ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭
এনআইবিতে শেষ হলো শুভসংঘ দ্বিতীয় জাতীয় বায়োক্যাম্প

লক্ষ্য এবার ভিয়েতনাম জয়

জাকারিয়া জামান
জাকারিয়া জামান
শেয়ার
লক্ষ্য এবার ভিয়েতনাম জয়
অতিথিদের সঙ্গে বায়োক্যাম্পে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা। ছবি : সাজ্জাদ সাজু

শীতের ঝরা পাতাগুলোর শূন্যস্থান পূরণে ফাল্গুনে গাছে গাছে যখন নতুন পাতা উঁকি দিচ্ছে, তখন সাভারের আশুলিয়ায় নতুনের সম্ভাবনার সন্ধানে ব্যস্ত সারা দেশের নামকরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কিছু শিক্ষার্থী। ১১ মার্চ শুক্রবার দিনের শুরুটাই যেন অন্য রকম ছিল তাদের জন্য। সকাল ৮টা বাজার আগেই সাভারের গণস্বাস্থ্য পিএইচএ কনভেনশন সেন্টারে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সমাগম শুরু হয়ে গেছে। দ্বিতীয় জাতীয় বায়োক্যাম্প শুরু হতে যাচ্ছে আর কিছুক্ষণের মধ্যেই।

ভিয়েতনামে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে প্রতিযোগী বাছাইয়ের জন্য গত ৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় জাতীয় জীববিজ্ঞান উৎসব। সেখানে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিতদের নিয়ে জীববিজ্ঞানবিষয়ক ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ ও চূড়ান্ত বাছাইয়ের জন্য অনুষ্ঠিত হয়েছে দ্বিতীয় জাতীয় বায়োক্যাম্প। সেখানকার প্রশিক্ষণোত্তর মূল্যায়নের মাধ্যমে নির্ধারিত হলো কারা ভিয়েতনামে এ বছর বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছে।

১৩ মার্চ রবিবার বিকেলে আন্তর্জাতিক জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচিত হলো চার খুদে বিজ্ঞানী।

বাংলাদেশ থেকে প্রথমবারের মতো এ বছর ভিয়েতনামে দেশের হয়ে লড়বে তারা। আশুলিয়ার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি (এনআইবি) মিলনায়তনে দ্বিতীয় জাতীয় বায়োক্যাম্পে যোগ্যতা যাচাইয়ের মাধ্যমে তাদের নির্বাচিত করা হয়। নির্বাচিত চার শিক্ষার্থী হলো—সেন্ট জোসেফ স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী আইমান ওয়াদুদ, মাস্টারমাইন্ডের ওয়াসিক হাসান, অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের মাইশা এম প্রমি এবং স্কলাস্টিকার ওয়াসি রহমান চৌধুরী।

আশুলিয়ার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজিতে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় ‘দ্বিতীয় জাতীয় বায়োক্যাম্প ২০১৬’।

