<p>রাজধানী ঢাকার ভাসানটেক এলাকার একটি বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ শিশু লামিয়া (৭) মারা গেছে। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগে একই ঘটনায় দগ্ধ লামিয়ার মা-বাবা ও নানি মারা যান। ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম এ তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, শিশু লামিয়ার শরীরের ৫৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এর আগে এ ঘটনায় লামিয়ার মা সূর্য বানু (৩০), বাবা মো. লিটন (৪৮) ও নানি মেহেরুন্নেছা (৮০) মারা গেছেন। তরিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় লামিয়ার বড় বোন লিজা (১৮) ৩০ শতাংশ দগ্ধ ও ভাই সুজন (৮) ৪৩ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন। তাঁদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।</p> <p>গত শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে ভাসানটেক নতুন বাজারের কালভার্ট রোডের ৪/১৩ নম্বর দোতলা বাসার নিচ তলায় গ্যাস লিকেজ থেকে আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধ হন ভাড়াটে মো. লিটন, তাঁর স্ত্রী সূর্য বানু, তাঁদের তিন সন্তান লিজা, লামিয়া, সুজন ও লিটনের শাশুড়ি মেহরুন্নেছা। ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী ভাসানটেক থানার উপপরিদর্শক নাঈমুল ইসলাম হৃদয় বলেন, আগে থেকেই গ্যাসের লিকেজের কারণে বাসায় গ্যাস জমে ছিল। ভোর ৪টার দিকে মশার কয়েলের জন্য দিয়াশলাই জ্বালাতেই সেই গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ হয়। গ্যাসের পাইপে লিকেজ থাকায় ছড়িয়ে পড়া গ্যাসে আগুন ধরে গেলে তাঁরা দগ্ধ হন। প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে হৃদয় বলেন, মো. লিটনদের গ্যাস সিলিন্ডারটি ঘরের বাইরে থাকলেও ঘরে চুলার সঙ্গে পাইপ দিয়ে যুক্ত ছিল। বাসার দরজাটি লোহার। গ্যাসের পাইপটি লোহার দরজার ফোঁকর দিয়ে ঘরে নেওয়া হয়েছে। লোহার দরজায় পাইপ কেটে যাওয়ায় ঘরে গ্যাস জমা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।</p>