<p>যেকোনো দেশেরই উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চালানোর জন্য ঋণের প্রয়োজন হয়। ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য যেমন ঋণের প্রয়োজন হয়, তেমনি সরকারেরও ঋণের প্রয়োজন হয়। সরকারের ঋণ সাধারণত দুটি উৎস থেকে আসে। এক. অভ্যন্তরীণ ঋণ, দুই. বৈদেশিক ঋণ। অভ্যন্তরীণ ঋণের মধ্যে আমরা সাধারণত দেখি, বাংলাদেশে সঞ্চয়পত্র আছে, ডিফেন্স বন্ড আছে, ওয়েজ আর্নারস বন্ড আছে, যেটা দেশের জনগণের কাছ থেকে আহরণ করা হয়ে থাকে। এবং সেটা দেশীয় মুদ্রায় সুদ পরিশোধ করে, আবার বিদেশি মুদ্রায় যেটা—বিদেশি বন্ড মানে ডলার বন্ড, ইনভেস্টমেন্ট বন্ড যেটা আছে, সেটা। আরেকটা বড় উৎস বৈদেশিক ঋণ। বৈদেশিক ঋণ ঢালাওভাবে আমরা বলি। একটা হলো আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বিদেশি কোনো রাষ্ট্র থেকে বা আন্তর্জাতিক কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নেওয়া ঋণ, যেটার সুদ দিতে হয় এবং সেটার একটা মেয়াদে থাকে।</p> <p>আরেকটা হলো বিদেশ থেকে আমরা ঋণ নেই কোনো প্রকল্প প্রজেক্ট—যেমন একটা হাসপাতাল তৈরি করা, একটা ব্রিজ তৈরি করা, একটা টানেল বানানো ইত্যাদি ক্ষেত্রে। তারপর ফুড এইড আছে, ফুডের জন্য ঋণ নয়; সেটা সাহায্য। তারপর অনুদান আছে, যেটা বিভিন্ন স্বাস্থ্য, শিক্ষার ক্ষেত্রে দিয়ে থাকে। বিদেশি ঋণের জন্য নির্দিষ্ট হারে সুদ দিতে হয়, পরিশোধ করতে হয়। এটা সব দেশেই আছে। বাংলাদেশে একইভাবে আমরা বিভিন্ন সময় ঋণ নিয়েছি। </p> <p>বৈদেশিক ঋণ সরকারের মোট দেশজ আয়ের কত শতাংশ, সে বিষয়ে প্রথমে দৃষ্টিপাত করা হয়। বাংলাদেশের এখন পর্যন্ত সর্বমোট দেশি-বিদেশি ঋণ কিন্তু জিডিপির ৪০ থেকে ৪২ শতাংশের বেশি নয়। এটা মোটামুটি একটা সহনীয় পর্যায়ের। বিভিন্ন দেশে কিন্তু ঋণ অনেক বেশি থাকে। এবং সেটা অনেক সময় জিডিপির শতভাগের ওপরে উঠে যায়। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেরও কিন্তু আমাদের চেয়ে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেশি। আমরা জানি, গ্রিস ও ইতালিতে ঋণের বোঝা এত বেশি বেড়েছিল যে তাদের জিডিপির চেয়ে বেশি ছিল ঋণের শতাংশ। তাদের শোধ দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে। পরে আইএমএফ, ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংক এবং অন্যান্য সংস্থা তাদের সহায়তা করেছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বৈদেশিক ঋণ কিন্তু খুব বেশি নয়। </p> <p><img alt="বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের চ্যালেঞ্জসমূহ" height="280" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/04.April/20-04-2024/Untitled-1.jpg" style="float:left" width="322" />এখন আমাদের জন্য কতগুলো প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। প্রথমত, ঋণ যেটা নিচ্ছি, সেটা সঠিকভাবে ব্যবহার করছি কি না? মানে আমাদের প্রয়োজনীয় জিনিসের ওপর ঋণটা ব্যবহার করা হচ্ছে কি না? অনেক সময় দেখা যায়, বাইরের আর্থিক সংস্থাগুলো কিংবা অন্যান্য সংস্থা আমাদের ঋণ নিতে প্রলুব্ধ করে। এতে সরকার এবং সরকারের ঘনিষ্ঠ অনেকে ঋণটা নেওয়ার জন্য উৎসাহ দেয়। সেই টাকা খুব বেশি দরকারে লাগুক বা না লাগুক—ঋণটা পেলে সেটার একটা অংশ কনস্ট্রাকশনসহ নানাভাবে খরচ করা হয়। কারো কারো লাভ হয়। আবার অনেকে এর থেকে কমিশনও নিয়ে থাকে। অতএব এই ধরনের ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের সাবধান থাকতে হবে। এখানে আমাদের প্রয়োজনটা সবার আগে ভাবতে হবে।