ক্যাম্পের আয়োজন করে বাংলাদেশ জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াড কমিটি। রবিবার ছিল ক্যাম্পের সমাপনী দিবস এবং বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় সমাপনী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কালের কণ্ঠ’র নির্বাহী সম্পাদক কথাসাহিত্যিক মোস্তফা কামাল। বাংলাদেশ জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াড কমিটির চেয়ারম্যান ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহিদুর রশীদ ভূইয়ার সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজির মহাপরিচালক ড. মো. সলিমুল্লাহ, বাংলাদেশ জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস, বিজ্ঞানী ড. জাহাঙ্গীর আলম ও কেশব চন্দ্র দাস। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তফা কামাল বলেন, ‘এই ক্যাম্পে যারা এসেছে তারা স্বপ্ন দেখে।
এদের মধ্য থেকেই কেউ একদিন নোবেল প্রাইজ পাবে বলে আমি বিশ্বাস করি। বড় স্বপ্ন দেখতে হবে। আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখতে হবে। স্বপ্ন মানুষকে অনেক দূর নিয়ে যায়। এই ক্যাম্পে যারা এসেছে তারা কিছু শেখার জন্য অনেক বড় আগ্রহ নিয়ে এসেছে। এটাই বিশাল, এরা অনেক দূর যাবে। বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এরা টিকে যাবে।’ ড. মো. শাহিদুর রশীদ ভূইয়া বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে বেশি সাফল্য এসেছে জীববিজ্ঞানের গবেষণায়। মৌলিক গবেষণা ও আবিষ্কার সর্বত্রই জীববিজ্ঞানের সাফল্য। আজ আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, আমরা উদ্ভাবন করি নতুন প্রজাতি—এ সবই সম্ভব হয়েছে জীববিজ্ঞান গবেষণার কারণে।’ শিক্ষার্থীদের এই পথ চলা এবং জীববিজ্ঞানকে ভালোবাসার জন্য ধন্যবাদ জানান তিনি। বাংলাদেশ জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী বলেন, এ ক্যাম্পের উদ্দেশ্য বাংলাদেশের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞানমনষ্কতা এবং জীববিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহের বিকাশ ঘটানো। যেন তারা পরবর্তী সময়ে মুক্তচিন্তার মানুষ হিসেবে বেড়ে উঠতে পারে। নির্বাচিত চার খুদে বিজ্ঞানীর মধ্যে একমাত্র নারী শিক্ষার্থী অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের মাইশা এম প্রমি বলেন, দেশের প্রতিনিধি হয়ে যাচ্ছি, দেশকে যেন ভাল কিছু উপহার দিতে পারি সে চেষ্টাই করে যাব। বিদেশের মাটিতে আমরা উড়াবো লাল সবুজের পতাকা।

এই আয়োজনের মিডিয়া পার্টনার ছিল কালের কণ্ঠ এবং সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছে কালের কণ্ঠ শুভসংঘ।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বসুন্ধরা গ্রুপকে অনেক ধন্যবাদ

    মো. মিজানুর রহমান, ওসি, পাটগ্রাম থানা লালমনিরহাট
শেয়ার
বসুন্ধরা গ্রুপকে অনেক ধন্যবাদ

প্রান্তিক পর্যায়ের সীমান্ত এলাকার দারিদ্র্যপীড়িত, অসহায় নারীদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সাহায্য করার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপকে অনেক ধন্যবাদ ও সাধুবাদ জানাই। তারা পিছিয়ে পড়া নারীদের জন্য যে কাজ করছে, সেটা প্রশংসাযোগ্য। আমি দাবি জানাই, আমাদের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে যেন বসুন্ধরার মতো অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও এগিয়ে আসে। যারা এ ধরনের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জন্য কাজ করবে, তাদের সাহায্য করবে।

এ ধরনের কাজের মাধ্যমে মানুষ স্বাবলম্বী হয়ে উঠবে, তাদের পরিবারে ফিরবে সচ্ছলতা। এর মাধ্যমে সমাজের পাশাপাশি উপকৃত হবে আমাদের দেশ। পাটগ্রামে যে অসচ্ছল নারীরা সেলাইয়ে দক্ষ হয়ে উঠে মেশিন পেলেন, তাঁদের মাধ্যমে উপকৃত হবে আরো অনেকে। তাঁরা এখন আশপাশের অনেক নারীকে কাজ শেখাতে পারবেন।
বসুন্ধরার এই কার্যক্রম আরো ব্যাপকভাবে চলতে থাকুক, তাদের সুনাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়ুক।

মন্তব্য

নিঃসন্দেহে মহৎ কাজ

    দীন মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ্, ফিশারিজ কোয়ারেন্টাইন অফিসার, বুড়িমারী স্থলবন্দর লালমনিরহাট
শেয়ার
নিঃসন্দেহে মহৎ কাজ

গ্রামীণ দরিদ্র পরিবারের নারীদের স্বাবলম্বী করতে বসুন্ধরা গ্রুপ যে কাজগুলো করছে, এটা নিঃসন্দেহে অনেক মহৎ কার্যক্রম। কারণ ছিন্নমূল, অসহায়, দুস্থ নারীদের মধ্যে প্রশিক্ষণ শেষে উপহার হিসেবে সেলাই মেশিন বিতরণ ব্যতিক্রমী আইডিয়া। এই মেশিনই একদিন অসচ্ছল নারীদের বাঁচার অবলম্বন হয়ে দাঁড়াবে। এ ধরনের উদ্যোগ আমার দেখা সব ভালো কার্যক্রমের মধ্যে একটি।

