দেশে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। তবে এর চিকিৎসাব্যবস্থা এখনো অপ্রতুল। চিকিৎসা ব্যয়বহুল ও দীর্ঘমেয়াদি হওয়ায় বেশির ভাগ রোগী প্রাতিষ্ঠানিক চিকিৎসার বাইরে থাকছে। অর্ধেকের বেশি রোগী বিনা চিকিৎসায় মারা যায়।
বিনা চিকিৎসায় অর্ধেকের বেশি মৃত্যু
শিমুল মাহমুদ

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের (এমআইএস) তথ্য মতে, ২০২৪ সালে সরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে ১৩ হাজার ৮৫২ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫৭৪ জনের। বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছে দুই লাখ ৭৫ হাজার ৩৪০ জন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে সেবা নিতে এসেছে ১২ হাজার ৫৩ জন।
ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া রোগীর এ সংখ্যা সারা দেশে আক্রান্ত মোট রোগীর অর্ধেকের কম। মৃত্যুর সংখ্যা মারা যাওয়া রোগীর প্রকৃত সংখ্যার চেয়ে অন্তত ২০ গুণ কম। কারণ ক্যান্সার চিকিৎসাব্যবস্থা অপ্রতুল ও ব্যয়বহুল হওয়ায় রোগীর একটি বড় অংশ প্রাতিষ্ঠানিক চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত। এরা এখনো কবিরাজের কাছে যায়।
এমন পরিস্থিতিতে আজ ৪ ফেব্রুয়ারি পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব ক্যান্সার দিবস’। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘অনন্যতায় ঐক্যতান’।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বাংলাদেশে বছরে এক লাখ ৬৭ হাজার ২৫৬ জন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে।
আইএসের তথ্য মতে, ২০২৩ সালে বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছে এক লাখ ২৩ হাজার ১৭১ জন। জরুরি বিভাগে সেবা পেয়েছে ১০ হাজার ৪১৮ জন। রোগী ভর্তি হয়েছে ১৬ হাজার ৫৬ জন। মারা যায় ৪৯০ জন।
স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক সৈয়দ মো. আকরাম হোসেন বলেন, ‘আমাদের যেহেতু ক্যান্সারের স্থায়ী কোনো নিবন্ধন নেই, তাই সঠিক পরিসংখ্যানও নেই। ক্যান্সারের প্রাদুর্ভাব বা প্রকোপ বোঝার জন্য আমাদের নির্ভর করতে হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগী সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অব ক্যান্সার (আইএআরসি) প্রকাশিত গ্লোবোক্যানের ওপর। এখনো তৈরি করা যায়নি জাতীয় ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ কৌশলপত্র, কর্মপরিকল্পনা, কর্মসূচি ও নিবন্ধন।
ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ স্তন ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন বলেন, ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে রোগীরা বিশ্বমানের সেবা থেকে বঞ্চিত। ১০ শতাংশ মানুষ উন্নত সেবা পায়। বিভিন্ন হাসপাতালে যারা চিকিৎসা নিচ্ছে, তাদের সংখ্যা সব মিলিয়ে বছরে ৫০ হাজারের মতো। যারা একাধিকবার চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে যাচ্ছে।
গ্লোবোক্যানের হিসাব অনুযায়ী, দেশের অনুমিত নতুন ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী এক লাখ ৬৭ হাজার ২৬৫ জন। মারা যায় এক লাখ ১৬ হাজার ৫৯৮ জন। এর মধ্যে মৃত্যুর প্রধান কারণ খাদ্যনালি, ঠোঁট ও ফুসফুসের ক্যান্সার। মেয়েদের ক্ষেত্রে জরায়ু ও স্তন ক্যান্সার বেশি।
