<p>নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় জামায়াত সমর্থিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ আলীর অংশগ্রহণকে কেন্দ্র করে সভা বর্জন করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। গতকাল শনিবার উপজেলা সড়কে নবনির্মিত কমপ্লেক্সটির সভাকক্ষে এই ঘটনা ঘটেছে। আর মন্ত্রীর সভা বর্জনের পর সেখানে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আনছার আলী ও অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা এমপির সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়াধাওয়ি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।</p> <p>মন্ত্রী মোজাম্মেল হক গতকাল দুপুরে ফিতা কেটে ও ফলক উন্মোচন করে ভবনে প্রবেশ করে মতবিনিময় সভায় যোগ দেন। দুপুর ২টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ রাশেদুল হক প্রধানের সভাপতিত্বে সভা শুরুর একপর্যায়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জামায়াত সমর্থিত সৈয়দ আলী বক্তব্য দেন। এর পরপরই মন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে সভাস্থল ত্যাগ করেন।</p> <p>মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নীলফামারী-১ আসনের সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকার, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুজিবুর রহমান, পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খান, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী বেলাল হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আনছার আলী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ফজলুল হক, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সরকার ফারহানা আখতার সুমি, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার হামিদুর রহমান প্রমুখ। </p> <p>সভায় জায়ায়াত সমর্থিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ আলীর উপস্থিতি এবং বক্তব্য দেওয়ার ব্যাপারে মন্ত্রী মোজাম্মেল হক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জানতে চান। এ নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে মন্ত্রী সভাস্থল ত্যাগ করেন এবং সভা পণ্ড হয়ে যায়।</p> <p>এ বিষয়ে জানতে চাইলে সভার সভাপতি ইউএনও মুহাম্মদ রাশেদুল হক প্রধান কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘জামায়াত সমর্থিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে বক্তব্যের সুযোগ দেওয়ায় মন্ত্রী ক্ষুব্ধ হয়ে সভা বর্জন করেন।’ হাতাহাতির সত্যতা স্বীকার করে তিনি আরো বলেন, ‘আমি বক্তব্য দেওয়ার সময় এমপির লোকজন আমাকে নিয়ে কটাক্ষ করায় আমার সমর্থকরা এর প্রতিবাদ করে। তা নিয়ে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়।’</p> <p>উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি কোনো দল করি না। জামায়াতের সমর্থকও নই। আমি উপজেলা প্রশাসনের আমন্ত্রণপত্র পেয়ে অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছি। আমাকে বক্তব্য দিতে বলায় বক্তব্যও দিয়েছি। পরিকল্পিতভাবে আমাকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলা হয়েছে।’</p> <p>মন্ত্রীর সঙ্গে সভাস্থল ত্যাগ করেন অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা এমপি। বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।</p>