<p>মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে ঢোকার সময় নাফ নদে নৌকাডুবির ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে; যার মধ্যে ১০ জনই শিশু। এখনো নিখোঁজ রয়েছে অন্তত ২০ জন। রবিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ এলাকায় নাফ নদের ঘোলারচর এলাকায় এ নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে।</p> <p>পুলিশ জানিয়েছে, অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই এবং দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে নৌকাটি ডুবে যায়। নৌকাডুবির পরপরই বিজিবি এবং কোস্ট গার্ডের সদস্যরা উদ্ধার অভিযানে নামেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে আট যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়। এর কিছুক্ষণ পর দুটি লাশ উদ্ধার করা হয়। আর গতকাল সোমবার উদ্ধার হয় আরো ১২ জনের লাশ। এখনো উদ্ধার অভিযান চলছে।  </p> <p>টেকনাফ থানার ওসি মো. মাঈনুদ্দিন খান জানান, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেতে ৩৫-৪০ জন রোহিঙ্গার একটি দল প্রথমে নাইক্ষ্যংদিয়া আসে। পরে সেখান থেকে নৌকায় করে নাফ নদ দিয়ে তারা শাহপরীর দ্বীপে আসছিল। পথে নৌকাটি ডুবে যায়।</p> <p>ওসি আরো জানান, রবিবার রাতে উপকূলে এমনিতেই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বয়ে যাচ্ছিল। এ কারণে আবহাওয়া বিভাগ ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেতও জারি করেছিল।</p> <p>এর আগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বঙ্গোপসাগরের ইনানী সৈকতের পাটুয়ারটেক এলাকায় ৮০ জনেরও বেশি রোহিঙ্গাবাহী একটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছিল। ওই দুর্ঘটনায় ২৩ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছিল। প্রসঙ্গত, গত প্রায় দেড় মাসে নৌকাডুবির ঘটনায় অন্তত ১৫৫ জন রোহিঙ্গার সলিল সমাধি ঘটল।</p>