</p> <p>দ্বিতীয়ত, যে ঋণ আমরা নিয়ে থাকি, এটা সময়মতো যেন ব্যবহার করি। এখানে যেন দীর্ঘসূত্রতা না হয়। পাঁচ বছরের প্রজেক্টে ১৫ বছর লেগে গেলে অনেক খরচ বেড়ে যায় এবং সে ক্ষেত্রে ঋণ পরিশোধের ব্যাপারটা কঠিন হয়ে পড়ে। প্রথমটা হলো ব্যবহার, দ্বিতীয়টা হলো ঋণের সুদের সামর্থ্য। দুটির প্রতিই আমাদের লক্ষ থাকতে হবে।</p> <p>তৃতীয়ত হলো, ঋণের সুদের হার কেমন, ঋণ কত মেয়াদে দিচ্ছে, সেটা। অনেক সময় দেখা যায়, বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক—এদের ঋণের সুদের হার কিন্তু বেশ কম। এগুলো সফট লোন, মানে সহজ শর্তের ঋণ; সেটা ১.২৫ বা ১.৫-এর বেশি হয় না। সেটা অত্যন্ত সহজ শর্তে এবং দীর্ঘ মেয়াদে দেওয়া হয়। গ্রেস পিরিয়ড থাকে। মানে সুদবিহীন একটা সময় দেওয়া হয়। এবং শোধ দেওয়ার সময় ১৫ থেকে ২০ বছর মেয়াদি হয়ে থাকে।</p> <p>আবার কিছু ঋণ আছে আমরা বাই-লেটারালি বা দ্বিপক্ষীয় ভিত্তিতে নিয়ে থাকি। আবার কিছু দ্বিপক্ষীয় ঋণ আমরা কঠিন শর্তে নিয়ে থাকি, যেটাকে সাপ্লাইয়ার্স ক্রেডিট বলে। তার মানে একটা দেশ থেকে ঋণ নিলাম, সে ঋণের সুদের হার একটু বেশি হয়। ঋণের মেয়াদটাও কম হয়; দুই থেকে পাঁচ বছর, পাঁচের বেশি অনেক সময়ই হয় না। সেখানে আবার সুদের হার বেশি থাকে। আর যদি সেটা কোনো প্রজেক্ট বা উন্নয়নকাজে ব্যবহার করা হয়, সে প্রজেক্টে যে দ্রব্যসামগ্রী বা কনসালট্যান্ট, সেগুলো কিন্তু যে দেশ ঋণ নেয়, সে দেশ থেকেই নিতে হয়। এই হার্ড টার্ম বা কঠিন শর্তের ঋণ কিন্তু তেমন সুবিধার নয়। সেই ঋণটায় নানা রকম শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়। আমাদের জন্য সেটা সহনীয় পর্যায়ে থাকে না। অনেক সময় সেটা তারা তাদের ইচ্ছামতো বন্ধ করে দেয়।</p> <p>অতএব কোন দিক থেকে ঋণ আনব, সহজ শর্তের ঋণ কি না, সুদ কত হবে—এই জিনিসগুলো দেখা দরকার। এগুলো যদি আমরা না দেখে ঋণ নিই, তাহলে কিন্তু আমাদের ওপর ঋণ একটা বোঝা হয়ে দাঁড়ায়।</p> <p>গত ১০ থেকে ১৫ বছরে বৈদেশিক ঋণ কিন্তু অনেক বেড়ে গেছে। একটা হিসাবে দেখা গেছে, প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার আমরা ঋণ নিয়েছি এই কয়েক বছরে। এটা একটা বিশাল অঙ্ক। এই ঋণগুলো বেশির ভাগ মেগাপ্রকল্পগুলোতে ব্যয় হয়েছে। আমরা দেখি, ব্রিজ, কালভার্ট, টানেল, ফ্লাইওভার, এক্সপ্রেসওয়ে, রেললাইন নির্মাণে ঋণ নেওয়া হয়েছে। সব কটি যে একবারে প্রাধিকারভুক্ত বা সব কটি স্বল্প সময়ের মধ্যে আমাদের উপকারে আসবে—সেটা নয়। এতগুলো ঋণের বোঝা নেওয়ার আগে আমাদের চিন্তা-ভাবনা করা উচিত ছিল।