<p>রাজধানীর কাছে রূপগঞ্জে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা পর্ষদ (ম্যানেজিং কমিটি) আয়ত্বে নিয়ে স্বজনপ্রীতি ও মানহীন শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সংসদ সদস্য, পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক) ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে।</p> <p>জানা গেছে, রূপগঞ্জ উপজেলার ৪০ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২০ মাদরাসা ও পাঁচটি কলেজের মধ্যে গাজী পরিবারই ১১টি প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্বে রয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে রূপগঞ্জের শিক্ষাব্যবস্থা ও এর মান নিয়ে ব্যাপক প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছে। যোগ্য পরিচালক বাদ দিয়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিচালনা পর্ষদের প্রধান করা হয়েছে মন্ত্রীর স্ত্রী হাসিনা গাজী, বড় ছেলে গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা ও ছোট ছেলে গাজী গোলাম আসরিয়া বাপ্পীকে। এ ছাড়া বড় ছেলের শাশুড়িকেও একটি প্রতিষ্ঠানের সভাপতি করেছেন তিনি।</p> <p>দস্তগীর গাজী তিন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি : গোলাম দস্তগীর গাজী ব্রাহ্মণখালী এলাকার জনতা উচ্চ বিদ্যালয়, ত্রিশকানীয়ের ছাত্তার জুট মিলস উচ্চ বিদ্যালয় ও মর্তুজাবাদের মর্তুজাবাদ ফাজিল মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি।</p> <p>স্ত্রী হাসিনা গাজী তিন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি : রূপসী নিউ মডেল উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ, বরপার হাজী নূরউদ্দিন আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয় ও তারাবো পৌর মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তিনি।</p> <p>বড় ছেলে গোলাম মর্তুজা পাপ্পাও সভাপতি হিসেবে তিনের ঘরেই রয়েছেন। তিনি ভুলতা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কাঞ্চন এলাকার হাজী রফিক উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রের নবকিশলয় হাই স্কুল অ্যান্ড গার্লস কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। ছোট ছেলে আসরিয়া বাপ্পী খাদুন এলাকার হাজী আয়েত আলী ভূইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি।</p> <p>শিক্ষার্থীদের একাধিক অভিভাবক বলেন, একটি পরিবার এতগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটিতে থাকায় তারা সঠিকভাবে এগুলোর দেখভাল করতে পারছে না।</p> <p>একই পরিবারের সদস্যরা ১১টি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে থাকতে পারবে কি না—এ প্রশ্নে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, ‘একই পরিবার থেকে ১১টি প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হওয়ার সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকলে এবং কোনো অনিয়মের অভিযোগ পেলে আমরা খতিয়ে দেখব।’</p> <p>এ বিষয়ে জানতে গোলাম দস্তগীর গাজীকে একাধিকবার কল দিলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।</p> <p> </p>