<p>বয়স ২১ বছর হলেও তাঁকে পাঁচ-ছয় বছরের ছোট শিশুর মতো দেখায়। নাম তাঁর আরিফ মিয়া। সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল আউয়াল ও রাবেয়া খাতুন দম্পতির সন্তান তিনি। বাড়ির ছোট শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলা করে কাটে তাঁর সারা দিন। কখনো বা সারা দিন ঘরে খাটের ওপর একা বসে থাকেন আরিফ। কখনো কথা বলেন, কখনো বা ইশারায় বোঝান নিজের প্রয়োজন। অভিমান জানানোর ভাষাও তাঁর নেই। বয়স বাড়লেও বিরল রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে আরিফের শারীরিক বিকাশ হয়নি। অর্থের অভাবে চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছে না তাঁর দরিদ্র পরিবারের পক্ষে। আট বছর আগে আরিফের বাবা মারা গেছেন। বর্তমানে বড়ভাইদের সংসারে মাকে নিয়ে বসবাস করছেন। তাঁদের বাড়ির জায়গাটুকু ছাড়া আর কোনো সম্পত্তি নেই।</p> <p>আরিফের মা রাবেয়া খাতুন বলেন, ‘আরিফ স্বাভাবিকভাবে অন্য শিশুদের মতোই জন্মগ্রহণ করেছিল। জন্মের চার-পাঁচ বছর বয়সেও স্বাভাবিক শিশুর মতোই ছিল। আমাদের আট সন্তানের মধ্যে সপ্তম আরিফ। তাঁর যখন পাঁচ বছর বয়স, তখন ভাতের সঙ্গে মিশিয়ে চুলকানির ওষুধ খেয়ে ফেলে। পরে তার পেট ফুলে যায়। তার পর থেকেই শারীরিকভাবে আর বড় হয়নি সে।’ আরিফের চিকিৎসার বিষয়ে রাবেয়া খাতুন বলেন, ‘একবার বড় ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম। তখন থেকেই অর্থাভাবে আর চিকিৎসা করাতে পারিনি। সে নিজে নিজে কিছুই করতে পারে না। সব কিছু আমাকে করিয়ে দিতে হয়।’</p>