<p>নবম পে স্কেল ঘোষণাসহ বেতন বৈষম্য দূরীকরণে ছয় দাবি জানিয়েছেন ১১ থেকে ২০তম গ্রেডে কর্মরত সরকারি চাকরিজীবীরা। দাবি আদায়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান ছাড়াও ৬৪ জেলার প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।</p> <p>গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘১১-২০ গ্রেড সরকারি চাকরিজীবী ফোরাম’ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা এসব দাবি তুলে ধরেন।</p> <p>সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘২০১৫ সালে অষ্টম পে স্কেল দেওয়া হয়। দীর্ঘ ৯ বছর পার হলেও নবম পে স্কেল বাস্তবায়নে কোনো উদ্যোগ নেই। আবার পে স্কেল চার বছর পূর্ণ হলেই সব সরকার মহার্ঘ ভাতা দিয়ে থাকে, এখন পর্যন্ত তা-ও দেওয়া হচ্ছে না। অষ্টম পে স্কেল ঘোষণার সময় স্থায়ী পে কমিশন গঠনের কথা ছিল। তা-ও বাস্তবায়ন হয়নি এবং বাজার প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সমন্বয় করে বেতন যে ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে তা-ও মূল বেতনের সঙ্গে যুক্ত হয়নি।’</p> <p>সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা ছয়টি দাবি হলো—পে কমিশন গঠন করে বৈষম্যমুক্ত নবম পে স্কেল ঘোষণা; যেসব কর্মচারী মূল বেতনের শেষ ধাপে পৌঁছে গেছেন, তাঁদের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি নিয়মিত করা; টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড, বেতন জ্যেষ্ঠতা পুনর্বহাল, ব্লক পোস্ট নিয়মিতকরণসহ সব পদে পদোন্নতি বা পাঁচ বছর পর পর উচ্চতর গ্রেড প্রদান; বাজারমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে সমন্বয় করে সব ভাতা পুনর্নির্ধারণ ও ১১ থেকে ২০তম গ্রেডের চাকরিজীবীদের রেশনব্যবস্থা প্রবর্তন অথবা ন্যায্যমূল্যে সরকারিভাবে পণ্য সরবরাহ করা; সব সরকারি ও স্বায়ত্তসাশিত দপ্তর, অধিদপ্তরে কাজের ধরন অনুযায়ী পদ নাম ও গ্রেড পরিবর্তনসহ এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়ন করা; সব স্বায়ত্তসাশিত প্রতিষ্ঠানে গ্র্যাচুয়িটির পরিবর্তে পেনশন প্রবর্তনসহ বিদ্যমান গ্র্যাচুইটি বা আনুতোষিকের হার ৯০ শতাংশের স্থলে শতভাগ নির্ধারণ ও পেনশন গ্র্যাচুইটি এক টাকার সমান ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা।</p> <p> </p> <p> </p>