</p> <p>আমরা প্রতিবছর বাজেটে দেখি, একটা বিশাল অঙ্কের টাকা বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ খাতে চলে যায়—সুদ এবং আসল দুটিই। এই সুদ-আসলে পরিশোধের ব্যাপারটা দিন দিন কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি, আগামী দুই বছর তথা ২০২৬ থেকে বেশ কতগুলো ঋণ আমাদের সুদ-আসলে পরিশোধ করতে হবে। আমাদের ফরেন রিজার্ভের যে অবস্থা, সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের ঋণ পরিশোধ দেওয়ার ব্যাপারটা একটু কঠিন হবে। এখন থেকে আমাদের কৃচ্ছ্র সাধন করতে হবে এবং ফরেন রিজার্ভের ফ্লো বাড়াতে হবে। না হলে আমরা ঋণের কিস্তি বা সুদ-আসল পরিশোধ করতে সক্ষম হব না।</p> <p>কিছুদিন পর বাজেট আসছে। ঘাটতি বাজেট হবে। ঘাটতি বাজেটের একটা বিশাল অংশ মেটাতে হবে অভ্যন্তরীণ ঋণ, সঞ্চয়পত্র ইত্যাদি থেকে। আরেকটা হলো ব্যাংক থেকে ঋণ করা। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া। তৃতীয় আরেকটা বিশেষ বিষয় হলো বৈদেশিক ঋণ। বিশাল অংশ কিন্তু বৈদেশিক ঋণ থেকে আসবে। অতএব সরকারের দেশীয় ঋণ শোধ, বৈদেশিক ঋণ শোধ করাটা একটা চিন্তার ব্যাপার। এখন আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।</p> <p>এ বিষয়ে সবচেয়ে বড় একটা বিষয় হলো অনেকগুলো ঋণ আছে স্বল্পমেয়াদি। এক-দুই বছরের মধ্যে শোধ করতে হবে। আমাদের ফরেন রিজার্ভ এমনভাবে থাকতে হবে, যাতে স্বল্পমেয়াদি ঋণগুলো আমরা সহজে শোধ দিতে পারি। ১০ বা ১৫ বছরের ঋণগুলো হয়তো একটু দূরে থাকবে, সেগুলো নিয়ে এখনই এত চিন্তা-ভাবনা করতে হবে না। এসব স্বল্পমেয়াদি ঋণ পরিশোধ বাজেটে প্রতিফলন ঘটবে।</p> <p>আমাদের একটা ভালো দিক, আমরা এখন পর্যন্ত ঋণখেলাপি হইনি। সেদিক দিয়ে ঋণদাতাদের কাছে আমাদের মোটামুটি একটা গ্রহণযোগ্যতা আছে, যদিও সেই গ্রহণযোগ্যতা এখন ধীরে ধীরে চ্যালেঞ্জের মুখে। কেননা ঋণদাতারা সুদের হার বাড়াতে চেষ্টা করছে। আমাদের দেশের যে অবস্থা এবং আমরা যেসব চ্যালেঞ্জের মুখে আছি, ঋণদাতারা তাকে একটু ঝুঁকি হিসেবেই গণ্য করবে। সেই ঝুঁকিটা তারা কাভার করে সুদের হার বাড়িয়ে। যেমন—ফিনল্যান্ড, সুইডেন বা ইউরোপের কোনো দেশে যদি কেউ ঋণ দেয়, সেখানে সুদের হার অনেক কম। ঝুঁকি নেই। সেসব দেশে দুর্নীতি কম। ঋণ ভালোভাবে তারা ব্যবহার করে। অন্যদিকে লাতিন আমেরিকা; যেমন—আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, মেক্সিকো—এসব দেশে আইএমএফ শুধু ঋণ দিচ্ছে, সাহায্য করছে, বেল আউট করে, সেটা কিন্তু মোটেও ভালো জিনিস নয়। আর্জেন্টিনা প্রায় ৪০ থেকে ৫০ বছর ধরে আইএমএফের সহায়তা নিয়েই চলছে। এখনো শেষ হচ্ছে না। পাকিস্তান যেমন প্রায়ই ডিফল্ট করছে। ঋণ নিচ্ছে আইএমএফ থেকে, বিভিন্ন দেশ থেকে, ডিফল্ট করছে। অসুবিধায় পড়ছে। সম্প্রতি শ্রীলঙ্কাও এই সমস্যায় পড়েছে। এই উদাহরণগুলো আমাদের কাছে আছে। এসব থেকে আমাদের শিক্ষণীয় যে ঋণ আমাদের সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। দেখতে হবে ঋণটা যেন আমরা সঠিকভাবে পরিশোধ করতে পারি।