ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৪ জুলাই ২০২৫
৯ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৮ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৪ জুলাই ২০২৫
৯ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৮ মহররম ১৪৪৭
শেষ হলো আন্তর্জাতিক জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াড

ভিয়েতনামে উড়ল লাল সবুজের পতাকা

জাকারিয়া জামান
জাকারিয়া জামান
শেয়ার
ভিয়েতনামে উড়ল লাল সবুজের পতাকা
আন্তর্জাতিক জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের পতাকা হাতে চার প্রতিযোগী

জীববিজ্ঞান বিষয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ও সম্মানজনক প্রতিযোগিতার আসর আন্তর্জাতিক জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াড। ১৭-২৪ জুলাই ভিয়েতনামের হ্যানয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ২৭তম আন্তর্জাতিক জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াড। এবারই প্রথম এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিল বাংলাদেশ। লাল সবুজের পতাকা হাতে ভিয়েতনামে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছে চার খুদে বিজ্ঞানী, সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের আইমান ওয়াদুদ, মাস্টারমাইন্ড ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ওয়াসিক হাসান, অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের মাইশা মুনাওয়ারা প্রমি ও স্কলাস্টিকার ওয়াসি রহমান চৌধুরী।

৬৮টি দেশ থেকে মোট ২৬৮ জন প্রতিযোগী এবারের আন্তর্জাতিক জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে অংশ নেয়। এদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ প্রতিযোগী ছিল বাংলাদেশের ওয়াসি রহমান। এ ছাড়া সব প্রতিযোগীর মধ্যে বাংলাদেশ দলের মাইশা ও ওয়াসিক সম্মিলিত মেধাতালিকায় স্থান করে নিতে সক্ষম হয়। এ জন্য তারা লাভ করে বিশেষ সম্মানসূচক ‘মেরিট’ পুরস্কার, যা ‘অনারেবল মেনশন’ নামেও পরিচিত।

প্রথমবার কোনো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে এমনভাবে মেধা তালিকায় স্থান পাওয়া বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম। লাল সবুজের দেশের এই খুদে বিজ্ঞানীদের অর্জন বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের মর্যাদা আরো অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। মাত্র দুই পয়েন্টের জন্য ব্রোঞ্জ পদক থেকে বঞ্চিত হয় মাইশা। বাংলাদেশ দলের বাকি দুইজন প্রতিযোগী অল্প পয়েন্টের ব্যবধানে মেধাতালিকায় স্থান করে নিতে পারেনি।
এই সফরে বাংলাদেশ দলের দলনেতা ও জুরি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক রাখহরি সরকার ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক মো. সামিউল আলম রাজীব।

আন্তর্জাতিক জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে জীববিজ্ঞানবিষয়ক পরীক্ষার মূল পর্ব সম্পন্ন হয় ছয়টি অংশে, যার চারটি অংশ ব্যবহারিক ও দুটি অংশ তত্ত্বীয়। পরীক্ষার সিলেবাসে মোট সাতটি ক্ষেত্র ছিল : কোষতত্ত্ব ও প্রাণরসায়ন, উদ্ভিদ অঙ্গসংস্থান ও শারীরতত্ত্ব, প্রাণী অঙ্গসংস্থান ও শারীরতত্ত্ব, প্রাণী আচরণবিদ্যা, জিনতত্ত্ব ও জৈব অভিব্যক্তি, বাস্তুবিদ্যা এবং বায়োসিস্টেমেটিক। ভালো ফলের জন্য একজন শিক্ষার্থীকে এর প্রতিটি বিষয়ে ভালো ধারণা রাখতে হয়। এই আয়োজনে অংশ নিয়ে খুদে এই শিক্ষার্থীরা নিজেদের যেমন সমৃদ্ধ করেছে, তেমনি সারা পৃথিবী চিনেছে তরতর করে সাফল্যের পথে হাঁটা বাংলাদেশ নামক ক্ষুদ্র রাষ্ট্রকে।

