<p>গাজীপুরের শ্রীপুরে পাঠদানকালে একটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষের ভেতর কোমলমতি ২০ শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পেটানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রবিবার উপজেলার মাওনা চৌরাস্তা এলাকায় গাজীপুর শাহীন ক্যাডেট একাডেমি মাওনা শাখায় ওই ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার শিশুরা ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী।</p> <p>অভিযুক্ত শিক্ষক আবদুল মালেক (২৭) মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দারা গ্রামের আবদুস সোবহানের ছেলে। ঘটনা জেনে অভিভাবকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ ওই শিক্ষককে বরখাস্ত করেছে।</p> <p>শিক্ষার্থীরা জানায়, গতকাল বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ওই শ্রেণিকক্ষে বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পাঠদান করছিলেন আবদুল মালেক। ওই সময় মুখস্থ করার জন্য জাতীয়সংগীত লেখা কাগজ প্রত্যেক শিক্ষার্থীর হাতে দেওয়া হয়। চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র অপূর্ব জানায়, তখন শ্রেণিকক্ষে ২২ জন শিক্ষার্থী ছিল। এর মধ্যে দুজন টয়লেটে যায়। এ সময় শ্রেণিকক্ষে কয়েকজন উচ্চ স্বরে জাতীয়সংগীত গাওয়ায় ক্ষিপ্ত হন আবদুল মালেক। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে, ওই সময় শ্রেণিকক্ষে থাকা ২০ শিক্ষার্থীকে নির্বিচারে পেটান ওই শিক্ষক। বিদ্যালয়ের অভিভাবক আমান উল্লাহ আমান জানান, ছুটির পর ঘটনা জেনে অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে ছুটে যান। সেখানে তাঁরা আবদুল মালেকের বিচার দাবি করে অবস্থান নেন।</p> <p>অভিযুক্ত শিক্ষক আবদুল মালেক দাবি করেন, ‘শ্রেণিকক্ষের ভেতর হট্টগোল করায় সামান্য শাসন করেছি। কোনো শিক্ষার্থীকে তেমন মারধর করিনি।’</p> <p>তবে বিদ্যালয়ের পরিচালক আনিসুর রহমান বলেন, ‘চলতি জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে আবদুল মালেককে শিক্ষক হিসেবে বিদ্যালয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। ছাত্রছাত্রীদের মারধরের অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক জরুরি সভা করে তাঁকে (শিক্ষক) বরখাস্ত করা হয়েছে।</p> <p>উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে বিদ্যালয়ে গিয়ে আমি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। ওই শিক্ষকও ঘটনা স্বীকার করেছেন।’</p>