<p>শুভসংঘের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা রাইসুল উদ্দিন সৈকত। অল্প বয়সেই নিজেকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করেছেন একজন সফল সংগঠক হিসেবে। বাবা আলহাজ নিজামউদ্দীনের মতোই সমাজসেবার আদর্শে বেড়ে উঠেছেন সেই ছোটবেলা থেকেই। মানুষের জন্য, দেশের জন্য ভালো কিছু করার উদ্দেশ্য নিয়ে যুক্ত হয়েছেন শুভসংঘে। সমাজসেবা ও সংগঠক হিসেবে নিজের অভিজ্ঞতার কথা শুনুন তাঁর মুখ থেকেই</p> <p> </p> <p>তরুণ বয়সই মানুষের জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান, সর্বাধিক কর্মক্ষম সময়। এ সময় সঠিকভাবে যে জাতি কাজে লাগিয়েছে তারাই উন্নতির শিখরে পৌঁছে গেছে। আমাদের মনে রাখতে হবে, বিশ্বাসের সঙ্গে কর্মের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ। তরুণদের মনে নৈতিকতাবোধে উজ্জীবিত পবিত্র বিশ্বাস জাগাতে হবে। আর তা জাগাতেই শুভসংঘের মতো আরো অনেক সংগঠন গড়ে তুলতে হবে। একটি দেশের সামগ্রিক উন্নতির জন্য যে কয়েকটি বিষয় অন্যতম নিয়ামকের কাজ করে, তাদের মধ্যে অন্যতম প্রধান হলো তরুণসমাজ। কালের কণ্ঠ শুভসংঘের মতো আরো সংগঠন সমগ্র বাংলাদেশেই ছড়িয়ে পড়া উচিত। এ ধরনের সংগঠনগুলোর মাধ্যমে যদি আমাদের তরুণরা দেশ গঠনে এগিয়ে আসে, তবেই সম্ভব একটি স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তোলা। স্বাধীনতা-পূর্ববর্তী প্রেক্ষাপট থেকে শুরু করে আমাদের প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে তরুণরাই ছিল চালকের আসনে। এখনো দেশের যেকোনো দুর্যোগে কিংবা কোনো সমস্যায় এগিয়ে আসার মানসিকতা রয়েছে আমাদের তরুণদের। এ জন্য প্রয়োজন শুধু তাদের একত্রিত করা। এ কাজটিই করছে শুভসংঘ। বাংলাদেশের তরুণসমাজ আজ মাদকের ভয়াল থাবায় বিপর্যস্ত। মাদকের মতো নানা অনাচার ও অপসংস্কৃতির কারণে নৈতিক মূল্যবোধের অকাল যাচ্ছে চারদিকে। এ দেশে নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ে সৃষ্ট সংকটের নিরসন হলে, তরুণরা গঠনমূলক ও সৃজনশীল কাজে এগিয়ে এলে জাতি হিসেবে আমরা বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সক্ষম হবো। সুস্থ সংস্কৃতিচর্চা ও সংগঠন আমাদের তরুণসমাজকে বিপথ থেকে ফিরিয়ে আনতে। এ জন্য পরিবার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হয়।</p> <p>এই যেমন আমি; ছোটবেলা থেকে নিজেকে জড়িত রেখেছি সামাজিক নানা কর্মকাণ্ডে, যা এখনো অব্যাহত আছে। প্রশংসা কুড়াতে নয়, মন থেকে অনুভব করার জন্যই সামাজিক কাজে জড়িত হয়েছি। বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থেকে সমাজ উন্নয়নমূলক নানা কাজে আমি নিজেকে সম্পৃক্ত করি। জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল চিটাগাং কসমপলিটনের প্রেসিডেন্ট থাকাকালে আমি তরুণ উদোক্তাদের বিভিন্ন কাজে উৎসাহ ও সহযোগিতা করেছি। আর্থিকভাবে যারা অসচ্ছল, তাদের শিক্ষার সুযোগ তৈরি করে আলোকিত জীবন গঠন, রক্তদান কর্মসূচি, বৃক্ষরোপণ, শীতবস্ত্র বিতরণ, বন্যার্তদের সাহায্য প্রদান, পরিবেশ সংরক্ষণ ও নারী সুরক্ষাবিষয়ক কাজগুলো আমরা শুভসংঘের মাধ্যমে করব।</p>