<p>বিশ্বের যেকোনো দেশের চেয়ে সবচেয়ে বেশি মিলিয়নেয়ার বাস করে যুক্তরাষ্ট্রে। তবে একটি দেশ সত্যিকার অর্থে ধনী কি না তা নির্ভর করছে দেশের সার্বিক মানুষের আয়ের ওপর। সম্প্রতি ‘গ্লোবাল ওয়েলথ রিপোর্ট ২০১৮’ প্রকাশ করে ক্রেডিট সুইস। এতে বলা হয়, একটি দেশের মোট সম্পদ বিবেচনায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।</p> <p>কিন্তু বিষয়টিকে আরেকটি দিক থেকে বিবেচনা করলে এ হিসাব পাল্টে যায়। একটি দেশের প্রাপ্তবয়স্কদের মাথাপিছু সম্পদ হিসাব করলে বিশ্বের শীর্ষ ধনী দেশ হয় সুইজারল্যান্ড। এ দেশটিতে গড়ে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সম্পদ পাঁচ লাখ ৩০ হাজার ২৪৪ ডলার, যা বিশ্বের অন্য কোনো দেশের মানুষের নেই। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা অস্ট্রেলিয়ার প্রাপ্তবয়স্কদের গড় সম্পদ চার লাখ ১১ হাজার ৬০ ডলার। এতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির প্রাপ্তবয়স্কদের মাথাপিছু সম্পদ এক লাখ তিন হাজার ৯৭৪ ডলার। এ তালিকায় শীর্ষ দশে থাকা বাকি দেশগুলো হচ্ছে যথাক্রমে বেলজিয়াম, নরওয়ে, নিউজিল্যান্ড, কানাডা, ডেনমার্ক, সিঙ্গাপুর এবং ফ্রান্স। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের শীর্ষ ১ শতাংশ ধনীর বেশির ভাগই বাস করে যুক্তরাষ্ট্রে। এমনকি বিশ্বের ৪১ শতাংশ মিলিয়নেয়ার এ দেশটিতে। ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন মিলিয়নেয়ার হয় আট লাখ ৭৮ হাজার, যা বিশ্বের ৪০ শতাংশ। কিন্তু দেশটিতে সম্পদবৈষম্য রয়েছে, যা এ প্রতিবেদনে স্পষ্ট হয়েছে।</p> <p>অন্যদিকে একটি দেশের মাঝারি বা মধ্যম আয়ের মানুষের সম্পদের যদি হিসাব করা হয় তবে অস্ট্রেলিয়া হয় সবচেয়ে বড় ধনীর দেশ। এ তালিকায় শীর্ষ দশে নেই যুক্তরাষ্ট্র। সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক দেশটিতে মধ্যম আয়কারীদের মাথাপিছু সম্পদ ৬১ হাজার ৬৬৭ ডলার। এতে তালিকায় ১৮তম স্থানে নেমে আসে যুক্তরাষ্ট্র। আর অস্ট্রেলিয়ায় মধ্যম আয়কারী প্রাপ্তবয়স্কদের মাথাপিছু সম্পদ এক লাখ ৯১ হাজার ৪৫৩ ডলার। এতে দ্বিতীয় অবস্থানে সুইজারল্যান্ড, তৃতীয় বেলজিয়াম, চতুর্থ নেদারল্যান্ডস এবং পঞ্চম ফ্রান্স। বিজনেস ইনসাইডার।</p>