<p>উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন ও সক্রিয় রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০তম  কাউন্সিল অধিবেশন আজ থেকে শুরু হচ্ছে। দলটি এরই মধ্যে ৬৭  বছরে পার করেছে। ১৯৪৯ সালের ২৩ ও ২৪ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠালগ্নে যাঁরা এর বীজ বপন করেছিলেন বঙ্গবন্ধুসহ সেসব নেতাকর্মীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও বিভিন্ন সময়ে এই দলটির যাঁরা কাণ্ডারির ভূমিকা পালন করেছেন, যেসব কর্মী দলকে শত প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আগলে রেখেছেন কাউন্সিলের এই শুভক্ষণে তাদের প্রতি রইল উষ্ণ অভিনন্দন। ৬৭ বছর আগে যাঁরা আওয়ামী লীগের পূর্বসূরি পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠা করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছিলেন, তাঁদের প্রায় সবাই পাকিস্তান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন একটি মাত্র কারণে, আর তা হচ্ছে, পাকিস্তান নামক মুসলমানদের জন্য একটি পৃথক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলে অবহেলিত ও পশ্চাৎপদ  বাঙালি মুসলমানরা নিজেরাই নিজেদের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। তাঁদের প্রত্যাশা যে ভ্রান্ত ছিল, তা জানতে বাঙালিদের বেশি দিন অপেক্ষা করতে হয়নি। ১৯৪৮ সালের মার্চ মাসে পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল ও মুসলিম লীগের সভাপতি মুহাম্মদ আলী <img alt="" src="/ckfinder/userfiles/images/print/2016/print-2016/October/22-10-2016/kalerkantho-22-10-16-NS-01.jpg" style="float:left; height:233px; margin:8px; width:433px" />জিন্নাহ ঢাকা সফরে এসে প্রথমে রমনা রেসকোর্স উদ্যান ও পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিশেষ সমাবর্তনে ঘোষণা করলেন, বহু ভাষাভিত্তিক পাকিস্তানে ৬ শতাংশ মানুষের ভাষা উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা। জিন্নাহর এই কথার অর্থই হচ্ছে পাকিস্তানের দুই অঞ্চলের ৯৪ শতাংশ মানুষ রাষ্ট্রের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড থেকে রাতারাতি ছিটকে পড়বে। সেদিন এই বাংলার তরুণসমাজই তাঁর এই বক্তবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল। তারা বুঝেছিল, বাঙালিরা যে পাকিস্তানের জন্য আন্দোলন করেছিল এবং তারা যা অর্জন করেছে, দুটির মধ্যে ব্যবধান বিরাট। ইংরেজ, মাড়োয়ারি ও একশ্রেণির হিন্দু জমিদারের শোষণের পরিবর্তে তাদের এখন মুখোমুখি হতে হবে পশ্চিম পাকিস্তানের অবাঙালি ধনিক ও আমলাদের শোষণের। লড়াকু বাঙালি তা কেন বিনা প্রতিরোধে হতে দেবে? লড়তে হলে চাই সংগঠন। প্রতিষ্ঠিত হলো পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ, পাকিস্তানের প্রথম রাজনৈতিক দল। ‘আওয়াম’ শব্দের  অর্থ জনগণ। আদি মুসলিম লীগ ছিল বিত্তশালী ধনিক, আমির-ওমরাহ ও নবাবদের। এর সঙ্গে জনগণের তেমন একটা সম্পর্ক ছিল না বললেই চলে। নামের সঙ্গে শুরুতে মুসলিম শব্দটি থাকলেও দলটি রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে সাম্প্রদায়িকতাকে কখনো ধারণ করেনি; বরং এই ৬৭ বছরে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি ও আওয়ামী লীগ সমার্থক শব্দ হয়ে উঠেছে। ১৯৫৩ সালে আওয়ামী লীগ তার নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে স্রেফ আওয়ামী লীগ নাম ধারণ করে।</p> <p>এই ৬৭ বছরে আওয়ামী লীগ অনেক চড়াই-উতরাই পার হয়েছে, অনেক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করেছে, ভেঙেছে একাধিকবার, নিষিদ্ধ হয়েছে কয়েকবার, দলটির নেতারা স্রেফ রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে গ্রেপ্তার হয়েছেন অসংখ্যবার। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর দীর্ঘ ২১ বছর রাষ্ট্রক্ষমতার বাইরে থাকার পরও ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে পুনরায় রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে ফিরে এসেছে। বলা যেতে পারে, এটি ছিল আওয়ামী লীগের পুনর্জন্ম। ১৯৪৯ থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের উল্লেখযোগ্য কীর্তি হচ্ছে তার নেতাকর্মীদের রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে সম্পৃক্ত থাকা ও নেতৃত্ব দেওয়া। যে মুসলিম লীগের হাত ধরে পাকিস্তানের জন্ম সেই মুসলিম লীগের রাজনৈতিক কবর রচনা করেছিল ১৯৫৪ সালের