<p>মঞ্চে মানবাকৃতির বাংলাদেশি রোবট ‘নিনো’। গানের তালে তালে সেটি দুই হাত-পা দুলিয়ে নৃত্যরত। তার সামনে একদল ছেলেমেয়ে তাকে অনুকরণ করছে। আর সেখান থেকে বাছাই করে তিনজন হয়েছে বিজয়ী। জাতীয় শিশু দিবস এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে গতকাল রবিবার ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সোবহানবাগ ক্যাম্পাসে ‘বঙ্গবন্ধু শিশু রোবটিকস উৎসব ২০১৯’-এর একেবারে শেষ পর্বে এমনটা করেছে অংশগ্রহণকারীরা। এদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত শতাধিক খুদে শিক্ষার্থী মেতে উঠেছিল এক অন্যরকম আয়োজনে। স্ক্র্যাচ প্রগ্রামিং দিয়ে গেম বানানো, নিজের রোবট নিজে বানানো, মোবাইল ফোন দিয়ে সাপ-রোবটকে আঁকাবাঁকা পথে চালনা করা, রোবটিকস ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন সমাধানের আইডিয়া প্রদান—এমন সব প্রতিযোগিতার পাশাপাশি দিনভর তারা রোবটিকসের জগৎ নিয়ে নানা আনন্দ আয়োজনে যুক্ত হয়। এদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট দুইজনের বয়স ছিল মাত্র ছয় বছর।</p> <p>অনুষ্ঠানে তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক খুদে রোবট অনুরাগীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণের জন্য ছোটবেলা থেকে নতুন নতুন প্রযুক্তিকে করায়ত্ত করতে হবে। আগামী দিনগুলোতে এমন আয়োজনে সরকারের পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।</p> <p>অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান লুনা শামসুদ্দোহা, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির পরিচালক শহিদ-উল-মুনির, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম, বিডিওএসএনের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান প্রমুখ। এর আগে সকালে উৎসবের উদ্বোধন করেন ডেটাসফটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব জামান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিক্স ও মেকাট্রনিকস বিভাগের চেয়ারপারসন ড. লাফিফা জামাল।</p>