<p>ফুটফুটে শিশুটির বয়স মাত্র সাড়ে তিন বছর। এখনো দুনিয়ার কিছুই বোঝার বয়স হয়নি তার। যে বয়সে পুরো পরিবার মাতিয়ে রাখার কথা, সে বয়সেই হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে মোসা. আলিফা। মাত্র সাড়ে তিন বছর বয়সেই তাকে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম চালাতে হচ্ছে। কারণ ছোট্ট আলিফার কচি শরীরে বাসা বেঁধেছে মারণব্যাধি ক্যান্সার। শিশু আলিফা ভোলার লালমোহন উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের চরপাতা এলাকার মো. জামালের মেয়ে।</p> <p>ওই শিশুর মামা মো. সোহেল মাহমুদ জানান, পাঁচ মাস আগে হঠাৎ প্রচণ্ড জ্বরে আক্রান্ত হয় আলিফা। এরপর তাকে লালমোহনের বিভিন্ন চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হয়। তবু কিছুতেই আলিফা সুস্থ হচ্ছিল না। শেষমেশ চিকিৎসক পরামর্শ দেন ঢাকায় নেওয়ার। পরামর্শ অনুযায়ী আলিফাকে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে ডাক্তার দেখান। সেখানে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর আলিফার ব্লাড ক্যান্সার শনাক্ত হয়। এরপর চিকিৎসার জন্য তাকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে আলিফা। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেখানে তার কেমোথেরাপিসহ অন্যান্য চিকিৎসা চলছে।</p> <p>ক্যান্সার আক্রান্ত ওই শিশুর মা নাজমা বেগম বলেন, ‘ক্যান্সার শনাক্তের পর থেকে এ পর্যন্ত পাঁচ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এখনো সাত-আট লাখ টাকার মতো দরকার। কোথায় থেকে এত টাকা জোগাড় করব, তাই ভেবে উঠতে পারছি না। আমরা গরিব-অসহায়, তাই হয়তো এতো টাকা জোগাড়ও করতে পারব না। তবে আমি আমার এই ফুটফুটে ছোট্ট মেয়েটাকেও হারাতে চাই না।’</p> <p>এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মাসুদ বলেন, ‘দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ওই শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের চেষ্টা করব।’</p> <p>আলিফার মামা সোহেল মাহমুদ আরো জানান, আলিফার বাবা আর্থিকভাবে তেমন সচ্ছল নন। তিনি চট্টগ্রামে বালুর জাহাজে মাসিক ১৫ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করেন। তবে এরই মধ্যে গত পাঁচ মাসে আলিফার চিকিৎসায় বাড়ির বাগানের গাছ বিক্রির টাকা এবং আত্মীয়-স্বজনদের দেওয়া সহযোগিতায় প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মতো ব্যয় হয়ে গেছে। এখন আর কোনোভাবেই টাকা জোগাড়ের সাধ্য নেই। তবে চিকিৎসক বলেছেন, আলিফার পুরো চিকিৎসায় অন্তত ১২ লাখ টাকার মতো খরচ হবে। এখন সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা না পেলে অকালেই ঝরে যাবে আলিফার জীবন। তার চিকিৎসায় সহযোগিতা করতে চাইলে এই মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করতে হবে : ০১৩০০৭৬৪৯৫৯।</p> <p> </p> <p> </p> <p> </p>