ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

বন্ধ হচ্ছে জয়ের ‘বিনিময়’ বাতিল হচ্ছে চুক্তি

মো. জয়নাল আবেদীন
মো. জয়নাল আবেদীন
শেয়ার
বন্ধ হচ্ছে জয়ের ‘বিনিময়’ বাতিল হচ্ছে চুক্তি

কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে না পারায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের প্রতিষ্ঠান বিনিময়-এর সঙ্গে চুক্তি বাতিল করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সব কিছু ঠিক থাকলে মার্চের মধ্যেই বিদেশি একটি কম্পানির সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করবে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংক এবং এক অপারেটর থেকে অন্য অপারেটরে টাকা পাঠানোর এই সেবা দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই অন্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র।

দেশের প্রথম ইন্টার অপারেবল ডিজিটাল ট্রানজেকশন প্ল্যাটফর্ম বিনিময়। ভারতের ইউনাইটেড পেমেন্ট ইন্টারফেসের (ইউপিআই) আদলে গড়ে ওঠা এই প্রতিষ্ঠান এখন বন্ধ হওয়ার পথে। সরাসরি মালিকানায় না থাকলেও প্রতিষ্ঠানটির মূল উদ্যোক্তা সজীব ওয়াজেদ জয়। কারিগরি ত্রুটির অজুহাতে চালু হওয়ার কিছুদিনের মধ্যে বন্ধ হওয়া প্রতিষ্ঠানটিকে আর টানতে চাচ্ছে না বাংলাদেশ ব্যাংক।

এ জন্য চুক্তি বাতিলের আইনি জটিলতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সূত্র বলছে, যদি জটিলতা না থাকে, দ্রুত সময়ের মধ্যেই বাতিল হবে বিনিময়ের সঙ্গে হওয়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চুক্তি। তবে কোন মাসে এটা বাতিল হবে তা বলা যাবে না। ইন্টার অপারেবল ডিজিটাল ট্রানজেকশনের জন্য নতুন ফরম্যাটে নতুন চিন্তা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

কিন্তু সেটি কী ফরম্যাটে হবে বা এনপিএসবির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকবে কি না, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

এদিকে গত ২৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, মোবাইলে আর্থিক সেবার (এমএফএস) আন্ত লেনদেন পরিচালনার জন্য বিনিময় নামের যে প্ল্যাটফর্ম করা হয়েছিল, সেটি ছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের শেল কম্পানি। এমএফএসে আন্ত লেনদেনব্যবস্থা এগোতে না পারার একটা বড় কারণ, এটি আইসিটি মন্ত্রণালয়ের অধীনে দেওয়া হয়েছিল।

২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হয় বিনিময় অ্যাপের, যার মাধ্যমে বিকাশ, রকেটসহ ১৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আন্ত লেনদেন সম্পন্ন হচ্ছে এখন। কিন্তু এই অ্যাপের মাধ্যমে লেনদেনের পরিমাণ এখনো আশানুরূপ নয়।

কারণ মোবাইল ফিন্যানশিয়াল সার্ভিসেসের (এমএফএস) মাধ্যমে যেখানে প্রতিদিন পাঁচ হাজার কোটি টাকার ওপরে লেনদেন হচ্ছে, সেখানে বিনিময়ে দৈনিক লেনদেন ৩০ লাখ টাকার মধ্যে। খরচ কম হলেও গত দুই বছরের বেশি সময়ে খুব বেশি এগোয়নি উদ্যোগটি।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ১০ জুন ৭৫৩টি লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে বিনিময়ের মাধ্যমে, টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ছিল ৩০ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। অর্থাৎ এই হিসাবে পুরো মাসের লেনদেন দাঁড়াবে ৯ কোটি ১৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, এমএফএসের এক অ্যাপ থেকে অন্য অ্যাপে টাকা স্থানান্তর করা যায় না। অথচ বিষয়টি খুবই জরুরি। এখন বিনিময়ের মাধ্যমে বিকাশ থেকে রকেটে বা রকেট থেকে বিকাশে টাকা পাঠানো যায়। শুধু তা-ই নয়, বিকাশ বা বিভিন্ন এমএফএস সেবা থেকে বিভিন্ন ব্যাংকেও টাকা পাঠানো যায়। তার পরও আশানুরূপ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ দেশের সব ব্যাংক ও এমএফএস এখনো বিনিময়ের ছাতার আওতায় আসেনি। তা ছাড়া বিনিময় অ্যাপ দিয়ে ব্যাংক ও এমএফএস থেকে অন্য এমএফএসে টাকা স্থানান্তরের প্রক্রিয়াটি জটিল, সময়সাপেক্ষ ও দীর্ঘ। তা ছাড়া মাঝেমধ্যেই পড়তে হয় সার্ভার সমস্যায়।