এবারের জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে অংশ নেওয়া এই চার খুদে বিজ্ঞানী পড়াশোনায় যেমন মেধাবী, সহশিক্ষা কার্যক্রমেও তেমনি এগিয়ে। দেশের মাটিতে তাদের ঝুলিতে আছে অসংখ্য পুরস্কার। ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলস প্রতিবছর স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট ফর স্কুলস’ নামে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। সেখানে অংশ নিয়ে আইমান ওয়াদুদ ২০১৩ ও ২০১৫ সালে দুটি বিষয়ে ১৬টি দেশের মধ্যে প্রথম হয় এবং স্বর্ণপদক জিতে নেয়। এ ছাড়া মাইশাও ২০১৫ সালে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে স্বর্ণপদক জিতে নিয়েছে। এ ছাড়া এই চারজনই গণিতের নানা প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে কমবেশি পুরস্কার তাদের ঝুলিতে ভরে নিয়েছে। দেশ পেরিয়ে বিদেশের মাটিতে এমন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে এবারের আন্তর্জাতিক জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের সর্বকনিষ্ঠ শিক্ষার্থী ওয়াসি রহমান জানায়, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের পতাকার সঙ্গে যখন দেখেছি আমাদের লাল সবুজের পতাকাটি উড়ছে, তখন আনন্দে আর গর্বে বুক ভরে গেছে। মনে হয়েছে, এই তো আমাদের বাংলাদেশ। আমরা এভাবেই বিশ্বের বুকে আমাদের পতাকা ওড়াব।’

জীববিজ্ঞানের এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশে আয়োজনের মিডিয়া পার্টনার ছিল কালের কণ্ঠ। আয়োজনটিতে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছে কালের কণ্ঠ শুভসংঘের বন্ধুরা।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বসুন্ধরা গ্রুপকে অনেক ধন্যবাদ

    মো. মিজানুর রহমান, ওসি, পাটগ্রাম থানা লালমনিরহাট
শেয়ার
বসুন্ধরা গ্রুপকে অনেক ধন্যবাদ

প্রান্তিক পর্যায়ের সীমান্ত এলাকার দারিদ্র্যপীড়িত, অসহায় নারীদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সাহায্য করার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপকে অনেক ধন্যবাদ ও সাধুবাদ জানাই। তারা পিছিয়ে পড়া নারীদের জন্য যে কাজ করছে, সেটা প্রশংসাযোগ্য। আমি দাবি জানাই, আমাদের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে যেন বসুন্ধরার মতো অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও এগিয়ে আসে। যারা এ ধরনের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জন্য কাজ করবে, তাদের সাহায্য করবে।

এ ধরনের কাজের মাধ্যমে মানুষ স্বাবলম্বী হয়ে উঠবে, তাদের পরিবারে ফিরবে সচ্ছলতা। এর মাধ্যমে সমাজের পাশাপাশি উপকৃত হবে আমাদের দেশ। পাটগ্রামে যে অসচ্ছল নারীরা সেলাইয়ে দক্ষ হয়ে উঠে মেশিন পেলেন, তাঁদের মাধ্যমে উপকৃত হবে আরো অনেকে। তাঁরা এখন আশপাশের অনেক নারীকে কাজ শেখাতে পারবেন।
বসুন্ধরার এই কার্যক্রম আরো ব্যাপকভাবে চলতে থাকুক, তাদের সুনাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়ুক।

মন্তব্য

নিঃসন্দেহে মহৎ কাজ

    দীন মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ্, ফিশারিজ কোয়ারেন্টাইন অফিসার, বুড়িমারী স্থলবন্দর লালমনিরহাট
শেয়ার
নিঃসন্দেহে মহৎ কাজ

গ্রামীণ দরিদ্র পরিবারের নারীদের স্বাবলম্বী করতে বসুন্ধরা গ্রুপ যে কাজগুলো করছে, এটা নিঃসন্দেহে অনেক মহৎ কার্যক্রম। কারণ ছিন্নমূল, অসহায়, দুস্থ নারীদের মধ্যে প্রশিক্ষণ শেষে উপহার হিসেবে সেলাই মেশিন বিতরণ ব্যতিক্রমী আইডিয়া। এই মেশিনই একদিন অসচ্ছল নারীদের বাঁচার অবলম্বন হয়ে দাঁড়াবে। এ ধরনের উদ্যোগ আমার দেখা সব ভালো কার্যক্রমের মধ্যে একটি।