এমন কাজের উদ্যোক্তারা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখেন। সমাজের তথা দেশের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে এমন কাজের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপকে অনেক ধন্যবাদ জানাই। বিশেষ করে ধন্যবাদ জানাই দেশের শেষ প্রান্তের সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলোর একটি পাটগ্রামকে বেছে নেওয়ার জন্য। আমরা আশা করব, বসুন্ধরা শুভসংঘের মাধ্যমে বসুন্ধরা গ্রুপ পিছিয়ে পড়া এ ধরনের এলাকার আরো বেশিসংখ্যক অসচ্ছল-অসহায় নারীকে স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ নেবে।
শুভ কামনা বসুন্ধরা গ্রুপের জন্য।

মন্তব্য

মেশিনটি একটি পরিবারের বাঁচার অবলম্বন

    মো. মাহমুদুন-নবী, ওসি, হাতীবান্ধা থানা লালমনিরহাট
শেয়ার
মেশিনটি একটি পরিবারের বাঁচার অবলম্বন

বিনামূল্যে তিন মাসের প্রশিক্ষণ শেষে সেলাই মেশিন বিতরণ আধুনিক ও টেকসই আইডিয়া। এর মাধ্যমে হাতীবান্ধা উপজেলার নারীদের, বিশেষ করে অনগ্রসর নারীদের জীবন ও জীবিকা এগিয়ে নেওয়ার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। এটি অত্যন্ত মহতী একটি উদ্যোগ। ভবিষ্যতেও এই শিল্পগোষ্ঠী তাদের মহৎ কাজগুলো আরো বেগবান করবেএমনটাই আশা করি।

তাদের এই ভালো কাজের মাধ্যমে যেন অনগ্রসর মানুষগুলো এগিয়ে যায়। একেকটি সেলাই মেশিন একেকটি পরিবারের বাঁচার অবলম্বন হতে পারে। এই মেশিন চালিয়ে অসচ্ছল এসব নারী ধনাঢ্য হয়ে না উঠলেও তাঁদের পরিবারগুলোতে সচ্ছলতা ফিরবে। কর্মহীন মানুষকে এভাবে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তুলে কর্মসংস্থান সৃষ্টির এই প্রক্রিয়া দেশ থেকে দারিদ্র্য দূর করার একটি পথ হতে পারে।
বসুন্ধরা গ্রুপ ও বসুন্ধরা শুভসংঘ তাদের এমন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখুক। তাদের জন্য শুভ কামনা।

মন্তব্য

বসুন্ধরাকে দেখে অন্যরাও এগিয়ে আসুক

    মনোয়ার হোসেন লিটন, সেক্রেটারি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, পাটগ্রাম উপজেলা শাখা, লালমনিরহাট
শেয়ার
বসুন্ধরাকে দেখে অন্যরাও এগিয়ে আসুক

সেলাই মেশিন প্রদানের মাধ্যমে বসুন্ধরা গ্রুপ ও বসুন্ধরা শুভসংঘ অসহায় সুবিধাবঞ্চিত নারীসমাজকে এগিয়ে নিতে যে সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, এটা অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়। তাদের সাধুবাদ জানাই। বসুন্ধরা তাদের সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে, এটাই কামনা করছি। পাশাপাশি সব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ সবাইকে মানবকল্যাণে এগিয়ে আসার আহবান জানাই।

অসহায় বা আর্থিকভাবে অসচ্ছল কিংবা কর্মহীন নারী-পুরুষের জন্য আমাদের সবাইকে সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে। প্রশিক্ষণ বা বিভিন্নভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষকে কর্মক্ষম করে গড়ে তুলতে পারলে সমাজ থেকে অভাব বিতাড়িত হবে। আবার এসব মানুষের জীবনে চলার কষ্টও দূর হবে। এ ধরনের কাজের মাধ্যমে মানুষ হিসেবে আমরাও আমাদের সামাজিক দায়িত্ব পালন করতে পারব, যা দেখে শিখবে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম।
বসুন্ধরা গ্রুপকে অনুসরণ করে অন্যরাও ভালো কাজে এগিয়ে আসুক।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