর ২.৬ গিগাহার্টজ, র‍্যাম ৪ গিগাবাইট, গ্রাফিকস কার্ড এটিআই র‍্যাডিওন ৫৭৫০/এনভিডিয়া জিইফোর্স জিটিএস ৪৫০, ডিরেক্ট এক্স ভার্সন ১১, হার্ডডিস্কে ২০ গিগাবাইট ফাঁকা জায়গা। ১৩ বছরের বেশি বয়সীরা এ গেইম খেলতে পারবে।</p>