২০২০ সালের অক্টোবরে এক প্রজ্ঞাপনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছিল, সফলভাবে পাইলট টেস্টিং সম্পন্নকারী ব্যাংক ও এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ওই বছরের ২৭ অক্টোবর থেকে ইন্টার-অপারেবিলিটি বা পারস্পরিক লেনদেনসুবিধা চালু করা হবে। তবে তখন সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে এ সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসে বাংলাদেশ ব্যাংক। পরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ একটি প্রকল্প হাতে নেয়। এতে খরচ হয় প্রায় ১৫০ কোটি টাকা। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ (আইডিয়া) প্রকল্প বিনিময় সেবা তৈরি করে বাংলাদেশ ব্যাংককে বুঝিয়ে দেয়। তবে এতে লেনদেন তেমন হচ্ছে না। কারণ সেবাগ্রহীতা সবাইকে পৃথকভাবে বিনিময়ে নিবন্ধন করতে হয়। পাশাপাশি এতে মাশুলও দিতে হয়। বিনিময় অ্যাপের কাজের সঙ্গে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর ছেলে জারেফ হামিদ যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এই বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, নগদ টাকা সরবরাহে প্রতিবছর সরকারকে কয়েক শ কোটি টাকা খরচ করতে হয়। আবার টাকার মাধ্যমে বিভিন্ন জীবাণুও ছড়িয়ে পড়ে। এ জন্য আমাদের ধীরে ধীরে অনলাইন লেনদেনের দিকেই যেতে হবে। ইন্টার-অপারেবিলিটি আমাদের প্রয়োজন। কিন্তু বিনিময়ের মাধ্যমে আমরা সেই সুবিধাটা ঠিকঠাকমতো পাচ্ছি না।

তথ্য বলছে, সব ব্যাংক, মোবাইল ফিন্যানশিয়াল সার্ভিসেস এবং পেমেন্ট সার্ভিস প্রভাইডারসহ (পিএসপি) আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে লেনদেনে ইন্টার-অপারেবিলিটি নিশ্চিত করতে বিনিময় চালু করা হয়েছিল। গ্রাহকরা মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে রেজিস্ট্রেশন করে ভার্চুয়াল আইডি তৈরি করে সহজেই অর্থ লেনদেন করতে পারত। এই অ্যাপে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিন স্তরের সুরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে।

ভারতের ইউপিআইয়ের আদলে গড়ে ওঠা প্ল্যাটফর্মটির সঙ্গে প্রাথমিকভাবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল ১১টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে আটটি ব্যাংক ও তিনটি এমএফএস। মূলত চারটি প্রতিষ্ঠান এই প্ল্যাটফর্ম তৈরির কাজ করে। প্রতিষ্ঠান চারটি হলো ওরিয়ন ইনফরমেটিকস লিমিটেড, মাইক্রোসফট বাংলাদেশ লিমিটেড, ফিনটেক সল্যুশন লিমিটেড ও সেইন ভেঞ্চারার্স লিমিটেড।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা

শেয়ার
রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা
রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। গতকাল রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক-বাঘাইহাই সড়ক থেকে তোলা। ছবি : কালের কণ্ঠ
মন্তব্য

কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত

    চার জেলায় ৪ লাশ উদ্ধার
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন। এ ছাড়া বাগেরহাটে যুবদল নেতাকে হত্যার অভিযোগসহ পাঁচ জেলায় পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধ ও বৃহস্পতিবার এসব ঘটনা ঘটেছে।

কালের কণ্ঠের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ভূন্দুর চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত তিনজন হলেন আনোয়ার হোসেনের ছেলে নুরুল আমিন (৪০), গোলাম শহিদের ছেলে বলু মিয়া (৫৫) ও ফুলবাবু (৫০)। তাঁরা সবাই জমি নিয়ে বিরোধে থাকা শাহাজাহান মিয়ার পক্ষের লোক বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বহুদিন ধরে ওই এলাকার শাহাজাহান মিয়া ও রাজু মিয়ার মধ্যে ৫০ শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল।

ওই জমিতে সেচ দিতে গেলে রাজু মিয়ার লোকজন বাধা দেয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান।

রৌমারী থানার ওসি লুৎফর রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে।

এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে।

এ ছাড়া দেশের অন্য কয়েকটি জেলায়ও পৃথক ঘটনায় আরো পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।

বাগেরহাটে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মারধরে সোহাগ সরদার (২৭) নামের যুবদলের এক নেতার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পরে খুলনায় নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ বলছে, ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যাময়নাতদন্তের পর বলা যাবে।

ময়মনসিংহের ভালুকায় বিয়ের মাত্র ছয় দিনের মাথায় এক নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত রূপা (১৮) তাঁর স্বামীর সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন। স্বামী দাবি করেছেন, রূপা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। পুলিশ অপমৃত্যুর মামলা নিয়েছে।

