মোবাইল ফোন ছাড়া যেন এক মুহূর্ত চলে না আমাদের। কিন্তু এই অতি প্রয়োজনীয় যন্ত্রটির অধিক ব্যবহারেও রয়েছে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি। বিষয়টি নিয়ে লিখেছেন স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের নাক, কান, গলা ও হেড-নেক সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ লিটু
বর্তমান যুগে মোবাইল ফোন অনেক প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হলেও এর রয়েছে হাজারো কুফল, যা আজ আমাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। টানা ১৫ মিনিট মোবাইল ফোনে কথা বললে অনেক Radiation আমাদের শরীরে প্রবেশ করে।
এর ফলে মুখমণ্ডল ও মাথার অসুখগুলো অনেক বেশি হয়। যেমন :
· মাথা ব্যথা · খিটখিটে মেজাজ · অবসাদ
· Brain Tumorৎ যেমন : Astrocytoma, Acoustic neuroma, Glioma, Meningioma · Salivary gland tumors · Pituitary tumors
বিখ্যাত ইসরায়েলি গবেষণা ও সমরকন্দ স্টাডি থেকে ওপরের তথ্যগুলো জানার পাশাপাশি আমরা আরো জানতে পারি, Brain Tumor প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়ে যায় মোবাইল ফোন ব্যবহারের কারণে। এ ছাড়া পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে, Parkinsonism & Alhzehmar’s Disease বেড়ে যায় মোবাইল ফোনের Radiation-এর জন্য। তাই একসঙ্গে তিন মিনিটের বেশি মোবাইল ফোনে কথা বলা উচিত নয়।
আর দ্বিতীয়বার কথা বলার মাঝখানে অবশ্যই অন্তত ১৫ মিনিট ব্যবধান থাকা উচিত।
মোবাইলের এই ঝুঁকির তালিকায় সবার আগে রয়েছে বাচ্চা, বৃদ্ধ ও গর্ভবতী নারী। গর্ভের সন্তানের ওপর Radiation-এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। তাই যতটুকু সম্ভব এ বয়সের মানুষের কাছ থেকে মোবাইল ফোন দূরে রাখা উচিত।
Base Station-এর কাছাকাছি বাসাবাড়ি থাকলে সরিয়ে নিতে হবে। এ জন্য উপযুক্ত আইন থাকা দরকার।
মোবাইলে কথা বলতে বলতে রাস্তা পার হওয়া কিংবা গাড়ি চালাতে গিয়ে অনেক দুর্ঘটনার খবর আমরা হরহামেশা পাই। তাই গাড়ি চালানোর সময় Hands Free থাকতে হবে। মোবাইলের অপব্যবহার করে স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা বিপথে যাচ্ছে।
এ জন্য উন্নত বিশ্বে এইচএসসির আগে মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ।
সিগারেটের প্যাকেটে সচেতনতামূলক লেখা আনার জন্য ২০০ বছর আন্দোলন করতে হয়েছে। তবে আজ বর্তমান দুনিয়ায় মোবাইল ফোনের বিক্রি থেকে শুরু করে ব্যবহারবিধি ও স্বাস্থ্য সর্তকতা অবলম্বনে এত বছর সংগ্রাম করতে হবে না বলেই মনে করি। আসুন, আমরা আজই সচেতন হই এবং নিয়ম মেনে মোবাইল ফোন ব্যবহার করি।