<p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:.05pt">ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে মেয়ের গণধর্ষণের বিচার চাওয়ায় ভুক্তভোগীর বাবাকে মারধর করে বাড়িছাড়া করার অভিযোগে হারুন শেখ (৪৮) নামের এক গ্রাম্য মাতবরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে। এর আগে গত সোমবার রাতে থানায় মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়। ভুক্তভোগীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:.05pt">থানা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, প্রেমের সম্পর্কের সূত্রে গত বছরের ২০ নভেম্বর ভুক্তভোগী কিশোরীকে উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের পরমেশ্বরদী গ্রামের একটি মেহগনিবাগানে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত তিন কিশোর। এ ঘটনার পর গর্ভবতী হয়ে পড়লে কিশোরী গত গত ২৯ এপ্রিল পুরো বিষয়টি তার মা-বাবাকে খুলে বলে। ঘটনা শুনে কিশোরীর বাবা গ্রামের মাতবর হারুন শেখের কাছে বিচার চেয়ে নালিশ দেন। হারুন শেখ তাঁকে মারধর করে ওই পরিবারকে গ্রামছাড়া করেন।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:.05pt">বিভিন্ন মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে বোয়ালমারী থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম গত রবিবার রাতে অভিযান চালিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই গ্রামের তিনজনকে আটক করেন। পরে সোমবার বিকেলে ওই কিশোরী ও তার মা-বাবাকে খবর দিলে থানায় এসে কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে অভিযুক্ত তিন কিশোরসহ চারজনের নামে মামলা করেন। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:.05pt">মো. শহিদুল ইসলাম জানান, গণধর্ষণের পরে ভিক্টিমদের গ্রামছাড়া করা হয়। পরে বিভিন্ন মাধ্যমে জানার পর স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এলাকার তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়। এরপর বিচারের জন্য মামলার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। মামলার ৪ নম্বর আসামি হারুন শেখকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p> </p>