প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট, যার অন্যতম শরিক দল ছিল হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ আর তাঁর ছায়াসঙ্গী ছিলেন তরুণ শেখ মুজিব, যিনি পরে পালাক্রমে দলের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি হয়েছিলেন। ১৯৬৬ সালে শেখ মুজিব ঘোষণা করেন বাঙালির মুক্তি সনদ ছয় দফা। এর অব্যবহিত পরেই ১৯৬৮ সালে পাকিস্তানের সামরিক জান্তা আইয়ুব খান শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে এক প্রহসনমূলক রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা ঠুকে তাঁকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছিলেন। ১৯৬৯ সালের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে সেই ষড়যন্ত্রমূলক মামলা ভেসে গিয়েছিল; আর শেখ মুজিব রূপান্তরিত হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুতে। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অবিস্মরণীয় বিজয় বাংলাদেশের অভ্যুদয়কে অনেকটা অবশ্যম্ভাবী করে তুলেছিল, যা ত্বরান্বিত হয়েছিল ইয়াহিয়ার নেতৃত্বে সামরিক জান্তা বঙ্গবন্ধুর হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অস্বীকার করাতে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতের ‘অপারেশন সার্চলাইট’-এর প্রথম রাত শেষ হওয়ার পর ইয়াহিয়া খান পরদিন রেডিও-টেলিভিশনের মাধ্যমে অখণ্ড পাকিস্তানে শেষবারের মতো আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন এবং বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘This time this man shall not go unpunished.’  বাঙালি গিয়েছিল মুক্তিযুদ্ধে। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে তাঁর আদর্শই আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম অস্ত্র হয়ে উঠেছিল। সে অস্ত্র ব্যবহার করে সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদসহ আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা প্রবাসী সরকার গঠন করে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁরা সবাই ছিলেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা। ৯ মাসের এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীন হয় বাংলাদেশ। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধু। তত দিনে তিনি বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির জনক। ভারতের ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস বা মুসলিম লীগকে দেশ স্বাধীন করার জন্য কোনো রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিতে হয়নি। হলে কী হতো তা গবেষণার বিষয় হতে পারে। সেই সক্ষমতাও তাদের ছিল না। আওয়ামী লীগ সেই দুর্ভেদ্য কাজটি করতে পেরেছিল নেতৃত্বের দূরদর্শিতার  কারণে।</p> <p>মুক্তিযুদ্ধোত্তর বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ যে সরকার গঠন করে, সেই সরকারের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে গড়ে তোলা, যা আওয়ামী লীগ সরকার নানা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে করেছিল। সেই সরকারের সবচেয়ে বড় অর্জন ছিল ভারত থেকে ফিরে আসা এক কোটি ও অভ্যন্তরীণভাবে উচ্ছেদ হওয়া প্রায় কুড়ি লাখ শরণার্থীকে পুনর্বাসন করা, যা সফলতার সঙ্গে করা হয়েছিল। দ্রুততম সময়ে ১৯৭২ সাল শেষ হওয়ার আগেই রচিত হয়েছিল একটি অত্যাধুনিক সংবিধান। সেই সরকার ২০০-র ওপর রাষ্ট্রের স্বীকৃতি আদায়সহ জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ এনে দিয়েছে। পর্দার অন্তরালে ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি। ১৯৭৪ সালে সৃষ্টি করা হয়েছিল দুর্ভিক্ষ, যার পেছনে এখন যুক্তরাষ্ট্রের হাত প্রমাণিত। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেই একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় হত্যা করা হয় সপরিবারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে। বিদেশে থাকার কারণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা, শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। ১৯৮০ সাল পর্যন্ত প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগ বা বঙ্গবন্ধুর নাম নেওয়া অলিখিতভাবে নিষিদ্ধই ছিল।