<p>জনগণের কল্যাণ ও গণতন্ত্রের অভিন্ন লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সুসম্পর্ক থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে গতকাল সোমবার বিকেলে বঙ্গভবনে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ), বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস (বিকেএম) ও গণফ্রন্টের (জিএফ) সঙ্গে পৃথক সংলাপে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।</p> <p>বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেসসচিব জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, ‘বৈঠকে নতুন ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে ন্যাপ ১১ দফা প্রস্তাব, বিকেএম পাঁচ দফা প্রস্তাব এবং জিএফ ১৪ দফা প্রস্তাব দিয়েছে। বৈঠকে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, দেশে গণতন্ত্রের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অবশ্যই আন্তরিক সুসম্পর্ক থাকা প্রয়োজন।’</p> <p>প্রেসসচিব বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ইসি গঠনে তাদের পৃথক মতামত দিয়েছে। একটি শক্তিশালী ইসি গঠনে তাদের এসব মতামত সহায়ক হবে বলে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন।’</p> <p>সংলাপ শেষে ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশ ন্যাপের প্রথম প্রস্তাবে আছে, সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সার্চ কমিটি গঠন করা, এতে থাকবেন সর্বজন শ্রদ্ধেয়, সৎ, প্রাজ্ঞ ও নৈতিকতাসম্পন্ন ব্যক্তি। সার্চ কমিটির প্রধান হবেন অবসরপ্রাপ্ত একজন সাবেক প্রধান বিচারপতি, যিনি অবসরের পর কোনো লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত হননি। দ্বিতীয় প্রস্তাবে আছে, নির্বাচন কমিশনকে প্রধানমন্ত্রীর মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণমুক্ত হতে হবে। তৃতীয় প্রস্তাবে আছে, এমন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে, যে কমিশন বছরে অন্তত তিনবার নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে। চতুর্থ প্রস্তাবে আছে, নির্বাচনী প্রচারণায় দলের চেয়ারম্যান/সভাপতি, মহাসচিব/সাধারণ সম্পাদকদের ওপর কোনো বিধিনিষেধ রাখা যাবে না।</p> <p>জেবেল রহমান গানি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়নের ব্যাপারে আমরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে একমত। তবে যেহেতু বর্তমান সংসদে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি সেই অর্থে নেই, সেহেতু এই সংসদে কোনো আইন প্রণয়ন হোক সেটা এই মুহূর্তে আমরা চাই না।’</p>