<p>একদল আধুনিক প্রকৌশলী মনে করেন, বৈজ্ঞানিক নিউ মুনকে সূত্র ধরে একই দিনে সারা বিশ্বে ঈদ, ইবাদত ও রোজা রাখা সম্ভব; কিন্তু গবেষণা বলছে, ‘হিলাল’ (ইসলাম নির্দেশিত নতুন চাঁদ) আর বৈজ্ঞানিক ‘নিউ মুন’ এক নয়। বহু অমুসলিম জ্যোতির্বিজ্ঞানীও এই সত্য স্বীকার করেছেন। এ বিষয়ে ভারতের প্রখ্যাত আলেম ও পীর আল্লামা জুলফিকার আহমাদ নকশবন্দী একটি ঘটনা বর্ণনা করেছেন। ওয়াশিংটনে অবস্থিত মহাকাশ জাদুঘরে তাঁর একাধিকবার যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। সেখানে এমন একটি বিভাগ রয়েছে, যেখানে সার্বক্ষণিক মহাকাশে কী ঘটছে, তা সম্প্রচার করা হয়।</p> <p>তিনি ওই অফিসের এক কর্মকর্তাকে বলেন : আমি অমুক এলাকায় থাকি, আমার জানা দরকার, এখানে নতুন চাঁদ কবে দেখা যাবে? তারা জবাব দিল, মুসলিমরা যাকে নতুন চাঁদ বলে, আমরা তাকে বলি ক্রিসেন্ট (crescent) আর আমরা যাকে নতুন চাঁদ (new moon) বলি, তা সম্পূর্ণ কালো এবং তা দেখাই যায় না। এটা (new moon) আমাদের একটি বৈজ্ঞানিক পরিভাষা (scientific term)। আর মুসলিমদের কাছে যেটা New moon সেটা হচ্ছে crescent। আরবিতে একে বলা হয় ‘হিলাল’। কর্মকর্তারা আরো জানান, এই ‘হিলাল’ দৃষ্টিগোচর হওয়া সম্পর্কে আমরা বলে থাকি, সম্ভাবনা (chances) রয়েছে, নিশ্চিত কিছু বলতে পারি না। আমি বললাম, কিন্তু আমাকে তো নিশ্চিত করেই বলতে হবে। তখন তারা বলল, যদি আপনাকে চূড়ান্ত কোনো তথ্য পেতে হয়, তাহলে আপনি আমাদের নৌবাহিনীর আকাশ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র naval observatory-কে ফোন করুন। কেননা তাদের কাছে সুপার কম্পিউটার আছে।</p> <p>আমি সেখানে ফোন করার পর সেখান থেকে আমাকে জানানো হয় যে সম্ভাব্য তথ্য (chances) আছে। নিশ্চিত কোনো খবর নেই।</p> <p>আমি তৎক্ষণাৎ বললাম, আলহামদুলিল্লাহ! মহানবী (সা.) চৌদ্দ শ বছর আগেই বলে দিয়েছেন, ‘হে আমার উম্মত! তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখো এবং তা দেখেই রোজা ছাড়ো।’ আর বিজ্ঞানও সে কথাই বলছে। (খুতুবাতে ফকির, খণ্ড ২৯, পৃষ্ঠা ২৬৯-২৭২)</p>