<p>সম্ভাব্য অপরাধীকে জেরার সময় তদন্তকারীরা অনেক সময় ‘লাই ডিটেক্টর’-এর সাহায্যে মিথ্যা বক্তব্য শনাক্ত করেন। এবার আরো নির্ভরযোগ্য মিথ্যা ধরার যন্ত্র তৈরির কাজ এগিয়ে চলছে। আধুনিক এই যন্ত্র ভবিষ্যতে অপরাধবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বিপ্লব আনতে পারে।</p> <p>অনেক সময় খুনি শনাক্ত করার মতো তথ্য-প্রমাণ না থাকায় পুলিশ  অসহায় হয়ে পড়ে। লাই-ডিটেক্টর পরীক্ষায় ফাঁকি দেওয়া যায় বলে তা সম্পূর্ণ নির্ভরযোগ্য নয়।</p> <p>জার্মান স্নায়ুবিজ্ঞানী জন ডায়লান হেনস একেবারে নতুন ধরনের এক লাই-ডিটেক্টর তৈরির কাজ করছেন। এই যন্ত্র হবে ত্রুটিহীন এবং এর প্রয়োগে সন্দেহের কোনো অবকাশ থাকবে না। সচেতনভাবে কেউ মিথ্যা কথা বলছে কি না, তা শনাক্ত করার বদলে এই যন্ত্র অপরাধস্থল সম্পর্কে অকাট্য তথ্য মিলিয়ে দেখবে। হেনস বলেন, “কেউ সত্যি না মিথ্যা বলছে, তা জানতে তাকে সরাসরি প্রশ্ন করা যেতে পারে। যেমন ‘তুমি কি ঘটনাস্থলে ছিলে?’, ‘তুমি কি এই অস্ত্র ব্যবহার করেছ?’ ইত্যাদি। অথবা সরাসরি তার মস্তিষ্কে উঁকি মেরে দেখা যেতে পারে, সে কোনো কিছুু চেনার লক্ষণ দেখাচ্ছে কি না। একবার কিছু দেখে থাকলে মস্তিষ্ক আবার তা চিনতে পারে। কোনো অপরাধ করে থাকলে সেটা মনে পড়লে মস্তিষ্কে কিছু লক্ষণ দেখা যায়।’’</p> <p>একবার কোনো জায়গায় গিয়ে থাকলে কি সারা জীবন ধরে তার নিউরোনাল ইমেজ মনে থাকে? হেনসের টিম এক ধরনের ভিডিও গেমসের মাধ্যমে এ প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছে। এই পরীক্ষার আওতায় স্বেচ্ছাসেবীরা ভার্চুয়াল বাড়িঘর ও এলাকার মধ্য দিয়ে চলে যাচ্ছে। যা দেখছে, সেসব কিছুু মনে রাখা তাদের দায়িত্ব।</p> <p>এই প্রক্রিয়া ভবিষ্যতে খুনি, ডাকাত বা হামলাকারীকে শনাক্ত করতে কাজে লাগতে পারে। তখন ঘটনাস্থলের ছবি দেখিয়ে সন্দেহভাজনদের নিউরাল প্রতিক্রিয়া পরিমাপ করা হবে। সূত্র : ডয়েচে ভেলে।</p>