১৯৫৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে মাত্র আটটি। সর্বশেষ সমাবর্তনটি অনুষ্ঠিত হয় ২০১২ সালে। আজ রবিবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে এর নবম সমাবর্তন। তবে এখন থেকে নিয়মিত সমাবর্তন আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নবম সমাবর্তন আজ
- প্রতিষ্ঠার ৬১ বছরে মাত্র আটটি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, স্বাধীনতার আগে শেষ সমাবর্তন (ষষ্ঠ) অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭০ সালের ২৯ জানুয়ারি। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর অ্যাডমিরাল এস এম আহসানের সভাপতিত্বে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন। সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন সৈয়দ সাজ্জাদ হোসায়েন।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৩ সালের ২২ এপ্রিল। ওই সমাবর্তনে মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য ফরাসি মনীষা আঁন্দ্রে মালরোকে ডি-লিট প্রদান করা হয়। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী এবং উপাচার্য ছিলেন অধ্যাপক খান সারওয়ার মুরশিদ। পরে ৯৯৮ জন গ্র্যাজুয়েটের অংশগ্রহণে ১৯৯৮ সালের ২৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয় সপ্তম সমাবর্তন।
আজ দুপুরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নবম সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. তালাত আহমদ। এবারের সমাবর্তনে চার হাজার ৭৭১ জন নিবন্ধিত গ্র্যাজুয়েট, আট শতাধিক শিক্ষক ও পাঁচ শতাধিক অতিথি উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
গতকাল ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, সমাবর্তন উপলক্ষে ক্যাম্পাসকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ জমিয়ে আড্ডায় ব্যস্ত পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে। সমাবর্তনে আসা সাবেক শিক্ষার্থীদের সৌজন্যে অনেক বিভাগই আয়োজন করেছে স্মৃতিচারণা, আড্ডা অনুষ্ঠান। বিকেল ৪টায় কেন্দ্রীয় স্টেডিয়ামে সমাবর্তনের মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন বলেন, 'সমাবর্তন বিশ্ববিদ্যালয়ের অত্যন্ত মর্যাদাসম্পন্ন একটি কার্যক্রম। শিক্ষার্থীদের জন্যও এটি একটি আকাঙ্ক্ষিত বিষয়। প্রায় ৬২ বছরে ৯টি সমাবর্তন আয়োজন হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য দুঃখজনক। তবে এখন থেকে নিয়মিতভাবে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।'

ভুয়া স্বাক্ষর ও প্রেস বিজ্ঞপ্তি নিয়ে রিজভীর সতর্কবার্তা
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী জানিয়েছেন, কুচক্রী ও স্বার্থান্বেষী মহল তাঁর স্বাক্ষর জাল করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভুয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। গতকাল শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এসব তথ্য জানিয়েছেন। বিজ্ঞপ্তিতে রিজভী বলেন, ‘আমি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী এই মর্মে দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি, কোনো স্বার্থান্বেষী কুচক্রী মহল আমার স্বাক্ষর জাল করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি পোস্ট করেছে। কিন্তু ফেসবুকে পোস্ট করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা, বানোয়াট ও অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের স্থাপনা ভাঙায় দুঃখ প্রকাশ অর্থ উপদেষ্টার
নিজস্ব প্রতিবেদক

১৯০ বছরের ঐহিত্যবাহী ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের পুরনো ভবন ভাঙায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, স্কুলের বিল্ডিং ভেঙে না ফেলে হেরিটেজ আকারে রাখা যেত। গতকাল শুক্রবার সকালে ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের ১৯০তম বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ভেঙে ফেলা হয়েছে, এখন আর কিছু করার নেই।

সংক্ষিপ্ত
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বদরুদ্দীন উমরের শারীরিক উন্নতি
নিজেস্ব প্রতিবেদক

বিশিষ্ট মার্ক্সবাদী-লেনিনবাদী রাজনীতিক ও তাত্ত্বিক বদরুদ্দীন উমর ঢাকার গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে রয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম এ তথ্য জানান। ফয়জুল হাকিম বলেন, ‘গত ২২ জুলাই ভোর ৫টার দিকে শ্বাসকষ্ট ও নিম্ন রক্তচাপজনিত কারণে বদরুদ্দীন উমরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ন্যায্য মজুরি নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন

ন্যায্য মজুরি নিশ্চিতের দাবিতে গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতি। ছবি : কালের কণ্ঠ
।