<p>উপাচার্য (ভিসি) ছাড়াই চলছে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। উপাচার্য মাহবুবর রহমানের চার বছরের মেয়াদ শেষ হয় ১৯ মার্চ। এরপর দুই মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো নিয়োগ দেওয়া হয়নি নতুন উপাচার্য। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, অর্থনৈতিক ও উন্নয়নকাজে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।</p> <p>শিক্ষক ও ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপাচার্য হতে সরকারদলীয় শিক্ষকরা কোন্দলে জড়িয়ে পড়ায় আটকে গেছে নিয়োগ প্রক্রিয়া।</p> <p>বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তারা জানান, চার বছর আগে অধ্যাপক মাহবুবর রহমানকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। গত ১৯ মার্চ তাঁর মেয়াদ শেষ হয়। এর এক সপ্তাহ আগে মাহবুবর রহমান দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ পেতে জোর লবিং শুরু করেন। টের পেয়ে মেয়াদ শেষ হওয়ার দিন থেকে তাঁর বিরুদ্ধে শিক্ষকদের বড় একটি অংশ ক্যাম্পাসে লাগাতার মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করতে থাকে। তাঁর বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি ও বিএনপি-জামায়াত তোষণের অভিযোগ তোলা হয়েছে।</p> <p>তাদের আন্দোলনে একাত্মতা ঘোষণা করেন সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল মান্নান। পাশাপাশি উপাচার্য পদে নিয়োগ পেতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ট্রেজারার অধ্যাপক মো. গিয়াস উদ্দিন মিয়া, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক মোফাজ্জল হোসেন এবং অধ্যাপক এআরএম সোলাইমান লবিং শুরু করেন। কিন্তু দুই মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কাজে স্থবিরতা নেমে এসেছে।</p> <p>সাবেক ট্রেজারার অধ্যাপক মো. গিয়াস উদ্দিন মিয়া জানান, মন্ত্রণালয়ের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে ট্রেজারার শুধু শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ভাতা দিতে পারছেন। কিন্তু অন্য খাতের অর্থ ব্যয়ের এখতিয়ার না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কাজ-কর্মে স্থবিরতা নেমে এসেছে। এমনকি শিক্ষকরা উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের জন্যে বিদেশে যেতে পারছেন না। এটি একটি বিষেশায়িত বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে অনেক পিএইচডি শিক্ষার্থী আছেন। উপাচার্য না থাকায় তাঁরাও বিপাকে পড়েছেন। তিনি দ্রুত উপাচার্য নিয়োগের দাবি জানান।</p>