ক্যান্সারের সঠিক পরিস্থিতি জানতে বর্তমানে দেশে জনসংখ্যাভিত্তিক ক্যান্সার রেজিস্ট্রির কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, আহ্ছানিয়া মিশন ক্যান্সার হাসপাতাল ও কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায় পাইলট প্রগ্রাম চলছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের করা এ রেজিস্ট্রি তথ্য বলছে, দেশে ৩৮ ধরনের ক্যান্সারে মানুষ আক্রান্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে স্তন, মুখ, পাকস্থলী, শ্বাসনালি ও জরায়ুমুখ ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা বেশি। ফুসফুস, শ্বাসনালি ও পাকস্থলীর ক্যান্সারে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটছে। নতুন করে বছরে আক্রান্ত হচ্ছে ৫৩ জন।
ব্যয় নিয়ে দিশাহারা রোগী
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, প্রতি ১০ লাখ মানুষের জন্য একটি করে ক্যান্সার সেন্টার থাকা দরকার। বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটি। মানসম্পন্ন চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশে ১৭০টি ক্যান্সার চিকিৎসাকেন্দ্র থাকা দরকার। কিন্তু আছে মাত্র ২২টি। এর বেশির ভাগই ঢাকায়।
সারা দেশের দরিদ্র রোগীরা চিকিৎসার জন্য সরকারের জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে আসে। ৫০০ শয্যার এ হাসপাতালে সারা বছর রোগীর ভিড় থাকে। সহজে এই প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা পাওয়া যায় না। অনেক রোগীকে বিশেষ কোনো থেরাপি বা সার্জারির জন্য মাসের পর মাস অপেক্ষা করতে হয়।
এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা কয়েকজন রোগীর স্বজন জানান, বেসরকারি হাসপাতালের তুলনায় সরকারি এই হাসপাতালে খরচ কিছুটা কম। কিন্তু লম্বা সময় ধরে সেটাও সামাল দিতে তাঁদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর এলাকার ক্যান্সার আক্রান্ত হালিমা বলেন, হাসপাতাল থেকে ভর্তি সুপারিশ করা হয়েছে। কিন্তু শয্যা খালি না থায়ায় তিনি গত এক সপ্তারের বেশি সময় হাসপাতালের পাশে একটি ভাড়া বাসায় থাকছেন। এখানে প্রতিদিন পাঁচ শ ও খাওয়ায় আরো পাঁচ শ টাকা খরচ করতে হচ্ছে।
হালিমা বলেন, ‘আমি ঢাকার বাইরে থেকে আসি। কিন্তু এখানে সময়মতো সিরিয়াল পাই না। এলেই বলে ১০ দিন পরে আসেন। আমি সময়মতো চিকিৎসা পাই না। টাকাও অনেক খরচ হয়। সেটা জোগাড় করাও আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষের পক্ষে খুব সমস্যা।’
সরকারের উদ্যোগ
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক সায়েদুর রহমান বলেন, ‘দেশে বছরে ৪০০ থেকে ৪৫০টি অ্যান্টি ক্যান্সার ওষুধ তৈরি হয়। এর সমপরিপাণ ওষুধ আশপাশের দেশ থেকে আমদানি করা হয়। কারণ বাংলাদেশের কম্পানিগুলো বেশির ভাগ ক্যান্সারের ওষুধ তৈরি করে না। এ জন্য ক্যান্সারের ওষুধের ওপর কর প্রত্যাহার করা হয়েছে। এতে ১০ শতাংশ ওষুধের দাম কমবে বলে আশা করি।’
অধ্যাপক সায়েদুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে ক্যান্সারের বিষয়ে সবচেয়ে বড় প্রজেক্ট আট বিভাগে হাসপাতাল তৈরি। একটা বড় গ্যাপ ছিল সাত মাস ধরে। আমরা এ সপ্তাহে প্রজেক্ট ডিরেক্টরদের অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিয়ে দেব। এসব হাসপাতালে কোনোটায় ৪০ শতাংশ, কোনোটায় আরো বেশি স্ট্রাকচার গড়ে উঠেছে। এ বছর আটটা না হলে অন্তত চারটা হাসপাতাল চালু করতে পারব। এসব হাসপাতালে ক্যান্সার রোগীদের জন্য রেডিওথেরাপির আধুনিক সব ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।’
সম্পর্কিত খবর

রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা


কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত
- চার জেলায় ৪ লাশ উদ্ধার
কালের কণ্ঠ ডেস্ক

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন। এ ছাড়া বাগেরহাটে যুবদল নেতাকে হত্যার অভিযোগসহ পাঁচ জেলায় পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধ ও বৃহস্পতিবার এসব ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ভূন্দুর চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত তিনজন হলেন আনোয়ার হোসেনের ছেলে নুরুল আমিন (৪০), গোলাম শহিদের ছেলে বলু মিয়া (৫৫) ও ফুলবাবু (৫০)। তাঁরা সবাই জমি নিয়ে বিরোধে থাকা শাহাজাহান মিয়ার পক্ষের লোক বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বহুদিন ধরে ওই এলাকার শাহাজাহান মিয়া ও রাজু মিয়ার মধ্যে ৫০ শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল।
রৌমারী থানার ওসি লুৎফর রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে।
এ ছাড়া দেশের অন্য কয়েকটি জেলায়ও পৃথক ঘটনায় আরো পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
বাগেরহাটে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মারধরে সোহাগ সরদার (২৭) নামের যুবদলের এক নেতার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ময়মনসিংহের ভালুকায় বিয়ের মাত্র ছয় দিনের মাথায় এক নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত রূপা (১৮) তাঁর স্বামীর সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন। স্বামী দাবি করেছেন, রূপা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। পুলিশ অপমৃত্যুর মামলা নিয়েছে।
সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় যমুনা নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মানকিদাহ এলাকায় নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার হয়েছে টাঙ্গন নদী থেকে। মৃত ব্যক্তি হলেন দিনাজপুর জেলার বাসিন্দা আনোয়ারুল ইসলাম।

বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ২৮৭ যাত্রী নিয়ে নিরাপদে চট্টগ্রামে
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

দুবাই থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় উড্ডয়নের পরপরই চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরে এসেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইট বিজি ১৪৮ চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে অবতরণ করেছিল। এটি ৮টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটিজনিত কারণে ফ্লাইটটি পুনরায় ফিরে এসে ৮টা ৫৮ মিনিটে শাহ আমানত বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জানান, বিমানটি বিমানবন্দরের বে নম্বর-৮-এ অবস্থান করছে। ফ্লাইটের সব যাত্রীর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের অন্য একটি ফ্লাইট বিজি ১২২-এ অনবোর্ড সম্পন্ন হয়। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
বিমান কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুবাই থেকে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইটটি চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, বিমানের ত্রুটি সারানোর কাজ চলছে। যাত্রীরা নিরাপদে আছেন।

রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ৫০ আরোহীর সবাই নিহত
কালের কণ্ঠ ডেস্ক

রাশিয়ায় ৫০ আরোহী নিয়ে একটি অ্যান-২৪ যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রাথমিক খবরে জানানো হয়েছে, কেউই বেঁচে নেই। সিভিল ডিফেন্স, জরুরি ও দুর্যোগবিষয়ক মন্ত্রণালয় গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছে, অ্যান-২৪ বিমানটি পরিচালনা করছিল সাইবেরিয়াভিত্তিক বিমান সংস্থা আঙ্গারা। প্রথমে বিমানটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।
ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সি বলেছে, চীনের কাছাকাছি আমুর অঞ্চলে বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে।
বার্তা সংস্থা তাসের খবর অনুযায়ী, আশপাশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের মতো দৃষ্টিসীমা ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসে। এ কারণে বিমানটি অবতরণের চেষ্টা করে থাকতে পারেন ক্রু।
স্থানীয় জরুরিবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিমানটি গন্তব্যের কাছাকাছি থাকাকালে হঠাৎ করে রাডারের বাইরে চলে যায়। গভর্নর অরলোভ টেলিগ্রামে লিখেছেন, প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে বিমানে ৪৩ জন যাত্রী ছিলেন।
উড়োজাহাজটিতে পাঁচ শিশুসহ ৪৩ যাত্রী ও ছয় ক্রু ছিলেন বলে আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলভ আগেই জানিয়েছিলেন। যেখানে উড়োজাহাজটি ‘রাডার থেকে হারিয়ে যায়’, সেটি রাশিয়ার তাইগা বনভূমি অঞ্চলে পড়েছে।
১৯৫০-এর দশকে নির্মিত আন্তোনভ আন-২৪ উড়োজাহাজ সাধারণত যাত্রী ও মালপত্র পরিবহনে ব্যবহৃত হয়। এখন পর্যন্ত এই মডেলের হাজারের বেশি উড়োজাহাজ তৈরি হয়েছে। রাশিয়ায় এখন সীমিত পরিসরে বাণিজ্যিকভাবে এ ধরনের উড়োজাহাজ ব্যবহৃত হয় বলে জানিয়েছে আরটি।
সরকারি বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অবতরণের সময় পাইলটের ভুল এবং খারাপ দৃশ্যমানতা এই দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। সূত্র : রয়টার্স