</p> <p>ঘাতকরা মনে করেছিল, বঙ্গবন্ধু পরিবারের সব সদস্যকে হত্যার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। পরিবারের মৃত্যুর পর প্রবাসজীবন শেষে ১৭ মে বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের হাল ধরে তাকে নবজীবন দেন। তাঁর ধীশক্তি, দৃঢ়তা, লক্ষ্য স্থিরে বিচক্ষণতা, সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে বর্তমান অবস্থায় নিয়ে এসেছে। জনগণের সংগঠনের মৃত্যু নেই। আশির দশকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে আওয়ামী লীগের ঐতিহাসিক ভূমিকা এ দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের একটি মাইলফলক। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দীর্ঘ একুশ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকার পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরে আসে, যা বিশ্বের ইতিহাসে নজিরবিহীন। এটি সম্ভব হয় জাতির প্রতি আওয়ামী লীগের অঙ্গীকার আর দায়বদ্ধতার কারণে। দলের এই দীর্ঘ দুঃসময়ে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার শেখ হাসিনা। যেকোনো বিচারেই দলের সভানেত্রী ও দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতি দেশের ও বিশ্বরাজনীতির প্রেক্ষাপটে আজ আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় উজ্জ্বল। কিন্তু দলের  এই সময়ের উজ্জ্বল আলোয় দলের নেতাকর্মীদের গা ভাসিয়ে দিলে তা হবে চরম আত্মঘাতী। এটি বলার অপেক্ষা রাখে না, বঙ্গবন্ধুর সময়ে দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীর তুলনামূলক সংখ্যা বর্তমান সময়ের আওয়ামী লীগে অনুপস্থিত। সার্বিক বিশ্লেষণে মনে হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে, দলে একটি উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নেতাকর্মী আছেন যাঁরা দলের স্বার্থের চেয়ে নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থকে বেশি করে দেখেন এবং দলের ইতিহাস-ঐতিহ্য আর নীতি-আদর্শ সম্পর্কে অনেকটাই অজ্ঞ। বাংলাদেশ আর আওয়ামী লীগের ইতিহাস যে অবিভাজ্য এটি তাঁরা উপলব্ধি করতে অক্ষম। তাঁদের কারণে দল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা যতই বলুন তাঁর পরিবর্তে দলকে নতুন নেতৃত্ব খুঁজতে হবে, বাস্তবে তা সম্ভব নয়। কারণ তিনিও তাঁর পিতার মতো দলের জন্য অপরিহার্য হয়ে উঠেছেন। এটি এখন সবার কাছে পরিষ্কার যে ১৯৯১-২০০১ সালের শেখ হাসিনা আর ২০১৬ সালের শেখ হাসিনা এক নয়। এ মুহূর্তে তিনি একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান বা একজন প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একজন রাষ্ট্রনায়ক। প্রধানমন্ত্রী বা নেতা হওয়া যত সহজ, রাষ্ট্রনায়ক হওয়া ততটা কঠিন। পিতার মতো তিনিও তা হতে পেরেছেন। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ভারত, জাপানের মতো দেশ একই সঙ্গে তাঁর কাজের স্বীকৃতি দিয়েছে, যা বিরল। অনেকের মতে, কূটনীতিতে রয়েছে শেখ হাসিনার জাদুকরী খেলা। ২০তম কাউন্সিলে দল গোছানোর ক্ষেত্রেও তাঁকে তাঁর এই জাদুর স্পর্শ রাখতে হবে। কাউন্সিলে দেশ ও দলের ভবিষ্যৎ সামনে রেখে দলের সভানেত্রী দল গোছাবেন—এটি তাঁর কাছে আওয়ামী লীগের শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রত্যাশা। এই দলকে সরকারের চালিকাশক্তি হিসেবে ব্যবহার করে দেশকে দ্রুততম সময়ে মধ্যম আয়ের দেশই শুধু নয়, একটি আধুনিক-অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে হবে। দল শক্তিশালী হলে সরকার পরিচালনায় আমলানির্ভর হতে হয় না। গত এক দশকে দলের নাম পুঁজি করে অনেক হাইব্রিড নেতা প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক শক্তির পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন। তাঁদের হাতে দলের প্রকৃত নেতাকর্মীরা কখনো মূল্যায়িত হয়নি। এর ফলে অনেক নেতাকর্মী বিপথগামী হয়েছে, তাতে দলের ক্ষতি হয়েছে। এসব তথ্য দলীয় প্রধানের কাছে নিশ্চয় আছে। এখন সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার। দেশ পরিচালনায় তিনি যে দক্ষতা ও বিচক্ষণতার স্বাক্ষর রেখেছেন, দলের ক্ষেত্রেও সেই স্বাক্ষর রাখতে হবে। আওয়ামী লীগের শিখা চিরদিন অনির্বাণ থাকুক এবং তার আলোকচ্ছটা ৫৬ হাজার বর্গমাইলের এই দেশটাকে আলোকিত করে তুলুক—২০তম কাউন্সিলে দেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির এই প্রত্যাশা। এই কাউন্সিলের মাধ্যমে বাংলা ও বাঙালির ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায়ের যোগ হোক। কাউন্সিলে অংশগ্রহণকারী কাউন্সিলরদের প্রাণঢালা অভিনন্দন। জয় বাংলা।</p> <p> </p> <p>লেখক : বিশ্লেষক ও গবেষক</p>