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় যমুনা নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মানকিদাহ এলাকায় নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার হয়েছে টাঙ্গন নদী থেকে। মৃত ব্যক্তি হলেন দিনাজপুর জেলার বাসিন্দা আনোয়ারুল ইসলাম।

মন্তব্য

বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ২৮৭ যাত্রী নিয়ে নিরাপদে চট্টগ্রামে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
শেয়ার
বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ২৮৭ যাত্রী নিয়ে নিরাপদে চট্টগ্রামে

দুবাই থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় উড্ডয়নের পরপরই চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরে এসেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইট বিজি ১৪৮ চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে অবতরণ করেছিল। এটি ৮টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটিজনিত কারণে ফ্লাইটটি পুনরায় ফিরে এসে ৮টা ৫৮ মিনিটে শাহ আমানত বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জানান, বিমানটি বিমানবন্দরের বে নম্বর-৮-এ অবস্থান করছে। ফ্লাইটের সব যাত্রীর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের অন্য একটি ফ্লাইট বিজি ১২২-এ অনবোর্ড সম্পন্ন হয়। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

বিমান কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুবাই থেকে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইটটি চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

চট্টগ্রামে অবতরণের পর ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে ৮টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। এরপর হঠাৎ যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ফ্লাইটটি পুনরায় ফিরে এসে ৮টা ৫৮ মিনিটে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, বিমানের ত্রুটি সারানোর কাজ চলছে। যাত্রীরা নিরাপদে আছেন।

 

মন্তব্য

রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ৫০ আরোহীর সবাই নিহত

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ৫০ আরোহীর সবাই নিহত

রাশিয়ায় ৫০ আরোহী নিয়ে একটি অ্যান-২৪ যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রাথমিক খবরে জানানো হয়েছে, কেউই বেঁচে নেই। সিভিল ডিফেন্স, জরুরি ও দুর্যোগবিষয়ক মন্ত্রণালয় গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছে, অ্যান-২৪ বিমানটি পরিচালনা করছিল সাইবেরিয়াভিত্তিক বিমান সংস্থা আঙ্গারা। প্রথমে বিমানটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।

এরপর তা খুঁজে বের করতে জরুরি তল্লাশি অভিযান চলছিল বলে জানান আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলোভ। কিন্তু পরে জানানো হয়, এর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। তারা বিমানের ফিউজলেজের সন্ধান পেয়েছে।

ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সি বলেছে, চীনের কাছাকাছি আমুর অঞ্চলে বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে।

এমআই-৮ হেলিকপ্টার বিমানটির ফিউজলেজ দেখতে পেয়েছে। এই হেলিকপ্টারটি পরিচালনা করে রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ রোসাভিয়াতসিয়া।

বার্তা সংস্থা তাসের খবর অনুযায়ী, আশপাশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের মতো দৃষ্টিসীমা ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসে। এ কারণে বিমানটি অবতরণের চেষ্টা করে থাকতে পারেন ক্রু।

এটা হতে এটা হতে পারে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার একটি কারণ। সাইবেরিয়াভিত্তিক আঙ্গারা এয়ারলাইনস পরিচালিত বিমানটি চীনের সীমানা লাগোয়া আমুর অঞ্চলের তিন্দা শহরের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। এমন সময় এটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।

স্থানীয় জরুরিবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিমানটি গন্তব্যের কাছাকাছি থাকাকালে হঠাৎ করে রাডারের বাইরে চলে যায়। গভর্নর অরলোভ টেলিগ্রামে লিখেছেন, প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে বিমানে ৪৩ জন যাত্রী ছিলেন।

তার মধ্যে পাঁচজন শিশু। তাদের সঙ্গে ছয়জন ক্রু সদস্যও ছিলেন। তিনি বলেন, বিমান অনুসন্ধানে সব প্রয়োজনীয় বাহিনী ও সরঞ্জাম মোতায়েন করা হয়।

উড়োজাহাজটিতে পাঁচ শিশুসহ ৪৩ যাত্রী ও ছয় ক্রু ছিলেন বলে আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলভ আগেই জানিয়েছিলেন। যেখানে উড়োজাহাজটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়, সেটি রাশিয়ার তাইগা বনভূমি অঞ্চলে পড়েছে।

১৯৫০-এর দশকে নির্মিত আন্তোনভ আন-২৪ উড়োজাহাজ সাধারণত যাত্রী ও মালপত্র পরিবহনে ব্যবহৃত হয়। এখন পর্যন্ত এই মডেলের হাজারের বেশি উড়োজাহাজ তৈরি হয়েছে। রাশিয়ায় এখন সীমিত পরিসরে বাণিজ্যিকভাবে এ ধরনের উড়োজাহাজ ব্যবহৃত হয় বলে জানিয়েছে আরটি।

সরকারি বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অবতরণের সময় পাইলটের ভুল এবং খারাপ দৃশ্যমানতা এই দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। সূত্র : রয়টার্স

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