এমন কাজের উদ্যোক্তারা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখেন। সমাজের তথা দেশের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে এমন কাজের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপকে অনেক ধন্যবাদ জানাই। বিশেষ করে ধন্যবাদ জানাই দেশের শেষ প্রান্তের সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলোর একটি পাটগ্রামকে বেছে নেওয়ার জন্য। আমরা আশা করব, বসুন্ধরা শুভসংঘের মাধ্যমে বসুন্ধরা গ্রুপ পিছিয়ে পড়া এ ধরনের এলাকার আরো বেশিসংখ্যক অসচ্ছল-অসহায় নারীকে স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ নেবে।
শুভ কামনা বসুন্ধরা গ্রুপের জন্য।

মন্তব্য

মেশিনটি একটি পরিবারের বাঁচার অবলম্বন

    মো. মাহমুদুন-নবী, ওসি, হাতীবান্ধা থানা লালমনিরহাট
শেয়ার
মেশিনটি একটি পরিবারের বাঁচার অবলম্বন

বিনামূল্যে তিন মাসের প্রশিক্ষণ শেষে সেলাই মেশিন বিতরণ আধুনিক ও টেকসই আইডিয়া। এর মাধ্যমে হাতীবান্ধা উপজেলার নারীদের, বিশেষ করে অনগ্রসর নারীদের জীবন ও জীবিকা এগিয়ে নেওয়ার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। এটি অত্যন্ত মহতী একটি উদ্যোগ। ভবিষ্যতেও এই শিল্পগোষ্ঠী তাদের মহৎ কাজগুলো আরো বেগবান করবেএমনটাই আশা করি।

তাদের এই ভালো কাজের মাধ্যমে যেন অনগ্রসর মানুষগুলো এগিয়ে যায়। একেকটি সেলাই মেশিন একেকটি পরিবারের বাঁচার অবলম্বন হতে পারে। এই মেশিন চালিয়ে অসচ্ছল এসব নারী ধনাঢ্য হয়ে না উঠলেও তাঁদের পরিবারগুলোতে সচ্ছলতা ফিরবে। কর্মহীন মানুষকে এভাবে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তুলে কর্মসংস্থান সৃষ্টির এই প্রক্রিয়া দেশ থেকে দারিদ্র্য দূর করার একটি পথ হতে পারে।
বসুন্ধরা গ্রুপ ও বসুন্ধরা শুভসংঘ তাদের এমন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখুক। তাদের জন্য শুভ কামনা।

মন্তব্য

বসুন্ধরাকে দেখে অন্যরাও এগিয়ে আসুক

    মনোয়ার হোসেন লিটন, সেক্রেটারি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, পাটগ্রাম উপজেলা শাখা, লালমনিরহাট
শেয়ার
বসুন্ধরাকে দেখে অন্যরাও এগিয়ে আসুক

সেলাই মেশিন প্রদানের মাধ্যমে বসুন্ধরা গ্রুপ ও বসুন্ধরা শুভসংঘ অসহায় সুবিধাবঞ্চিত নারীসমাজকে এগিয়ে নিতে যে সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, এটা অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়। তাদের সাধুবাদ জানাই। বসুন্ধরা তাদের সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে, এটাই কামনা করছি। পাশাপাশি সব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ সবাইকে মানবকল্যাণে এগিয়ে আসার আহবান জানাই।

অসহায় বা আর্থিকভাবে অসচ্ছল কিংবা কর্মহীন নারী-পুরুষের জন্য আমাদের সবাইকে সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে। প্রশিক্ষণ বা বিভিন্নভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষকে কর্মক্ষম করে গড়ে তুলতে পারলে সমাজ থেকে অভাব বিতাড়িত হবে। আবার এসব মানুষের জীবনে চলার কষ্টও দূর হবে। এ ধরনের কাজের মাধ্যমে মানুষ হিসেবে আমরাও আমাদের সামাজিক দায়িত্ব পালন করতে পারব, যা দেখে শিখবে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম।
বসুন্ধরা গ্রুপকে অনুসরণ করে অন্যরাও ভালো কাজে এগিয়ে আসুক।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