</p> <p>এখানে একটা বিষয় উল্লেখ্য যে ঋণের বোঝা কিন্তু সাধারণ মানুষের ওপর পড়ে। সম্প্রতি একটা সভায় বলা হয়েছে, মানুষের মাথাপিছু ঋণ প্রায় দেড় লাখ টাকা করে হয়ে যাবে। এটা একটা হিসাব। এটা একেবারে সঠিক না হলেও আমাদের লক্ষ রাখতে হবে যে দিন দিন কিন্তু মাথাপিছু ঋণের হার বাড়ছে। আমাদের মনে রাখতে হবে যে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ওপর যেন আমরা ঋণের বোঝা ক্রমাগত চাপিয়ে না দিই।</p> <p>আরেকটা বিষয় হলো আমাদের ফরেন রিজার্ভ, সেটা বাড়াতে হবে। এক্সপোর্ট বাড়ানো দরকার। রেমিট্যান্স বাড়ানো দরকার। ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট তথা প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ, পুঁজিবাজার বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এগুলো বাড়াতে হলে আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোগুলো শক্ত করতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো বলতে বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটির কথা বলছি। দ্বিতীয় দেশের আইনকানুনগুলো সহজতর করতে হবে। আইনকানুন থাকবে, কিন্তু কোনোক্রমেই যেন সেটা বিদেশিদের জন্য বাধাস্বরূপ না হয়ে যায়। আইন-শৃঙ্খলার ব্যাপার আছে। এরপর আছে দুর্নীতির ব্যাপকতা। এগুলো না সমাধান করলে কিন্তু এফডিআই আসবে না। অতএব এই জিনিসগুলো আমাদের বিশেষভাবে লক্ষ করতে হবে।</p> <p>আসন্ন বাজেটে স্থানীয় সম্পদ আহরণ করার চেষ্টা করতে হবে। সেটা ট্যাক্সের মাধ্যমে হোক এবং অন্যান্য মাধ্যমে হোক। আমি মনে করি, প্রত্যক্ষ ট্যাক্সের মাধ্যমে বেশি অর্থ আহরণ করতে হবে। আরেকটা হলো এডিপি বা উন্নয়ন পরিকল্পনায় প্রজেক্টের সংখ্যা যেন বেশি না হয়। এগুলো দ্রুত, খুব সুষ্ঠুভাবে দক্ষতার সঙ্গে শেষ করতে হবে। তবেই কিন্তু আমাদের বাইরে থেকে ঋণ নেওয়া সার্থক হবে। এটার সুফল আমরা সবাই পাব।</p> <p>বাংলাদেশ ব্যাংকের মনিটরি পলিসি বা মুদ্রানীতিটা এমনভাবে করতে হবে, যাতে ফরেন এক্সচেঞ্জ রেট, ফরেন রিজার্ভ—এগুলোর অবস্থা আরেকটু ভালো হয়। দেশের মূল্যস্ফীতি যেন আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। সবচেয়ে বড় হলো, আমাদের মুদ্রানীতি এবং রাজস্বনীতির মধ্যে গভীর যোগসূত্র থাকতে হবে। একটা আরেকটা থেকে আলাদা থাকলে হবে না। সমন্বয় লাগবে, যেটাকে আমরা বলি—একসঙ্গে দুটির লক্ষ্য, দুটির কৌশল, দুটির কার্যক্রম মোটামুটি একই উদ্দেশ্য, উদ্দেশ্য বলতে—আমাদের দেশের প্রবৃদ্ধি, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, আয় এবং সম্পত্তির দিন দিন বৈষম্য বাড়ছে, সেগুলো কমানো। এগুলোর দিকে লক্ষ করতে হবে। শুধু ঋণের দিকে দৃষ্টিবদ্ধ না হয়ে সার্বিক অর্থনীতির অবস্থা, মনিটরি এবং ফিসক্যাল ম্যানেজমেন্ট—এই দুটির দিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। এখানে শুধু সরকার নয়, প্রাইভেট সেক্টরের ভূমিকা আছে এবং এখানে মনে করি যে এনজিও সেক্টর বা ভলান্টারি সংস্থাগুলোর ভূমিকা আছে। দেশের সার্বিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সব পক্ষেরই সক্রিয় ইতিবাচক ভূমিকা আবশ্যক।</p> <p>লেখক : সাবেক গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক</p> <p>অধ্যাপক, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়</p> <p> </p>